চোখ ধাঁধানো শার্ট প্যান্ট জুতো স্যান্ডেলে ভরে গেছে শপিংমল- ঈদ বাজার- পলওয়েল সুপার মার্কেট ও গাজী ভবনের ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য আমদানি করেছেন by এম শাহজাহান
এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি ও ইস্টার্ন প্লাজার শোরুমগুলোতে চোখ ধাঁধানো যে শার্ট-প্যান্ট, জুতো-স্যান্ডেল, গেঞ্জি, ব্যাগ, বেল্ট ও টিশার্ট থরে থরে সাজিয়ে রাখা হযেছে তার প্রায় সবই যাচ্ছে পলওয়েল সুপার মার্কেট ও গাজী ভবন থেকে। বিদেশী পণ্যের পাইকারি মার্কেট হিসেবে বিশেষ পরিচিতি আছে এই দুটো মার্কেটের।
রাজধানীর গ-ি ছাপিয়ে পলওয়েল সুপার মার্কেট ও গাজী ভবনের পণ্য যাচ্ছে সারাদেশের মার্কেট, বিপণিবিতান ও শপিংমলগুলোতে। আর এ দুটো মার্কেটের পণ্য আমদানি হচ্ছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও কোরিয়া থেকে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড, চীন ও ভারতের পণ্যই বেশি।
বিচ্ছিন্নভাবে আমদানি হওয়ায় সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ঈদ সামনে রেখে প্রায় ৫ শতাধিক কন্টেনার পণ্য আমদানি করেছে এ দুই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বেচাবিক্রিও ভাল হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রি তেমন নেই বললেই চলে। এজন্য এ দু’মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মনে কিছুটা ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি তাঁরা সব সময় খুচরা বিক্রি করে থাকেন। কারণ খুচরা বিক্রিতে লাভ ভাল হয়। এছাড়া ক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর খুচরা ক্রেতার বড় অভাব এ দুই মার্কেটে।
এ প্রসঙ্গে পলওয়েল সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এ. কাইয়ুম তালুকদার মনি জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এ বছরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঈদ পণ্যসামগ্রী আমদানি করা হয়েছে। বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে। তবে খুচরা দোকানদারদের বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারি মার্কেটে এখনও প্রভাব না পড়লেও ঈদ সামনে রেখে বেচাবিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে। এ পরিস্থিতিতে এখানকার ব্যবসায়ীরা কিছুটা উদ্বিগ্নও।
তিনি বলেন, পলওয়েল সুপার মার্কেট ঈদের চাঁনরাত পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। কারণ ওই সময় খুচরা বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকাররাও পণ্য নিতে ছুটে আসেন। পণ্যের দাম বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপের ধনীদেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। বেড়েছে ডলার ও কাপড়চোপড়ের দাম। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বেচাবিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। বেচাবিক্রি কমে যাচ্ছে।
এদিকে গাজী ভবনে প্রায় শতাধিক পাইকারি দোকান রয়েছে। ৪ শতাধিক দোকান আছে পলওয়েল সুপার মার্কেটে। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার সব দোকান নতুন পোশাকে ভরে উঠেছে। নতুন পোশাকের গন্ধে আলাদা এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এ দুই মার্কেটে। কিন্তু বেচাবিক্রি কম হওয়ায় গাজী ভবনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আলাপকালে গাজী ভবন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক নাসিম জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছর শুরু থেকে বেচাবিক্রি কম। ফলে এ মার্কেটের আমদানিকারকরা এ বছর প্রায় ৪০ শতাংশ পণ্য কম আমদানি করেছেন। আমদানি কম হওয়ার পরও বেচাবিক্রিতে ভাটা পড়ায় দোকানগুলো নতুন পোশাকে ভরপুর রয়েছে। তিনি বলেন, গত শীতের সময় বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র এনে আমদানিকারকরা ধরা খেয়েছেন। শীত স্থায়ী না হওয়ায় পরবর্তীতে আর মালগুলো বিক্রি করা যায়নি। ঠিক তেমনি এ বছর ঈদ সামনে রেখে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছে তাও অবিক্রীত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এসএ কাদের চৌধুরী কিরণ জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে শব-ই-বরাতের পর থেকে ব্যবসায়ীরা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এখন তাঁরা ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি মার্কেট, শপিং মল, বিপনিবিতান, ফ্যাশন হাউসসহ সবখানে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে খুচরা পর্যায়ে বেচাবিক্রি বাড়বে। তিনি বলেন, ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার রমজানে ৮টার পর আর দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে না। সরকারের বিদ্যুত বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে যতক্ষণ ক্রেতা থাকবে ততক্ষণ দোকান খোলা রাখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন।
