ধর্ম- রোজা মানুষের কুপ্রবৃত্তি দমন করে by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
মানুষের মনে সুপ্রবৃত্তি বা মানবিক গুণাবলি ও কুপ্রবৃত্তি বা পশুত্ব আছে। সুপ্রবৃত্তিগুলো মানব মনে ইসলাম-নির্দেশিত শান্তি, শৃঙ্খলা, ঐক্য, সাম্য, মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ব, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা প্রভৃতি মহৎ কাজের প্রতি অনুরাগ এনে দেয়। আর কুপ্রবৃত্তি বা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য—এ ষড়িরপুগুলো মানবজীবনে অনৈক্য, হিংসা, বিদ্বেষ, অন্যায়,
অত্যাচার, ব্যভিচার, নির্মমতা, পাশবিকতা, হত্যাকাণ্ড, ধনসম্পদের লালসা, আত্মসাৎ প্রবণতা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, ঘুষ-দুর্নীতি, অশান্তি, বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি অনৈসলামিক ও অমানবিক কার্যকলাপের উদ্ভব ঘটায়। মানুষের কুপ্রবৃত্তির এ তাড়না থেকে আত্মশুদ্ধির উপায় এবং উন্নততর জীবনাদর্শের অনুসারী হওয়ার জন্যই ইসলামে মাহে রমজানে ৩০ দিন রোজা পালনের বিধান করা হয়েছে।
সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ আল্লাহর অন্য সব হুকুম পালন এবং তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জনের শক্তি আয়ত্ত করে নিতে পারেন। রমজান মাসের প্রশিক্ষণের ফলে একজন ধর্মভীরু মানুষ হালাল খানাপিনা এবং জৈবিক রিপুর তাড়না ও কামনা-বাসনা থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হন। তাঁর পক্ষে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় হারাম কাজকর্ম, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সুদ, ঘুষ, পরচর্চা, পরনিন্দা, মিথ্যাচার প্রভৃতি পরিহার করা মোটেই কঠিন ব্যাপার নয়। মিথ্যা কথা সিয়াম সাধনাকে বরবাদ করে দেয়, আর পরনিন্দা সিয়ামকে ধ্বংস করে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা বলা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি)
রোজার মাধ্যমে কুপ্রবৃত্তির ওপর বিবেকের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, এর দ্বারা মানুষের পাশবিক শক্তি অবদমিত হয় এবং রুহানি শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয় ও অন্তর বিগলিত হয়। মুমিন বান্দা একমাত্র আল্লাহর ভয় ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কুপ্রবৃত্তি দমন এবং যাবতীয় খারাপ কাজ পরিত্যাগ করে নিজেকে আল্লাহর কাছে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালান। তখনই প্রতিটি সৎ কাজ ও আল্লাহর বিধান পালনে মানুষ খুঁজে পাবে প্রশান্তি। অসৎ কাজ ও পাপাচার মানুষকে মর্মপীড়া দেবে। ধর্মীয় অনুশাসন অমান্য করা তার জন্য হবে চরম কষ্টকর।
মাহে রমজানে রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করেন। রিপুর তাড়না থেকে তাকে মুক্ত করে তার ভেতর তাকওয়া-খোদাভীতি ও আল্লাহপ্রেম জাগ্রত করতে চান। সেই সত্য-সুন্দরের পথ তাকে সাফল্য ও মুক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘ওহে জনতা! তোমাদের সামনে একটি মাস সমাগত। ১. এটি হলো মহান মাস। ২. এটি একটি বরকতময় মাস। ৩. এ মাসে এমন একটি রজনী আছে, যার মূল্য সহস্র মাসের চেয়েও বেশি। ৪. এটি হচ্ছে এমন মাস, যে মাসে রোজা পালনকে ফরজ ঘোষণা করা হয়েছে। ৫. এটি হচ্ছে ধৈর্যের মাস। ৬. এটি হচ্ছে সমতার মাস। ৭. এ মাসে মানুষের রিজ্ক বৃদ্ধি করা হয়। ৮. এটি গুনাহ বা অপরাধ মুক্তির মাস। ৯. এ মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। ১০. এ মাস রোজাদারদের ইফতার করানোর মাস। ১১. এটি এমন মাস, যে মাসের প্রথম ভাগে রয়েছে রহমত বা দয়া-করুণা, মধ্য ভাগে রয়েছে মাগফিরাত বা ক্ষমা প্রার্থনা এবং শেষ ভাগে রয়েছে নাজাত বা অপরাধ থেকে মুক্তি। ১২. এ মাস হচ্ছে কর্মচারীদের থেকে কাজের বোঝা কমিয়ে দেওয়ার মাস।’
রমজান মাসের রোজার মাধ্যমে রোজাদার খোদাভীতি অর্জন করেন, সৃষ্টিকর্তার শোকর আদায় করতে শেখেন এবং আল্লাহর হুকুমের কদর বুঝতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে সব কাজকর্মের মধ্য দিয়ে রোজাদার মানুষ মূলত আল্লাহর আদেশ-নিষেধগুলোকে মেনে চলার চেষ্টা করেন। একসময় তাতে তিনি সফলকাম হন, তখন তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেন। এভাবেই রোজাদার বান্দা আল্লাহর সান্নিধ্যে এগিয়ে যান, আর এটাই হলো মাহে রমজানে মানুষের পরম লক্ষ্য। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আহার করে (আল্লাহর) শোকর করে, তার মর্যাদা ধৈর্যশীল রোজাদারের সমপরিমাণ।’ (বুখারি)
