পোশাকে নীলের আভা by আশরাফ উল্লাহ
বাজছে বর্ষার বিদায়ঘণ্টা। বইতে শুরু করেছে শরতের আগমনী হাওয়া। এর মধ্যেই আসছে ঈদ। তবে বর্ষার বিদায়বেলা হলেও বাদলের মাদল বাজতেই পারে যেকোনো মুহূর্তে। হঠাৎ হঠাৎ আকাশের মুখ ভার হয়ে নামবে ঝুম বৃষ্টি। আবার হয়তো দেখা যাবে ধূসর মেঘমালার ফাঁকে এক চিলতে নীল আকাশ—রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিন। তখন ভোগাবে ভ্যপসা গরম।
তাই পোশাকে এ দুই ঋতুর সম্মিলন ঘটিয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। আরামদায়ক কাপড়ে এনেছেন উৎসবের আমেজ। ভ্যপসা গরম কিংবা বৃষ্টি—দুয়ের মাঝামাঝিতে জমকালো সাজটাও যেন আনা যায়, সেই চিন্তা মাথায় রেখেছেন। ফলে নজরকাড়া নকশা আর বুননে এবার পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে বর্ষার রং নীল।
ফ্যাশন হাউস রঙ-এর কর্ণধার ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, ‘এবারের ঈদ যেহেতু বর্ষার শেষ দিকে, তাই পোশাকে নীলের ছোঁয়া থাকবেই। এ ছাড়া আমরা রংধনুর সাত রং ব্যবহার করেছি। মেয়েদের সালোয়ার কামিজ ও শাড়ি এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি ও টি-শার্টের নকশায় এসেছে বর্ষার নানা রূপ। অবশ্য অন্যান্য মোটিফেরও কিছু কাজ করেছি।’
‘আবার বৃষ্টির পর ভ্যপসা গরমে ঘামের চিটচিটে ভাবটা যেন অস্বস্তি তৈরি না করে, সে জন্য সকালবেলায় নীল রঙের সুতি কিংবা হাফ সিল্কের পোশাক আরামদায়ক হবে। অবশ্য সন্ধ্যায় জমকালো সাজের জন্য বেশ আকর্ষণীয় হবে মসলিন অথবা সিল্কের দামি কাপড়ের পোশাক, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজে ফুটে উঠবে সৌন্দর্য। তবে অবশ্যই রঙের সম্মিলন করতে হবে একটু ভেবেচিন্তে,’ বললেন বিপ্লব সাহা।
সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্রেতারা এখন ঋতু ও রং-সচেতন। ঐতিহ্যের সঙ্গে ঋতুর রঙের মিশেলই যেন পোশাকে মুখ্য ব্যাপার। আর আকাশের চাঁদোয়া নীল বলেই হয়তো নীল রং সবার বেশি প্রিয়। রংধনু বুকে নিয়ে নীল আকাশ যেমন ধরণিতে রঙের বর্ষণ ঘটায়, তেমনি আমাদের জীবনেও নীলের ছোঁয়া আনে স্নিগ্ধ পরশ।
রওশনস বুটিকের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার রওশন আরা চৌধুরী বলেন, ‘ঈদে শরতের আগমনী বার্তা থাকলেও বর্ষার দাপট থেকেই যাবে। তাই আবহাওয়া বুঝে আরামদায়ক কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছি। এর মধ্যে উৎসবের জন্য একটু এক্সক্লুসিভ কাপড়ই ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকে। আর রঙে মুখ্য বর্ষার নীল—সঙ্গে মেরুন, ব্লু পেস্টাল, আকাশি ও শেওলা সবুজের মিশেল।’
ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এবার মেয়েদের পোশাকে নতুনত্ব বেশি। বৈচিত্র্য আনা হয়েছে নকশায়ও। শাড়িতে সুতি, সিল্ক, হাফসিল্ক, গাদোয়ান, জুট কটন, মসলিন, এন্ডি ও তাঁতের কাপড়ে করা হয়েছে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপলিক, ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট। সালোয়ার কামিজে ফিরে এল লং কাট। সুতি, এন্ডি, মসলিন, সিল্ক, শিফন ও জর্জেটের কাপড়ে করা হয়েছে প্যাচওয়ার্ক, নেকলাইন ও ইয়ক লাইনের কাজ। রয়েছে কাটিংয়েও ভিন্নতা। তরুণী ও টিন-এজারদের জন্য রয়েছে পাইরেট প্যান্ট, টপস, কুর্তি ও এ-লাইন কাট লম্বা কামিজ সঙ্গে চুড়িদার বা প্যান্ট কাট সালোয়ার। ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেমি লংয়ের প্রাধান্য। গতবারের বডিফিট পাঞ্জাবি এবার একটু ঢিলেঢালা। সুতি, খাদি, সিল্ক, এন্ডি ও দোপিয়ান কাপড়ে রয়েছে বাহারি নকশা। তবে স্ট্রাইপের পাঞ্জাবির কদর এবার একটু বেশি।
