বর্জ্য পাহাড়-বুড়িগঙ্গা খুঁড়ে তোলা হচ্ছে 0শত শত লোকের শোভাযাত্রা টঙ্গীর পারে 0 লোকসঙ্গীত 0 নৌ র্যালি 0 -প্রথমদিনে ৪ শত টন বর্জ্য অপসারণ দখলদারদের বিরম্নদ্ধে জিহাদ ঘোষণা
অবশেষে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পলিথিনসহ বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরম্ন হয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতুর দৰিণপাড় থেকে বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ১২টায় বাদামতলী ও কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর ঘাটে বর্জ্য অপসারণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রথম দিনেই বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে ৪শ' টনের অধিক বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এসব বর্জ্যের মধ্যে অধিকাংশই পলিথিন, পস্নাস্টিক দ্রব্যসহ অন্য অপচনশীল বর্জ্য রয়েছে। এ আবর্জনা আমিনবাজার ও মাতুয়াইল ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে। আবর্জনা ফেলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে দু'টি বার্জ (ময়লাবাহী জাহাজ)। বিআইডবিস্নউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোহম্মদ আব্দুল মতিন জানান, প্রত্যেক দিন ৪শ' টনের অধিক বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে। তবে উত্তোলনের চেয়ে অপসারিত আবর্জনা ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে আসতে সময় একটু বেশি লাগছে। এ কারণে প্রত্যাশা মতো উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না।
সংশিস্নষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে সরকারের নদী রৰার কাজ একধাপ অগ্রসর হলো। তবে পরিবেশবাদীরা আশা করছেন সরকারের এ উদ্যোগ যেন মাঝপথে থেমে না যায়। সরকারের এ পদৰেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন এ সময় বুড়িগঙ্গায় নৌ শোভাযাত্রা করে। বুড়িগঙ্গাকে দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। তাই সরকারে পৰ থেকে বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়ার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরম্ন করার সময় নদীর দু'পাড়ে শ' শ' মানুষ ব্যানার, ফেস্টুনসহকারে বর্জ্য অপসারণের কাজকে স্বাগত জানায়। এ সময় লোকসঙ্গীত শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। এ সরকার ৰমতায় এসেই নদীর গতিপ্রবাহ ও নাব্য রৰায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। গত মাসে টাস্কফোর্সের সর্বশেষ বৈঠকে বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে পলিথিন অপসারণের সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়। আর এ ধারাবাহিকতায় বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরম্ন হয়।
এর আগে সদরঘাটে সকাল ১০টায় প্রকল্পের উদ্বোধন উপলৰে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, নদী রৰাসহ পরিবেশ উন্নয়নে জনগণের সচেতনতা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জনগণকে সম্পৃক্ত করা না হলে কোন আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলা যায় না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের চেয়ে কেউ ৰমতাধর হতে পারে না। দখলদাররা যত শক্তিশালীই হোক না কেন দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করে নদীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হবে। বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিবেশ আইন ও পরিবেশ আদালত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। আইন সংশোধন করা হলে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আব্দুলস্নাহ আবু সাঈদ বলেন, সরকার নদী রৰায় যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ইতবাচক। তবে সরকারের এ উদ্যোগ যেন মাঝপথে থেমে না যায়।
বিআইডবিস্নউটিএ সূত্রে জানা গেছে, দ'ুটি পর্যায় ভাগ করে নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে যে কাজ শুরম্ন করা হয়েছে তা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর ৪ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে কামরাঙ্গীরচর মসজিদ পর্যনত্ম ৩ কিলোমিটার এবং তুরাগ নদীর টঙ্গিবাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার পর্যনত্ম। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকার চারপাশের অন্যান্য নদীর ২২ কিলোমিটার এলাকা খননের মাধ্যমে পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য অপসারণের কাজ করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ' ৭৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হবে ২০১১ সালে।
বুড়িগঙ্গাকে রৰা করার জন্য পরিবেশবাদী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিগত সময়ে বেশ কয়েকবার বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিলেও তা বাসত্মবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৬ সালের শেষের দিকে বিআইডবিস্নউটির পৰ থেকে বুড়িগঙ্গার তলদেশে অনুসন্ধান চালানো হয়। ওই অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্যান্য আবর্জনার সঙ্গে প্রায় ১০ ফুট পলিথিনের বিশাল সত্মর নদীর তলদেশে জমাট বেঁধে আছে, যা সাধারণ কোন ড্রেজার মেশিন দিয়ে অপসারণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এতদিনেও বিশেষ কোন কাটার মেশিন বিদেশ থেকে আমদানি না করায় পলিথিনের এই আসত্মরণ তোলা সম্ভব হয়নি। সরকার বুড়িগঙ্গাকে দূষণ ও দখলরোধে ২০০২ সালে আনত্মঃ মন্ত্রণালয় ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। এই টাস্কফোর্স যে ১৭ দফা সুপারিশ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে জমে থাকা আবর্জনা ও পলিথিনের আসত্মরণ অপসারণ করা। কিন্তু সরকারের উদ্যোগের অভাবে সে সুপারিশ বাসত্মবায়ন হয়নি।
