মহারাষ্ট্রে 'অবৈধ' ধর্মঘট করলে জেল-জরিমানা-পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ

অবৈধভাবে আয়োজন করা ধর্মঘট রুখতে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে এটি কার্যকর করা হয়। 'মহারাষ্ট্র এসেনশিয়াল সার্ভিসেস মেইনটেন্যান্স অ্যাক্ট-২০১১' অনুযায়ী অবৈধভাবে ধর্মঘট আয়োজন করার জন্য কেউ উসকানি, অর্থায়ন বা এ কর্মসূচিতে অংশ নিলে তার জেল-জরিমানা হবে।


সরকারি কিংবা অন্য কোনো সেক্টরে কর্মরত কারো বিরুদ্ধে ধর্মঘটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণতি হলে তার সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা দুই হাজার রুপি পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডই দেওয়া হবে।
ধর্মঘটবিরোধী এ আইনে সম্প্রতি সংশোধনী আনা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট এতে সম্মতি জানিয়েছেন। আইন অনুযায়ী পুশিল চাইলে কাউকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া আটক করতে পারবে এবং এটা অজামিনযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী জরুরি সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে গণপরিবহন যেমন_অটোরিকশা, ট্যাঙ্,ি স্কুলবাস চালক, হাসপাতালকর্মী, পৌরকর্মী, শিক্ষক অথবা পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও দুধ সরবরাহকারী।
তবে বিভিন্ন ইউনিয়ন ভালো চোখে দেখছে না এ সংশোধনীটি। মহারাষ্ট্রে প্রশাসনিক ভবন 'মন্ত্রণালয়া'র এক কর্মী বলেন, 'বিক্ষোভ করার একটি মাধ্যম হচ্ছে ধর্মঘট। আমরা নগরবাসীর অসুবিধা করতে চাই না। তবে ধর্মঘট বাতিল করার মধ্য দিয়ে সরকার শ্রমিকবিরোধী একটা অবস্থান নিল।'
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক দেবেন্দ্র ফাদনাভিস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বৈধভাবে যারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য বিক্ষোভ করবে, তাদের দমাতে এ আইনটির অপব্যবহার হতে পারে। তিনি বলেন, বিরোধীদের দমনের ক্ষেত্রেও সরকার এ আইনের অপপ্রয়োগ করতে পারে। এসব অভিযোগ খণ্ডন করে মন্ত্রণালয়ার এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা কোনো ব্যক্তির অধিকারের বিরোধী নই। ধর্মঘটের কারণে নাগরিকদের ভোগান্তি থেকে রক্ষা করতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে।' তিনি আরো বলেন, সংশোধনীর মাধ্যমে এ আইনটি নমনীয় করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর এ ধরনেই আইনটি আরো কঠোর। তামিলনাড়ু এসেনশিয়াল সার্ভিস অ্যাক্ট অনুযায়ী অবৈধভাবে ধর্মঘট করার সাজা সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার রুপি পর্যন্ত অর্থদণ্ড। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দুস্থান টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.