বিচ্ছিন্নভাবে আমদানি হওয়ায় সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ঈদ সামনে রেখে প্রায় ৫ শতাধিক কন্টেনার পণ্য আমদানি করেছে এ দুই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বেচাবিক্রিও ভাল হচ্ছে। তবে খুচরা বিক্রি তেমন নেই বললেই চলে। এজন্য এ দু’মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মনে কিছুটা ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তাঁরা বলছেন, পাইকারি বিক্রির পাশাপাশি তাঁরা সব সময় খুচরা বিক্রি করে থাকেন। কারণ খুচরা বিক্রিতে লাভ ভাল হয়। এছাড়া ক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর খুচরা ক্রেতার বড় অভাব এ দুই মার্কেটে।
এ প্রসঙ্গে পলওয়েল সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এ. কাইয়ুম তালুকদার মনি জনকণ্ঠকে বলেন, প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এ বছরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঈদ পণ্যসামগ্রী আমদানি করা হয়েছে। বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে। তবে খুচরা দোকানদারদের বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারি মার্কেটে এখনও প্রভাব না পড়লেও ঈদ সামনে রেখে বেচাবিক্রি শূন্যের কোঠায় নেমে আসতে পারে। এ পরিস্থিতিতে এখানকার ব্যবসায়ীরা কিছুটা উদ্বিগ্নও।
তিনি বলেন, পলওয়েল সুপার মার্কেট ঈদের চাঁনরাত পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। কারণ ওই সময় খুচরা বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন পাইকাররাও পণ্য নিতে ছুটে আসেন। পণ্যের দাম বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপের ধনীদেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। বেড়েছে ডলার ও কাপড়চোপড়ের দাম। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বেচাবিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। বেচাবিক্রি কমে যাচ্ছে।
এদিকে গাজী ভবনে প্রায় শতাধিক পাইকারি দোকান রয়েছে। ৪ শতাধিক দোকান আছে পলওয়েল সুপার মার্কেটে। সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার সব দোকান নতুন পোশাকে ভরে উঠেছে। নতুন পোশাকের গন্ধে আলাদা এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এ দুই মার্কেটে। কিন্তু বেচাবিক্রি কম হওয়ায় গাজী ভবনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আলাপকালে গাজী ভবন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক নাসিম জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছর শুরু থেকে বেচাবিক্রি কম। ফলে এ মার্কেটের আমদানিকারকরা এ বছর প্রায় ৪০ শতাংশ পণ্য কম আমদানি করেছেন। আমদানি কম হওয়ার পরও বেচাবিক্রিতে ভাটা পড়ায় দোকানগুলো নতুন পোশাকে ভরপুর রয়েছে। তিনি বলেন, গত শীতের সময় বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র এনে আমদানিকারকরা ধরা খেয়েছেন। শীত স্থায়ী না হওয়ায় পরবর্তীতে আর মালগুলো বিক্রি করা যায়নি। ঠিক তেমনি এ বছর ঈদ সামনে রেখে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছে তাও অবিক্রীত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এসএ কাদের চৌধুরী কিরণ জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে শব-ই-বরাতের পর থেকে ব্যবসায়ীরা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। এখন তাঁরা ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি মার্কেট, শপিং মল, বিপনিবিতান, ফ্যাশন হাউসসহ সবখানে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে খুচরা পর্যায়ে বেচাবিক্রি বাড়বে। তিনি বলেন, ক্রেতাদের সুবিধার্থে এবার রমজানে ৮টার পর আর দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে না। সরকারের বিদ্যুত বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে যতক্ষণ ক্রেতা থাকবে ততক্ষণ দোকান খোলা রাখা হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন।
No comments