কিনুত্ম যে পলিথিনের কারণে বুড়িঙ্গার এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়, তার উৎপাদন আজও বন্ধ হয়নি। সরকারীভাবে এর উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও আইন প্রয়োগের অভাবে বুড়িগঙ্গার তীরেই পলিথিনের উৎপাদন অব্যাহত আছে। পরিবেশ অধিদফতর থেকে এর বিরম্নদ্ধে কার্যকরী কোন পদৰেপ নিচ্ছে না। পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িতদের আইনে ১০ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও সংশিস্নষ্টরা বলছেন এ আইনের প্রয়োগ না থাকায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা পলিথিন বাজারজাত করছে। বুড়িঙ্গা তলদেশ পলিথিন অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর উৎপাদনকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের মতে, কারা পলিথিন উৎপাদন করছে, কিভাবে নদীতে ফেলছে এর নজরদারির জন্য পরিবেশ অধিদফতরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ দল গঠন করতে হবে। এই দল সর্বৰণিক পর্যবেৰণ ও নজরদারি করবে।
আমাদের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, দুপুর ১২টার দিকে বর্জ্য অপসারণ কাজ উদ্বোধনের সময় নদীর দু'ধারে শ' শ' লোক দাঁড়িয়ে সরকারের এ কাজকে স্বাগত জানায়। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এ সময় নৌ-র্যালি ও শোভাযাত্রা বের করে। লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতিসহ অন্য শিল্পীরা নদী রৰায় লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন। এদিকে নদী রৰায় বিভিন্ন সংগঠন সরকারের এ কাজকে স্বাগত জানিয়েছে। বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের পৰ থেকে সরকারের এ কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, এ উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে শেষ না হওয়া পর্যনত্ম অব্যাহত রাখতে হবে। অতীতের মতো যেন মুখ থুবড়ে না পড়ে। ঢাকা নাগরিকের পৰ থেকে বলা হয়, বহু প্রতিৰীত এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতিশ্রম্নতি বাসত্মবায়নে দায়িত্বশীলতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তাঁরা সরকারের এ কার্যক্রমকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তবে পলিথিন ও অন্যান্য অপসারিত বর্জ্য আমিনবাজারে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার সিদ্ধানত্মে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির বেলার পৰ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার সংগঠনের এক বার্তায় বলা হয়, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বন্যাপ্রবাহ এলাকায় ডাম্পিং ডিপো স্থাপন অনুমোদনযোগ্য নয়। তাছাড়া উলিস্নখিত ডাম্পিং স্টেশনটি লাল শ্রেণীভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশগত অনুমোদন ব্যতিত বন্যাপ্রবাহ এলাকায় স্থাপন করার বিরম্নদ্ধে বেলার পৰ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় নদীর তলদেশে পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য উত্তোলনের পর মাতুয়াইল ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার দাবি জানান তাঁরা।
সংশিস্নষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে সরকারের নদী রৰার কাজ একধাপ অগ্রসর হলো। তবে পরিবেশবাদীরা আশা করছেন সরকারের এ উদ্যোগ যেন মাঝপথে থেমে না যায়। সরকারের এ পদৰেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন এ সময় বুড়িগঙ্গায় নৌ শোভাযাত্রা করে। বুড়িগঙ্গাকে দখল ও দূষণমুক্ত করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। তাই সরকারে পৰ থেকে বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়ার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরম্ন করার সময় নদীর দু'পাড়ে শ' শ' মানুষ ব্যানার, ফেস্টুনসহকারে বর্জ্য অপসারণের কাজকে স্বাগত জানায়। এ সময় লোকসঙ্গীত শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। এ সরকার ৰমতায় এসেই নদীর গতিপ্রবাহ ও নাব্য রৰায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। গত মাসে টাস্কফোর্সের সর্বশেষ বৈঠকে বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে পলিথিন অপসারণের সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়। আর এ ধারাবাহিকতায় বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরম্ন হয়।
এর আগে সদরঘাটে সকাল ১০টায় প্রকল্পের উদ্বোধন উপলৰে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, নদী রৰাসহ পরিবেশ উন্নয়নে জনগণের সচেতনতা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। জনগণকে সম্পৃক্ত করা না হলে কোন আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলা যায় না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের চেয়ে কেউ ৰমতাধর হতে পারে না। দখলদাররা যত শক্তিশালীই হোক না কেন দখলকৃত জায়গা উদ্ধার করে নদীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হবে। বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিবেশ আইন ও পরিবেশ আদালত আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। আইন সংশোধন করা হলে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আব্দুলস্নাহ আবু সাঈদ বলেন, সরকার নদী রৰায় যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ইতবাচক। তবে সরকারের এ উদ্যোগ যেন মাঝপথে থেমে না যায়।
