ছিনতাই চাঁদাবাজি-রুখতে হবে সরকারকেই
রমজানকে বলা হয় সংযমের মাস। এটা রহমতেরও মাস। কিন্তু এ সময় রহমত ও সংযমের পরিবর্তে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আর উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য কিছু দুর্বৃত্ত উঠেপড়ে লাগে। তারা যেন সারা বছর অপেক্ষা করতে থাকে কখন রোজা আসবে।
রাস্তাঘাট, দোকানপাট থেকে শুরু করে লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনের মতো জনবহুল এলাকায় তাদের দৌরাত্ম্য চলে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসে ততই তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় যেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জনবহুল শহরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীর দল। টেলিভিশন চ্যানেল কিংবা সংবাদপত্রে প্রায়ই সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে যাত্রীরা কিভাবে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ছে, কিভাবে তারা সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। অর্থ কিংবা মালামাল হারানোর পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে প্রায় প্রতিদিন।
এ ঘটনা নতুন না হলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তা মোটেও যথাযথ ও পর্যাপ্ত নয়। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা হবে। মানুষ যাতে স্বাভাবিক ও নির্ভয়ে ঈদের বাজার করতে পারে, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু প্রতিবছরই দেখা যায়, এই কঠোর উচ্চারণটি কার্যত প্রচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। রাস্তাঘাটে নিরাপত্তাহীন অবস্থা ক্রমে বেড়েই চলে।
মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কতটা বেড়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি হওয়া রোগীর তালিকার দিকে তাকালে। এই দুটি হাসপাতালেই প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন রোগী ভর্তি হচ্ছে এই মলম পার্টির হাতে পড়ে। এর বাইরে বেসরকারি ক্লিনিকেও চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে।
হঠাৎ ছিনতাইয়ের ঘটনা এত বেড়েছে যে ঈদের কেনাকাটা দূরে থাক, রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিনই ছিনতাইকারীদের হাতে পড়তে হচ্ছে কাউকে না কাউকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিলেও তাঁদের দায়িত্ব পালন নিয়ে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসও সাধারণ মানুষের মধ্যে দানা বেঁধে উঠেছে। অভিযোগ আছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রক্ষাকারী পুলিশ নিজেই চাঁদাবাজি করে থাকে ফুটপাত কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। চাঁদাবাজি হচ্ছে মাস্তান ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্মীদের মাধ্যমেও। ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে। পরিবহনের চাঁদাবাজির সঙ্গে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নতুন নয়। কয়েক বছর ধরে পরিবহন মালিকরা এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। গত বছর তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মালিকরা। এই চাঁদাবাজির বিস্তৃতি এত বেশি যে মনে হতে পারে জলে কুমির ডাঙায় বাঘের মতো। নৌপথ, সড়কপথ কোনো জায়গায়ই আর স্বস্তি ও নিরাপত্তা নেই। এ থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সরকারকেই বের করতে হবে। নাগরিক সাধারণকে শান্তি, স্বস্তি ও পরিপূর্ণ নিরাপত্তায় ঈদ করতে দিতে হবে।
এ ঘটনা নতুন না হলেও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তা মোটেও যথাযথ ও পর্যাপ্ত নয়। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছরই বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা হবে। মানুষ যাতে স্বাভাবিক ও নির্ভয়ে ঈদের বাজার করতে পারে, সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু প্রতিবছরই দেখা যায়, এই কঠোর উচ্চারণটি কার্যত প্রচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। রাস্তাঘাটে নিরাপত্তাহীন অবস্থা ক্রমে বেড়েই চলে।
মলম পার্টির দৌরাত্ম্য কতটা বেড়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি হওয়া রোগীর তালিকার দিকে তাকালে। এই দুটি হাসপাতালেই প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন রোগী ভর্তি হচ্ছে এই মলম পার্টির হাতে পড়ে। এর বাইরে বেসরকারি ক্লিনিকেও চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে।
হঠাৎ ছিনতাইয়ের ঘটনা এত বেড়েছে যে ঈদের কেনাকাটা দূরে থাক, রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিনই ছিনতাইকারীদের হাতে পড়তে হচ্ছে কাউকে না কাউকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিলেও তাঁদের দায়িত্ব পালন নিয়ে সন্দেহ এবং অবিশ্বাসও সাধারণ মানুষের মধ্যে দানা বেঁধে উঠেছে। অভিযোগ আছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রক্ষাকারী পুলিশ নিজেই চাঁদাবাজি করে থাকে ফুটপাত কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। চাঁদাবাজি হচ্ছে মাস্তান ও স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্মীদের মাধ্যমেও। ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে। পরিবহনের চাঁদাবাজির সঙ্গে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নতুন নয়। কয়েক বছর ধরে পরিবহন মালিকরা এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছেন। গত বছর তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মালিকরা। এই চাঁদাবাজির বিস্তৃতি এত বেশি যে মনে হতে পারে জলে কুমির ডাঙায় বাঘের মতো। নৌপথ, সড়কপথ কোনো জায়গায়ই আর স্বস্তি ও নিরাপত্তা নেই। এ থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সরকারকেই বের করতে হবে। নাগরিক সাধারণকে শান্তি, স্বস্তি ও পরিপূর্ণ নিরাপত্তায় ঈদ করতে দিতে হবে।
No comments