এত গেল ফ্যাশনের বৈচিত্র্যের খোঁজ। তবে ট্রেন্ডি পোশাকই যে পরতে হবে তা কিন্তু নয়। ফ্যাশন ডিজাইনারদের পরামর্শ, পোশাক যতই ফ্যাশনেবল হোক না কেন, তা আপনার সঙ্গে মাননসই কি না, বিষয়টি ভাবতে হবে।
ফ্যাশন হাউস রঙ-এর কর্ণধার ও ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, ‘এবারের ঈদ যেহেতু বর্ষার শেষ দিকে, তাই পোশাকে নীলের ছোঁয়া থাকবেই। এ ছাড়া আমরা রংধনুর সাত রং ব্যবহার করেছি। মেয়েদের সালোয়ার কামিজ ও শাড়ি এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি ও টি-শার্টের নকশায় এসেছে বর্ষার নানা রূপ। অবশ্য অন্যান্য মোটিফেরও কিছু কাজ করেছি।’
‘আবার বৃষ্টির পর ভ্যপসা গরমে ঘামের চিটচিটে ভাবটা যেন অস্বস্তি তৈরি না করে, সে জন্য সকালবেলায় নীল রঙের সুতি কিংবা হাফ সিল্কের পোশাক আরামদায়ক হবে। অবশ্য সন্ধ্যায় জমকালো সাজের জন্য বেশ আকর্ষণীয় হবে মসলিন অথবা সিল্কের দামি কাপড়ের পোশাক, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে গাঢ় রঙের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজে ফুটে উঠবে সৌন্দর্য। তবে অবশ্যই রঙের সম্মিলন করতে হবে একটু ভেবেচিন্তে,’ বললেন বিপ্লব সাহা।
সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্রেতারা এখন ঋতু ও রং-সচেতন। ঐতিহ্যের সঙ্গে ঋতুর রঙের মিশেলই যেন পোশাকে মুখ্য ব্যাপার। আর আকাশের চাঁদোয়া নীল বলেই হয়তো নীল রং সবার বেশি প্রিয়। রংধনু বুকে নিয়ে নীল আকাশ যেমন ধরণিতে রঙের বর্ষণ ঘটায়, তেমনি আমাদের জীবনেও নীলের ছোঁয়া আনে স্নিগ্ধ পরশ।
রওশনস বুটিকের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার রওশন আরা চৌধুরী বলেন, ‘ঈদে শরতের আগমনী বার্তা থাকলেও বর্ষার দাপট থেকেই যাবে। তাই আবহাওয়া বুঝে আরামদায়ক কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছি। এর মধ্যে উৎসবের জন্য একটু এক্সক্লুসিভ কাপড়ই ব্যবহার করা হয়েছে পোশাকে। আর রঙে মুখ্য বর্ষার নীল—সঙ্গে মেরুন, ব্লু পেস্টাল, আকাশি ও শেওলা সবুজের মিশেল।’
ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এবার মেয়েদের পোশাকে নতুনত্ব বেশি। বৈচিত্র্য আনা হয়েছে নকশায়ও। শাড়িতে সুতি, সিল্ক, হাফসিল্ক, গাদোয়ান, জুট কটন, মসলিন, এন্ডি ও তাঁতের কাপড়ে করা হয়েছে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপলিক, ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট। সালোয়ার কামিজে ফিরে এল লং কাট। সুতি, এন্ডি, মসলিন, সিল্ক, শিফন ও জর্জেটের কাপড়ে করা হয়েছে প্যাচওয়ার্ক, নেকলাইন ও ইয়ক লাইনের কাজ। রয়েছে কাটিংয়েও ভিন্নতা। তরুণী ও টিন-এজারদের জন্য রয়েছে পাইরেট প্যান্ট, টপস, কুর্তি ও এ-লাইন কাট লম্বা কামিজ সঙ্গে চুড়িদার বা প্যান্ট কাট সালোয়ার। ছেলেদের পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেমি লংয়ের প্রাধান্য। গতবারের বডিফিট পাঞ্জাবি এবার একটু ঢিলেঢালা। সুতি, খাদি, সিল্ক, এন্ডি ও দোপিয়ান কাপড়ে রয়েছে বাহারি নকশা। তবে স্ট্রাইপের পাঞ্জাবির কদর এবার একটু বেশি।
এত গেল ফ্যাশনের বৈচিত্র্যের খোঁজ। তবে ট্রেন্ডি পোশাকই যে পরতে হবে তা কিন্তু নয়। ফ্যাশন ডিজাইনারদের পরামর্শ, পোশাক যতই ফ্যাশনেবল হোক না কেন, তা আপনার সঙ্গে মাননসই কি না, বিষয়টি ভাবতে হবে।
No comments