বেহাল সড়ক-ঈদে ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করুন
সারা দেশে সড়কগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছে যে মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা-পরিসীমা থাকছে না। সময়মতো মেরামতের অভাবে সড়কগুলোতে রীতিমতো খাদের সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে এর ওপর দিয়েই চালাতে হচ্ছে বাস, ট্রাক বা অন্যান্য যানবাহন। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা।
অন্যদিকে দুর্দশাগ্রস্ত রাস্তার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে কত ঘণ্টা লাগবে, তা কেউই বলতে পারে না। ঈদ উপলক্ষে এ দুর্ভোগ যেন নতুন মাত্রা লাভ করেছে। সড়ক সংস্কারের দাবিতে যানবাহন ধর্মঘটসহ নানা রকম কর্মসূচি পালন করা হলেও সেগুলোতে তেমন কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই এবার চট্টগ্রামে পালন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে সিঅ্যান্ডবি পর্যন্ত কালুরঘাট সড়কের অবস্থা শোচনীয়। গত শুক্রবার স্থানীয় নগরবাসী সেই সড়কের হাঁটুসমান কাদাপানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার পাশাপাশি সেখানে ধানের চারা রোপণ করে দিয়েছেন। সড়ক দিয়ে যদি যানবাহনই চলতে না পারে, তাহলে এমন সড়ক রেখে লাভ কী? এর পরও যদি সরকারের টনক না নড়ে তাহলে আর বলার কিছু নেই। ধান কিংবা মাছ চাষের জন্য তো আর সড়ক নির্মিত হয়নি। যে প্রয়োজনে এসব সড়ক নির্মিত হয়েছে, সরকারকে সড়ক ব্যবহারের সেই সুযোগ বা উপযোগিতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। আর তা করতে না পারলে কিংবা ব্যর্থ হলে বর্তমান সরকারকে সবাই 'ব্যর্থ সরকার' হিসেবেই বিবেচনা করবে।
আমরা জানি, বর্ষাকালে আমাদের সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। আবহমান বাংলারই চিত্র এটি। এর মধ্যেই আমাদের সড়কগুলো টিকে আছে এবং টিকে ছিল। কিন্তু আমরা গত বর্ষায়ও দেখেছি, এই বর্ষায়ও দেখছি- বর্ষার শুরুতেই সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য ও মতামত থেকে জানা যায়, এর জন্য মূলত দায়ী সড়কগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নিম্নমানের সংস্কার ও নির্মাণকাজ এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের সমন্বয়হীনতা। ভ্রুক্ষেপহীনভাবে অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলও সড়কগুলোর বেহালের একটা কারণ। এসবের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা জানি, প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন না হলে বর্ষায় সড়কগুলো ভেঙে পড়তে পারে, তাই বর্ষার আগেই সেই কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিত ছিল। আবার নির্মাণ কাজের কী হাল, তা তো দেখা যায় সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের দিকে দৃষ্টি দিলেই। উদ্বোধনের আগেই এর বিরাট অংশ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যায়। সড়কের ওপর মাত্র দুই ইঞ্চি পুরু খোয়ার আস্তরণ দেওয়া হয়েছিল, যাকে কোনোমতেই টেকসই নির্মাণ বলা যায় না। আবার একদিকে সড়ক মেরামত করা হচ্ছে, অন্যদিকে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি- এমন চিত্রও নতুন কিছু নয়। খোঁড়াখুঁড়ি যার কাজ, তিনি খুঁড়ে রেখে ফেলে যান কিংবা কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলে যান। রাজধানীর সড়কগুলোর দিকে নজর দিলে একই দৃশ্য চোখে পড়ে। এর ফলে সড়কগুলো দ্রুত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। উড়াল সেতু বানাতে গিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদে সড়কের যে করুণ দশা তৈরি করে রাখা হয়েছে, তা বর্ণনাতীত। অথচ এ সড়কটি দেশের পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার প্রবেশপথ।
যোগাযোগমন্ত্রী যথার্থই বলেছিলেন, এ মুহূর্তে পদ্মা সেতুর চেয়েও জরুরি হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ঠিক রাখা। তিনি দৌড়ঝাঁপও করছেন। কিন্তু অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না। কেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানা সরকারের জন্য জরুরি হতে পারে, আমাদের জন্য নয়। আমাদের জন্য জরুরি হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ঠিক থাকা। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। এবারের ঈদে গত বছরের মতো ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি হবে না- সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আমরা জানি, বর্ষাকালে আমাদের সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। আবহমান বাংলারই চিত্র এটি। এর মধ্যেই আমাদের সড়কগুলো টিকে আছে এবং টিকে ছিল। কিন্তু আমরা গত বর্ষায়ও দেখেছি, এই বর্ষায়ও দেখছি- বর্ষার শুরুতেই সড়কগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য ও মতামত থেকে জানা যায়, এর জন্য মূলত দায়ী সড়কগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, নিম্নমানের সংস্কার ও নির্মাণকাজ এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের সমন্বয়হীনতা। ভ্রুক্ষেপহীনভাবে অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলও সড়কগুলোর বেহালের একটা কারণ। এসবের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা জানি, প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন না হলে বর্ষায় সড়কগুলো ভেঙে পড়তে পারে, তাই বর্ষার আগেই সেই কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিত ছিল। আবার নির্মাণ কাজের কী হাল, তা তো দেখা যায় সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের দিকে দৃষ্টি দিলেই। উদ্বোধনের আগেই এর বিরাট অংশ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যায়। সড়কের ওপর মাত্র দুই ইঞ্চি পুরু খোয়ার আস্তরণ দেওয়া হয়েছিল, যাকে কোনোমতেই টেকসই নির্মাণ বলা যায় না। আবার একদিকে সড়ক মেরামত করা হচ্ছে, অন্যদিকে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি- এমন চিত্রও নতুন কিছু নয়। খোঁড়াখুঁড়ি যার কাজ, তিনি খুঁড়ে রেখে ফেলে যান কিংবা কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলে যান। রাজধানীর সড়কগুলোর দিকে নজর দিলে একই দৃশ্য চোখে পড়ে। এর ফলে সড়কগুলো দ্রুত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। উড়াল সেতু বানাতে গিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদে সড়কের যে করুণ দশা তৈরি করে রাখা হয়েছে, তা বর্ণনাতীত। অথচ এ সড়কটি দেশের পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার প্রবেশপথ।
যোগাযোগমন্ত্রী যথার্থই বলেছিলেন, এ মুহূর্তে পদ্মা সেতুর চেয়েও জরুরি হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ঠিক রাখা। তিনি দৌড়ঝাঁপও করছেন। কিন্তু অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না। কেন? এ প্রশ্নের উত্তর জানা সরকারের জন্য জরুরি হতে পারে, আমাদের জন্য নয়। আমাদের জন্য জরুরি হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ঠিক থাকা। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। এবারের ঈদে গত বছরের মতো ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি হবে না- সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments