পাঠকের লেখা- পিস্টোরিয়াস পারলে আমরা কেন নয়? by রানা আহমেদ
সবাই এখন বুঁদ হয়ে আছে লন্ডন অলিম্পিকে। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত এই ক্রীড়াযজ্ঞে কোন দেশ কতটি স্বর্ণপদক পেল, কোন অ্যাথলেট কী রেকর্ড গড়লেন—ইত্যাকার খবরেই যেন আকীর্ণ পত্রপত্রিকার খেলার পাতা। যখন দেখতে পায়,
ভিনদেশি অ্যাথলেটরা একের পর এক সোনার পদক গলায় ঝুলিয়ে নিজের দেশের পতাকাটা স্বগৌরবে উঁচিয়ে ধরছেন, তখন বুকের ভেতর কেমন যেন হুহু করে ওঠে। আহ! কোথায় আমাদের লাল-সবুজ পতাকা, কোথায় আমাদের অ্যাথলেটরা, যাঁরা এ দেশকে স্বগৌরবে পরিচিত করাবেন বিশ্ববাসীর কাছে?
সোনার পদক তো দূরে থাক, অলিম্পিকে অংশগ্রহণের মতো পারফরম্যান্সই করতে পারি না। তবু আমরা অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাই অলিম্পিক চেতনা ‘জয় নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা’র সৌজন্যে। এই চেতনা ধারণ করেই আমাদের মতো খেলাধুলায় অনগ্রসর দেশের অ্যাথলেটদের দেওয়া হয় ওয়াইল্ড কার্ড। সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে অলিম্পিকের দেশে গিয়ে আমাদের অ্যাথলেটরা মাঠের লড়াইয়ে নামেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ‘প্রতিযোগিতা’টা শুধু দেখা যায় সবার শেষে নাম ওঠানোর!
আরও একটা সুযোগ অবশ্য অলিম্পিক করে দেয় আমাদের অ্যাথলেটদের। উসাইন বোল্ট, মাইকেল ফেল্প্সদের মতো গ্রেট অলিম্পিয়ানদের চর্মচক্ষে দেখার সুযোগ। আর কর্মকর্তারা সুযোগ পান বিদেশ-বিভুঁই ঘুরে দেখার। এসব কথা ভাবি আর একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়, আমাদের অ্যাথলেটরা কেন পারেন না? সেরা তিনের মধ্যে থাকতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দুটো পা-বিহীন অস্কার পিস্টোরিয়াস যখন মনের জোর খাটিয়ে অলিম্পিকে দৌড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করেন, তখন আমরা কেন পারি না? আমাদেরও পারা উচিত। নিদেন পক্ষে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন। আর সেটা করতে পারলেই ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য আমাদের আর তীর্থের কাকের মতো চার বছর পর পর অলিম্পিকের আয়োজকদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।
শুধু অস্কার পিস্টোরিয়াস নন, আমাদের অ্যাথলেটদের জন্য প্রেরণা হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার তিরন্দাজ ইম ডং হিউন। ক্ষীণ দৃষ্টির হিউন আর্চারির বাছাইপর্বে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন। চশমা বা কনটাক্ট লেন্স ছাড়াই তিনি যদি অব্যর্থ নিশানা ভেদ করেন, তবে আমাদের পুরোপুরি সুস্থ আর্চাররা পারবেন না কেন? এর জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার দরকার। ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তারও আগে চাই প্রতিযোগীদের লড়াকু মানসিকতা। যে মনের জোর খাটিয়ে পা-বিহীন পিস্টোরিয়াস দিব্যি খেলছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা অলিম্পিকে, তেমনই মনের জোর চাই শ্যুটার শারমিন আক্তার রত্না কিংবা আর্চার ইমদাদুল হক মিলনদের। কোথায় যেন পড়লাম, অলিম্পিক রোয়িংয়ে এবারই প্রথম অংশ নিয়েছে নাইজার। আর তারা অলিম্পিক রোয়িংয়ের প্রথম প্রস্তুতিটা নিয়েছে মাছ ধরার নৌকায় চড়ে।
সেই ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়াযজ্ঞে অংশগ্রহণ করে আসছে বাংলাদেশ। দুঃখের বিষয়, এত দিনেও আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই। এবার লন্ডন অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছেন পাঁচ অ্যাথলেট। ফলাফল শূন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কত দিন? আর কত দিন নিয়ম রক্ষার অংশগ্রহণ? অ্যাথলেট থেকে শুরু করে ক্রীড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা যত শিগগির বিবেকের কাছে এমন প্রশ্নবাণে জর্জরিত হবেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ততই মঙ্গল।
সোনার পদক তো দূরে থাক, অলিম্পিকে অংশগ্রহণের মতো পারফরম্যান্সই করতে পারি না। তবু আমরা অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাই অলিম্পিক চেতনা ‘জয় নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা’র সৌজন্যে। এই চেতনা ধারণ করেই আমাদের মতো খেলাধুলায় অনগ্রসর দেশের অ্যাথলেটদের দেওয়া হয় ওয়াইল্ড কার্ড। সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে অলিম্পিকের দেশে গিয়ে আমাদের অ্যাথলেটরা মাঠের লড়াইয়ে নামেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ‘প্রতিযোগিতা’টা শুধু দেখা যায় সবার শেষে নাম ওঠানোর!
