তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে ঈদের আগেই সিদ্ধান্ত চাই নইলে কঠোর আন্দোলন- ইফতার পার্টিতে খালেদা জিয়া
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের ব্যাপারে সরকারকে ঈদের আগেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে ১৮ দলীয় জোটের বাইরের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের এক প্লাটফর্মে শরিক হয়ে দেশরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এমন নির্বাচন বিএনপি হতেও দেবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই তা নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। কারণ, নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সরকারের পরিণতি হবে করুণ। তাই তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। সরকারকে সতর্ক করে খালেদা জিয়া বলেন, এখনও সময় আছে। সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তা না হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশ বাঁচাতে ঈদের পর যে আন্দোলন শুরু হবে তা ধাপে ধাপে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে। সে আন্দোলনে ১৮ দলীয় জোটের বাইরে সব দল, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের শরিক হতে হবে। তিনি বলেন, মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন ও বর্তমান সরকার দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এ দেশকে রক্ষা করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ আজ নিরাপদ নয়, তারা ন্যায়বিচার পায় না। যেখানে বিচার পাওয়ার কথা সেই আদালত দলীয় আদালতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এদেশে এখন সাংবাদিকরাও নিরাপদ নয়। এ সরকারের আমলে ১৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ অনেক নেতাকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোন মাথ্যাব্যথা নেই। তারা আছে চাঁদাবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত।
খালেদা জিয়া বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চাঁদাবাজির কারণে মানুষ আজ অসহায়। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে যে সরকার জড়িত তা বিশ্বের সবাই জেনে গেছে। এ কারণেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। এ সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু করা সম্ভব হচ্ছে নয়। তবে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পদ্মা সেতু করা হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, এক মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশপ্রেমিক। তিনি আসলে টাকাপ্রেমিক নন বরং লুটপাটপ্রেমিক। তার কারণে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমান সরকারের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা দেখা গিয়েছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সবাই ১৮ দলীয় জোটের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে ঈদের পর কর্মসূচী আসছে। সে কর্মসূচী ধাপে ধাপে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে। এজন্যই জোটের বাইরে যারা আছে তাদের ও পেশাজীবীদের এ আন্দোলনে শরিক হতে হবে।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, লুটপাট করে কেউ কিছু উপভোগ করতে পারেনি। জনগণের টাকা লুট করে উপভোগ করা যায় না। আপনারাও পারবেন না। লুটপাট যারা করেছে তাদের সবারই বিচার হবে। কেউই রেহাই পাবেন না।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, আসম হান্নান শাহ এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম। ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে খাবার ও বসার জায়গা নিয়ে বাকবিত-া ও ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হয়। এ নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এমন নির্বাচন বিএনপি হতেও দেবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই তা নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। কারণ, নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সরকারের পরিণতি হবে করুণ। তাই তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। সরকারকে সতর্ক করে খালেদা জিয়া বলেন, এখনও সময় আছে। সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তা না হলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশ বাঁচাতে ঈদের পর যে আন্দোলন শুরু হবে তা ধাপে ধাপে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে। সে আন্দোলনে ১৮ দলীয় জোটের বাইরে সব দল, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের শরিক হতে হবে। তিনি বলেন, মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দীন ও বর্তমান সরকার দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এ দেশকে রক্ষা করতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ আজ নিরাপদ নয়, তারা ন্যায়বিচার পায় না। যেখানে বিচার পাওয়ার কথা সেই আদালত দলীয় আদালতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, এদেশে এখন সাংবাদিকরাও নিরাপদ নয়। এ সরকারের আমলে ১৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ অনেক নেতাকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোন মাথ্যাব্যথা নেই। তারা আছে চাঁদাবাজি ও লুটপাটে ব্যস্ত।
খালেদা জিয়া বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চাঁদাবাজির কারণে মানুষ আজ অসহায়। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরাও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে যে সরকার জড়িত তা বিশ্বের সবাই জেনে গেছে। এ কারণেই ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্নীতির কারণেই পদ্মা সেতু প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। এ সরকারের আমলে আর পদ্মা সেতু করা সম্ভব হচ্ছে নয়। তবে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পদ্মা সেতু করা হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, এক মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশপ্রেমিক। তিনি আসলে টাকাপ্রেমিক নন বরং লুটপাটপ্রেমিক। তার কারণে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমান সরকারের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা দেখা গিয়েছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সবাই ১৮ দলীয় জোটের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে ঈদের পর কর্মসূচী আসছে। সে কর্মসূচী ধাপে ধাপে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে। এজন্যই জোটের বাইরে যারা আছে তাদের ও পেশাজীবীদের এ আন্দোলনে শরিক হতে হবে।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, লুটপাট করে কেউ কিছু উপভোগ করতে পারেনি। জনগণের টাকা লুট করে উপভোগ করা যায় না। আপনারাও পারবেন না। লুটপাট যারা করেছে তাদের সবারই বিচার হবে। কেউই রেহাই পাবেন না।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, আসম হান্নান শাহ এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম। ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে খাবার ও বসার জায়গা নিয়ে বাকবিত-া ও ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হয়। এ নিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
No comments