মহান আল্লাহর ওপর প্রগাঢ় বিশ্বাসে রোজাদার ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক ঈমান জন্মে এবং খোদাপ্রেমে তার অন্তর উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। রোজা রাখার কারণে মানুষ নিজের নফস বা আত্মাকে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি কুপ্রবৃত্তি থেকে পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখেন। মাহে রমজানের এ ত্যাগ-তিতিক্ষার শিক্ষাকেই ধৈর্যের শিক্ষা বলা হয়। হাদিস শরিফে এ সবর বা ধৈর্য ধারণকে ঈমানের অর্ধাংশ বলা হয়েছে।
ইসলামের বিধানে প্রতিটি ইবাদতই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হয়ে থাকে। মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা বা রোজা পালনের মাধ্যমেও মানবজাতি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালায়। মানুষ তার সমস্ত কামনা-বাসনা ও লোভ-লালসা পরিত্যাগ করে বিভিন্ন যাতনা ও কষ্ট সহ্য করে খোদাভীতি অর্জনে ব্রতী হয়। তাই যদি কোনো রোজাদার ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজের ক্ষুধা-তৃষ্ণাসহ কুপ্রবৃত্তি দমনপূর্বক রোজা রাখেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে যাবতীয় কষ্ট সহ্য করেন, তাহলে তিনি অবশ্যই সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পারেন।
বস্তুত মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সাম্য সৃষ্টি করে। রোজাদারদের পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা, সহূদয়তা ও সহানুভূতির ফলে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে রমজান মাসের রোজা, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, সেহির, ইফতার, তারাবি নামাজ, সাদাকাতুল ফিতর, জাকাত, দান-খয়রাত প্রভৃতি আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতরাজি, যা রোজাদারদের কুপ্রবৃত্তি দমন ও তাকওয়া বা খোদাভীতিপূর্ণ ইবাদতের মানসিকতা সৃষ্টিতে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা জোগায়। মাহে রমজান বাস্তবিকই যেন মানুষের কুপ্রবৃত্তি বা পশুত্ব, আত্ম-অহমিকা, হিংস্রতাসহ সব অমানবিক দোষ-ত্রুটি ভস্ম করে এবং ধৈর্য-সহনশীলতা, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা-হূদ্যতা এসব মানবিক গুণাবলি অর্জন করে যেন রোজাদারগণ মুত্তাকি হয়ে মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করতে পারেন, আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এ সৌভাগ্য দান করুন। আমিন!
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ আল্লাহর অন্য সব হুকুম পালন এবং তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জনের শক্তি আয়ত্ত করে নিতে পারেন। রমজান মাসের প্রশিক্ষণের ফলে একজন ধর্মভীরু মানুষ হালাল খানাপিনা এবং জৈবিক রিপুর তাড়না ও কামনা-বাসনা থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হন। তাঁর পক্ষে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় হারাম কাজকর্ম, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সুদ, ঘুষ, পরচর্চা, পরনিন্দা, মিথ্যাচার প্রভৃতি পরিহার করা মোটেই কঠিন ব্যাপার নয়। মিথ্যা কথা সিয়াম সাধনাকে বরবাদ করে দেয়, আর পরনিন্দা সিয়ামকে ধ্বংস করে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা বলা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে না, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি)
রোজার মাধ্যমে কুপ্রবৃত্তির ওপর বিবেকের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, এর দ্বারা মানুষের পাশবিক শক্তি অবদমিত হয় এবং রুহানি শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয় ও অন্তর বিগলিত হয়। মুমিন বান্দা একমাত্র আল্লাহর ভয় ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কুপ্রবৃত্তি দমন এবং যাবতীয় খারাপ কাজ পরিত্যাগ করে নিজেকে আল্লাহর কাছে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালান। তখনই প্রতিটি সৎ কাজ ও আল্লাহর বিধান পালনে মানুষ খুঁজে পাবে প্রশান্তি। অসৎ কাজ ও পাপাচার মানুষকে মর্মপীড়া দেবে। ধর্মীয় অনুশাসন অমান্য করা তার জন্য হবে চরম কষ্টকর।
