বিচার বিভাগকে কঠোর বার্তা পাকিস্তান সরকারের-প্রয়োজনে আরেকজন প্রধানমন্ত্রীকে হারাবে সরকার কিন্তু নতিস্বীকার নয়
পার্লামেন্টের আইন প্রণয়নের সক্ষমতার প্রশ্নে কোনো আপস করবে না পাকিস্তান সরকার। পার্লামেন্টের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার প্রশ্নে 'একযোগে সাহস ও প্রত্যয়ের' সঙ্গে কাজ করবেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দলের নেতারা।
পার্লামেন্টে পাস হওয়া আদালত অবমাননা আইনকে সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এমন অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের চলমান দ্বন্দ্ব আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ৯ জুলাই পার্লামেন্টে পাস হওয়া আদালত অবমাননা বিলে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির স্বাক্ষরের পর ১২ জুলাই তা আইনে পরিণত হয়। তবে গত শুক্রবার একে অবৈধ ঘোষণা করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। ওই দিন রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন জোট সরকারের শরিক দলের নেতারা। প্রেসিডেন্ট জারদারির নেতৃত্বে ওই বৈঠকে সরকারের অবস্থানের এতটুকু নড়চড় না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একে বিচার বিভাগের উদ্দেশে সরকারের কঠোর বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে সবাইকে আরো দৃঢ়ভাবে একসঙ্গে থাকার ও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। সাহস ও প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাই এক কাতারে থাকবেন বলে সংকল্প করেন নেতারা।' বাবর জানান, 'পার্লামেন্টের আইন প্রণয়নের অধিকারকে সমুন্নত রাখা হবে। এতে নেতিবাচক যা-ই ঘটুক না কেন বা এর পরিপ্রেক্ষিতে যে মূল্যই দিতে হোক না কেন, এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না।'
বৈঠকের অভ্যন্তরীণ এক সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি পত্রিকা ডন জানিয়েছে, প্রয়োজনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে প্রস্তুত সরকার। কোনো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় যাওয়া হবে না। জারদারির মামলা পুনরায় সচল করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখা হবে না।
তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করতে পারে এবং আরেকটি আদালত অবমাননা বিল পার্লামেন্টে তোলা হতে পারে। এর বাইরে বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তবে বাবর আদালত অবমাননাসংক্রান্ত আরেকটি বিল পার্লামেন্টে তোলার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ৮ আগস্ট দায়মুক্তি অধ্যাদেশ (এনআরও) সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে আরেকটি বিল উত্থাপন করে তা পাস করানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ আদালতকে পার্লামেন্টের ২৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তির কথা তুলে ধরবেন।
জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার প্রশ্নে আদালতের আদেশ পালন না করার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিচার বিভাগ ও সরকার কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে। প্রেসিডেন্ট দায়মুক্তি ভোগ করেন_এ যুক্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অগ্রাহ্য করায় আদালত অবমাননার দায়ে পদচ্যুত হন। নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও একই আদেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যর্থ হলে তাঁকেও গিলানির ভাগ্যবরণ করার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। এ অবস্থায় মূলত প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করতে তড়িঘড়ি করে আদালত অবমাননা আইন প্রণয়ন করে সরকার। এর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যসহ সরকারের অন্য নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব পালনের সময় আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ২৭টি রিট আবেদন জমা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। সূত্র : জিনিউজ।
গত ৯ জুলাই পার্লামেন্টে পাস হওয়া আদালত অবমাননা বিলে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির স্বাক্ষরের পর ১২ জুলাই তা আইনে পরিণত হয়। তবে গত শুক্রবার একে অবৈধ ঘোষণা করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। ওই দিন রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন জোট সরকারের শরিক দলের নেতারা। প্রেসিডেন্ট জারদারির নেতৃত্বে ওই বৈঠকে সরকারের অবস্থানের এতটুকু নড়চড় না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একে বিচার বিভাগের উদ্দেশে সরকারের কঠোর বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে সবাইকে আরো দৃঢ়ভাবে একসঙ্গে থাকার ও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। সাহস ও প্রত্যয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাই এক কাতারে থাকবেন বলে সংকল্প করেন নেতারা।' বাবর জানান, 'পার্লামেন্টের আইন প্রণয়নের অধিকারকে সমুন্নত রাখা হবে। এতে নেতিবাচক যা-ই ঘটুক না কেন বা এর পরিপ্রেক্ষিতে যে মূল্যই দিতে হোক না কেন, এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না।'
বৈঠকের অভ্যন্তরীণ এক সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি পত্রিকা ডন জানিয়েছে, প্রয়োজনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে প্রস্তুত সরকার। কোনো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় যাওয়া হবে না। জারদারির মামলা পুনরায় সচল করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখা হবে না।
তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করতে পারে এবং আরেকটি আদালত অবমাননা বিল পার্লামেন্টে তোলা হতে পারে। এর বাইরে বিস্তারিত জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তবে বাবর আদালত অবমাননাসংক্রান্ত আরেকটি বিল পার্লামেন্টে তোলার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ৮ আগস্ট দায়মুক্তি অধ্যাদেশ (এনআরও) সংক্রান্ত শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে আরেকটি বিল উত্থাপন করে তা পাস করানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ আদালতকে পার্লামেন্টের ২৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তির কথা তুলে ধরবেন।
জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার প্রশ্নে আদালতের আদেশ পালন না করার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিচার বিভাগ ও সরকার কার্যত মুখোমুখি অবস্থানে। প্রেসিডেন্ট দায়মুক্তি ভোগ করেন_এ যুক্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অগ্রাহ্য করায় আদালত অবমাননার দায়ে পদচ্যুত হন। নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও একই আদেশ দিয়েছেন আদালত। ব্যর্থ হলে তাঁকেও গিলানির ভাগ্যবরণ করার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। এ অবস্থায় মূলত প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার হাত থেকে রক্ষা করতে তড়িঘড়ি করে আদালত অবমাননা আইন প্রণয়ন করে সরকার। এর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যসহ সরকারের অন্য নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব পালনের সময় আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ২৭টি রিট আবেদন জমা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেন। সূত্র : জিনিউজ।
No comments