ধনী-গরিব একত্রে বসে ইফতার, মহিলাদের জন্যও ব্যবস্থা- বায়তুল মোকাররমে সবচেয়ে বড় আয়োজন by মোরসালিন মিজান
কেউ কাউকে চেনেন না। কোন দিন কথা হয়নি হয়ত। এর পরও খুব প্রিয়জনের মতো হাঁটু ভাজ করে পাশাপাশি বসেছেন। অন্তরঙ্গ হয়ে ইফতার করছেন। না, একজন-দু’জন নয়। প্রায় এক হাজার মুসল্লি। সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধ। প্রতিবছর রমজানে অদ্ভুত সুন্দর এ দৃশ্য দেখা যায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে।
এখানে রোজাদারদের জন্য ইফতারের সবচেয়ে বড় আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সকলের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজন। ধনী-গরিব, ভিক্ষুক, মিসকিন সকলেই এখানে আমন্ত্রিত। কারও প্রবেশে বাধা নেই। অনাকাক্সিক্ষত নন কেউ। বরং সকলেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। দৃশ্যটি দেখে অভিভূত না হয়ে পারা যায় না।
প্রতিবারের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে ইফতারের প্রস্তুতি। এ জন্য একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ মঞ্চ থেকে লম্বা সময় ধরে চলে ধর্মীয় বয়ান। আলোচনা শেষে হাজারো রোজাদার এক সঙ্গে হাত তোলেন। মোনাজাতে অংশ নেন। এর পর শুরু হয় ইফতার।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, এ বছর ইফতারের জন্য সরকারীভাবে সাত লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ছয় লাখ ১৩ হাজার টাকা দাম দিয়ে ইফতার সরবরাহের কাজ পেয়েছে বাসমতি রেস্তরাঁ। ইফতারের তদারক করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগ। প্রতিদিন এক মণ খেজুর, এক মণ পেঁয়াজু, এক মণ ছোলা, এক মণ জিলাপি, ৩০ কেজি মুড়ি, ১৫ কেজি চিনি, সাত বোতল রুহ আফজা এবং কলাসহ মোট ৮টির মতো আইটেম সরবরাহ করা হয়। এক হাজার গ্লাসে দেয়া হয় শরবত। অন্যান্য আইটেম দিয়ে সাজানো হয় ৫০০ প্লেট। এছাড়া ৮০টি বড় ডিশে সরবরাহ করা হয় ইফতার। প্রতিটি ডিশে ৭ থেকে ১০ জন ইফতার করতে পারেন। জানা যায়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ২১ জন খাদেম ও স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লি ইফতারি পরিবেশনে সহযোগিতা করেন। মহিলা রোজাদারদের জন্য ইফতারের পৃথক ব্যবস্থা আছে। মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মহিলা রোজাদার এতে শরিক হন। মসজিদের মহিলা খাদেমরা তাঁদের ইফতারি পরিবেশন করেন। এভাবে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনবদ্য হয়ে ওঠে আয়োজনটি।
এ আয়োজনে মাঝে মধ্যেই যোগ দেন রাজমিন্ত্রি আলী হোসেন। তিনি বলেন, এখানে ইফতারের একটা ব্যবস্থা আছে। তাই চলে আসি। অনেক মানুষের সঙ্গে ইফতার করি। বয়ান শুনি। সওয়াব তো হয়। স্থানীয় হকার শামসুদ্দীন জানায়, ইফতারের আগে সব রেস্তরাঁয় ভিড় থাকে। সেই ভিড় ঠেলার চেয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে বসে ইফতার করা অনেক শান্তির। তাই এখানে আসে সে। আশপাশের এলাকায় শপিং করতে আসা মানুষজনও ইফতারে যোগ দেন। এভাবে যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে অংশগ্রহণ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের উপপরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার জানান, গত বছর রোজার শুরুর দিকে ৫০০ থেকে ৬০০ মুসল্লি এই ইফতারে অংশ নিয়েছেন। এবারের রোজার প্রথম দিন প্রায় ৯০০ মুসল্লি ইফতারে অংশ নেন। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজারের মতো।
জানা যায়, এর বাইরে বায়তুল মোকাররমে ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি ইফতারের আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার রোজাদার অংশ নেন। মিলেমিশে ইফতারের এ আয়োজন ভেদাভেদ ভোলায়। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
প্রতিবারের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব চত্বরে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আসরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয়ে গেছে ইফতারের প্রস্তুতি। এ জন্য একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এ মঞ্চ থেকে লম্বা সময় ধরে চলে ধর্মীয় বয়ান। আলোচনা শেষে হাজারো রোজাদার এক সঙ্গে হাত তোলেন। মোনাজাতে অংশ নেন। এর পর শুরু হয় ইফতার।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, এ বছর ইফতারের জন্য সরকারীভাবে সাত লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ছয় লাখ ১৩ হাজার টাকা দাম দিয়ে ইফতার সরবরাহের কাজ পেয়েছে বাসমতি রেস্তরাঁ। ইফতারের তদারক করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগ। প্রতিদিন এক মণ খেজুর, এক মণ পেঁয়াজু, এক মণ ছোলা, এক মণ জিলাপি, ৩০ কেজি মুড়ি, ১৫ কেজি চিনি, সাত বোতল রুহ আফজা এবং কলাসহ মোট ৮টির মতো আইটেম সরবরাহ করা হয়। এক হাজার গ্লাসে দেয়া হয় শরবত। অন্যান্য আইটেম দিয়ে সাজানো হয় ৫০০ প্লেট। এছাড়া ৮০টি বড় ডিশে সরবরাহ করা হয় ইফতার। প্রতিটি ডিশে ৭ থেকে ১০ জন ইফতার করতে পারেন। জানা যায়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ২১ জন খাদেম ও স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লি ইফতারি পরিবেশনে সহযোগিতা করেন। মহিলা রোজাদারদের জন্য ইফতারের পৃথক ব্যবস্থা আছে। মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মহিলা রোজাদার এতে শরিক হন। মসজিদের মহিলা খাদেমরা তাঁদের ইফতারি পরিবেশন করেন। এভাবে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনবদ্য হয়ে ওঠে আয়োজনটি।
এ আয়োজনে মাঝে মধ্যেই যোগ দেন রাজমিন্ত্রি আলী হোসেন। তিনি বলেন, এখানে ইফতারের একটা ব্যবস্থা আছে। তাই চলে আসি। অনেক মানুষের সঙ্গে ইফতার করি। বয়ান শুনি। সওয়াব তো হয়। স্থানীয় হকার শামসুদ্দীন জানায়, ইফতারের আগে সব রেস্তরাঁয় ভিড় থাকে। সেই ভিড় ঠেলার চেয়ে মুসল্লিদের সঙ্গে বসে ইফতার করা অনেক শান্তির। তাই এখানে আসে সে। আশপাশের এলাকায় শপিং করতে আসা মানুষজনও ইফতারে যোগ দেন। এভাবে যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে অংশগ্রহণ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের উপপরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার জানান, গত বছর রোজার শুরুর দিকে ৫০০ থেকে ৬০০ মুসল্লি এই ইফতারে অংশ নিয়েছেন। এবারের রোজার প্রথম দিন প্রায় ৯০০ মুসল্লি ইফতারে অংশ নেন। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজারের মতো।
জানা যায়, এর বাইরে বায়তুল মোকাররমে ছোট-বড় আরও বেশ কয়েকটি ইফতারের আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার রোজাদার অংশ নেন। মিলেমিশে ইফতারের এ আয়োজন ভেদাভেদ ভোলায়। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করে।
No comments