বিআইডবিস্নউটিএ সূত্রে জানা গেছে, দ'ুটি পর্যায় ভাগ করে নদীর তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে যে কাজ শুরম্ন করা হয়েছে তা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর ৪ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এর মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে কামরাঙ্গীরচর মসজিদ পর্যনত্ম ৩ কিলোমিটার এবং তুরাগ নদীর টঙ্গিবাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার পর্যনত্ম। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকার চারপাশের অন্যান্য নদীর ২২ কিলোমিটার এলাকা খননের মাধ্যমে পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য অপসারণের কাজ করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১শ' ৭৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হবে ২০১১ সালে।
বুড়িগঙ্গাকে রৰা করার জন্য পরিবেশবাদী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিগত সময়ে বেশ কয়েকবার বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নিলেও তা বাসত্মবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৬ সালের শেষের দিকে বিআইডবিস্নউটির পৰ থেকে বুড়িগঙ্গার তলদেশে অনুসন্ধান চালানো হয়। ওই অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্যান্য আবর্জনার সঙ্গে প্রায় ১০ ফুট পলিথিনের বিশাল সত্মর নদীর তলদেশে জমাট বেঁধে আছে, যা সাধারণ কোন ড্রেজার মেশিন দিয়ে অপসারণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এতদিনেও বিশেষ কোন কাটার মেশিন বিদেশ থেকে আমদানি না করায় পলিথিনের এই আসত্মরণ তোলা সম্ভব হয়নি। সরকার বুড়িগঙ্গাকে দূষণ ও দখলরোধে ২০০২ সালে আনত্মঃ মন্ত্রণালয় ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। এই টাস্কফোর্স যে ১৭ দফা সুপারিশ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল বুড়িগঙ্গার তলদেশ থেকে জমে থাকা আবর্জনা ও পলিথিনের আসত্মরণ অপসারণ করা। কিন্তু সরকারের উদ্যোগের অভাবে সে সুপারিশ বাসত্মবায়ন হয়নি।
কিনুত্ম যে পলিথিনের কারণে বুড়িঙ্গার এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়, তার উৎপাদন আজও বন্ধ হয়নি। সরকারীভাবে এর উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও আইন প্রয়োগের অভাবে বুড়িগঙ্গার তীরেই পলিথিনের উৎপাদন অব্যাহত আছে। পরিবেশ অধিদফতর থেকে এর বিরম্নদ্ধে কার্যকরী কোন পদৰেপ নিচ্ছে না। পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িতদের আইনে ১০ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও সংশিস্নষ্টরা বলছেন এ আইনের প্রয়োগ না থাকায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা পলিথিন বাজারজাত করছে। বুড়িঙ্গা তলদেশ পলিথিন অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর উৎপাদনকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের মতে, কারা পলিথিন উৎপাদন করছে, কিভাবে নদীতে ফেলছে এর নজরদারির জন্য পরিবেশ অধিদফতরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ দল গঠন করতে হবে। এই দল সর্বৰণিক পর্যবেৰণ ও নজরদারি করবে।
আমাদের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, দুপুর ১২টার দিকে বর্জ্য অপসারণ কাজ উদ্বোধনের সময় নদীর দু'ধারে শ' শ' লোক দাঁড়িয়ে সরকারের এ কাজকে স্বাগত জানায়। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এ সময় নৌ-র্যালি ও শোভাযাত্রা বের করে। লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতিসহ অন্য শিল্পীরা নদী রৰায় লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন। এদিকে নদী রৰায় বিভিন্ন সংগঠন সরকারের এ কাজকে স্বাগত জানিয়েছে। বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের পৰ থেকে সরকারের এ কাজকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, এ উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে শেষ না হওয়া পর্যনত্ম অব্যাহত রাখতে হবে। অতীতের মতো যেন মুখ থুবড়ে না পড়ে। ঢাকা নাগরিকের পৰ থেকে বলা হয়, বহু প্রতিৰীত এই কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতিশ্রম্নতি বাসত্মবায়নে দায়িত্বশীলতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। তাঁরা সরকারের এ কার্যক্রমকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
তবে পলিথিন ও অন্যান্য অপসারিত বর্জ্য আমিনবাজারে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার সিদ্ধানত্মে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির বেলার পৰ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার সংগঠনের এক বার্তায় বলা হয়, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বন্যাপ্রবাহ এলাকায় ডাম্পিং ডিপো স্থাপন অনুমোদনযোগ্য নয়। তাছাড়া উলিস্নখিত ডাম্পিং স্টেশনটি লাল শ্রেণীভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশগত অনুমোদন ব্যতিত বন্যাপ্রবাহ এলাকায় স্থাপন করার বিরম্নদ্ধে বেলার পৰ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় নদীর তলদেশে পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য উত্তোলনের পর মাতুয়াইল ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার দাবি জানান তাঁরা।
No comments