আরও একটা সুযোগ অবশ্য অলিম্পিক করে দেয় আমাদের অ্যাথলেটদের। উসাইন বোল্ট, মাইকেল ফেল্প্সদের মতো গ্রেট অলিম্পিয়ানদের চর্মচক্ষে দেখার সুযোগ। আর কর্মকর্তারা সুযোগ পান বিদেশ-বিভুঁই ঘুরে দেখার। এসব কথা ভাবি আর একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়, আমাদের অ্যাথলেটরা কেন পারেন না? সেরা তিনের মধ্যে থাকতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দুটো পা-বিহীন অস্কার পিস্টোরিয়াস যখন মনের জোর খাটিয়ে অলিম্পিকে দৌড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করেন, তখন আমরা কেন পারি না? আমাদেরও পারা উচিত। নিদেন পক্ষে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন। আর সেটা করতে পারলেই ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য আমাদের আর তীর্থের কাকের মতো চার বছর পর পর অলিম্পিকের আয়োজকদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।
শুধু অস্কার পিস্টোরিয়াস নন, আমাদের অ্যাথলেটদের জন্য প্রেরণা হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার তিরন্দাজ ইম ডং হিউন। ক্ষীণ দৃষ্টির হিউন আর্চারির বাছাইপর্বে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছেন। চশমা বা কনটাক্ট লেন্স ছাড়াই তিনি যদি অব্যর্থ নিশানা ভেদ করেন, তবে আমাদের পুরোপুরি সুস্থ আর্চাররা পারবেন না কেন? এর জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার দরকার। ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তারও আগে চাই প্রতিযোগীদের লড়াকু মানসিকতা। যে মনের জোর খাটিয়ে পা-বিহীন পিস্টোরিয়াস দিব্যি খেলছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা অলিম্পিকে, তেমনই মনের জোর চাই শ্যুটার শারমিন আক্তার রত্না কিংবা আর্চার ইমদাদুল হক মিলনদের। কোথায় যেন পড়লাম, অলিম্পিক রোয়িংয়ে এবারই প্রথম অংশ নিয়েছে নাইজার। আর তারা অলিম্পিক রোয়িংয়ের প্রথম প্রস্তুতিটা নিয়েছে মাছ ধরার নৌকায় চড়ে।
সেই ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়াযজ্ঞে অংশগ্রহণ করে আসছে বাংলাদেশ। দুঃখের বিষয়, এত দিনেও আমাদের কোনো প্রাপ্তি নেই। এবার লন্ডন অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছেন পাঁচ অ্যাথলেট। ফলাফল শূন্য। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে আর কত দিন? আর কত দিন নিয়ম রক্ষার অংশগ্রহণ? অ্যাথলেট থেকে শুরু করে ক্রীড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা যত শিগগির বিবেকের কাছে এমন প্রশ্নবাণে জর্জরিত হবেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ততই মঙ্গল।
No comments