মাহে রমজানে রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষের কুপ্রবৃত্তিকে দমন করেন। রিপুর তাড়না থেকে তাকে মুক্ত করে তার ভেতর তাকওয়া-খোদাভীতি ও আল্লাহপ্রেম জাগ্রত করতে চান। সেই সত্য-সুন্দরের পথ তাকে সাফল্য ও মুক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, ‘ওহে জনতা! তোমাদের সামনে একটি মাস সমাগত। ১. এটি হলো মহান মাস। ২. এটি একটি বরকতময় মাস। ৩. এ মাসে এমন একটি রজনী আছে, যার মূল্য সহস্র মাসের চেয়েও বেশি। ৪. এটি হচ্ছে এমন মাস, যে মাসে রোজা পালনকে ফরজ ঘোষণা করা হয়েছে। ৫. এটি হচ্ছে ধৈর্যের মাস। ৬. এটি হচ্ছে সমতার মাস। ৭. এ মাসে মানুষের রিজ্ক বৃদ্ধি করা হয়। ৮. এটি গুনাহ বা অপরাধ মুক্তির মাস। ৯. এ মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। ১০. এ মাস রোজাদারদের ইফতার করানোর মাস। ১১. এটি এমন মাস, যে মাসের প্রথম ভাগে রয়েছে রহমত বা দয়া-করুণা, মধ্য ভাগে রয়েছে মাগফিরাত বা ক্ষমা প্রার্থনা এবং শেষ ভাগে রয়েছে নাজাত বা অপরাধ থেকে মুক্তি। ১২. এ মাস হচ্ছে কর্মচারীদের থেকে কাজের বোঝা কমিয়ে দেওয়ার মাস।’
রমজান মাসের রোজার মাধ্যমে রোজাদার খোদাভীতি অর্জন করেন, সৃষ্টিকর্তার শোকর আদায় করতে শেখেন এবং আল্লাহর হুকুমের কদর বুঝতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে সব কাজকর্মের মধ্য দিয়ে রোজাদার মানুষ মূলত আল্লাহর আদেশ-নিষেধগুলোকে মেনে চলার চেষ্টা করেন। একসময় তাতে তিনি সফলকাম হন, তখন তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেন। এভাবেই রোজাদার বান্দা আল্লাহর সান্নিধ্যে এগিয়ে যান, আর এটাই হলো মাহে রমজানে মানুষের পরম লক্ষ্য। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আহার করে (আল্লাহর) শোকর করে, তার মর্যাদা ধৈর্যশীল রোজাদারের সমপরিমাণ।’ (বুখারি)
মহান আল্লাহর ওপর প্রগাঢ় বিশ্বাসে রোজাদার ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক ঈমান জন্মে এবং খোদাপ্রেমে তার অন্তর উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। রোজা রাখার কারণে মানুষ নিজের নফস বা আত্মাকে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ প্রভৃতি কুপ্রবৃত্তি থেকে পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখেন। মাহে রমজানের এ ত্যাগ-তিতিক্ষার শিক্ষাকেই ধৈর্যের শিক্ষা বলা হয়। হাদিস শরিফে এ সবর বা ধৈর্য ধারণকে ঈমানের অর্ধাংশ বলা হয়েছে।
ইসলামের বিধানে প্রতিটি ইবাদতই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হয়ে থাকে। মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা বা রোজা পালনের মাধ্যমেও মানবজাতি আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালায়। মানুষ তার সমস্ত কামনা-বাসনা ও লোভ-লালসা পরিত্যাগ করে বিভিন্ন যাতনা ও কষ্ট সহ্য করে খোদাভীতি অর্জনে ব্রতী হয়। তাই যদি কোনো রোজাদার ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিজের ক্ষুধা-তৃষ্ণাসহ কুপ্রবৃত্তি দমনপূর্বক রোজা রাখেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে যাবতীয় কষ্ট সহ্য করেন, তাহলে তিনি অবশ্যই সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পারেন।
বস্তুত মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ও সাম্য সৃষ্টি করে। রোজাদারদের পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা, সহূদয়তা ও সহানুভূতির ফলে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে রমজান মাসের রোজা, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, সেহির, ইফতার, তারাবি নামাজ, সাদাকাতুল ফিতর, জাকাত, দান-খয়রাত প্রভৃতি আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতরাজি, যা রোজাদারদের কুপ্রবৃত্তি দমন ও তাকওয়া বা খোদাভীতিপূর্ণ ইবাদতের মানসিকতা সৃষ্টিতে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা জোগায়। মাহে রমজান বাস্তবিকই যেন মানুষের কুপ্রবৃত্তি বা পশুত্ব, আত্ম-অহমিকা, হিংস্রতাসহ সব অমানবিক দোষ-ত্রুটি ভস্ম করে এবং ধৈর্য-সহনশীলতা, প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা-হূদ্যতা এসব মানবিক গুণাবলি অর্জন করে যেন রোজাদারগণ মুত্তাকি হয়ে মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করতে পারেন, আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এ সৌভাগ্য দান করুন। আমিন!
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments