পাঠকের প্রশ্ন, আইনি পরামর্শ

যেকোনো আইনি সমস্যা ও প্রশ্ন থাকলে লিখুন। বিজ্ঞ আইনজীবীরা পরামর্শ দেবেন। ঠিকানা: আইন অধিকার, প্রথম আলো, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল ain@prothom-alo.info
মিথ্যা মামলা থেকে হয়রানির মুক্তি কী?


সমস্যা: আমার বড় বোনের নিজের নামে কিছু বসতভিটা রয়েছে। তার একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে। সে হাঁটতে ও কথা বলতে পারে না; এমনকি কানেও শোনে না। আমাদের পরিবার থেকে যৌতুকের টাকা নিতে ও বোনের নামে থাকা জমি লিখে দিতে তাঁর স্বামী চাপ দেন। এতে রাজি না হলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং বোনের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন।
আমাদের পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে তার স্বামী স্থানীয় থানায় একটি চুরির মিথ্যা অভিযোগও দাখিল করেন। বোন নিরূপায় হয়ে প্রথমে ১১-১১-১১ তারিখে থানায় একটি অভিযোগ করেন। এতে কাজ না হওয়ায় ২২-১১-১১ তারিখে কুমিল্লায় একটি যৌতুকের মামলা করেন। এ জন্য আমার ছোট ভাইকে হুমকি দেওয়ায় সে ১৭-১১-১১ তারিখে থানায় একটি জিডি করে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। স্বামীর হুমকি অব্যাহত।
প্রতিবন্ধী মেয়েটির কী হবে, দ্বিতীয় বিয়ের কোনো শাস্তি হবে কি না, বোনটি কীভাবে অধিকার ফিরে পাবে, থানায় ওয়ারেন্ট আসার পরও পুলিশের টনক নড়ছে না কেন, মিথ্যা চুরির অভিযোগের কী হবে? আইনি পরামর্শ চাই।
মোহাম্মদ আবু ইউছুফ
কুমিল্লা।
পরামর্শ: যৌতুকের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি কী অবস্থায় আছে তা উল্লেখ করেননি। মামলাটি পুলিশি তদন্তে আছে কি না তাও স্পষ্ট নয়। পুলিশি তদন্তে গড়িমসি করলে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিষয়টি অবগত করতে পারেন। মেয়েটির স্বামী যদি জামিনে থাকে তাহলে হুমকি-ধামকি দিলে জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারেন।
চুরির অভিযোগে মিথ্যা মামলা করা হয়ে থাকলে আদালতেই তা প্রমাণ করতে হবে। তবে মিথ্যা মামলার অভিযোগে দণ্ডবিধি আইন অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। মেয়েটির স্বামী প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করলে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী মামলা করার সুযোগ আছে। এ আইন অনুযায়ী শাস্তিরও বিধান আছে।

প্রাপ্য দাবি আদায়ে কী পদক্ষেপ নিতে পারি?
সমস্যা: আমার বাবা ২০০৩ সালে চাকরিতে কর্তব্যরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন কর্মচারী ছিলেন।
সেই সময় সারা দেশের রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীদের অবরোধ ও আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ রেলওয়ে আমাদের পরিবারকে চট্টগ্রাম শহরে তিন কাঠা জমি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে পূর্বাঞ্চল জোনের জিএম (জেনারেল ম্যানেজার) স্বাক্ষর করেন। প্রতিশ্রুতি ও আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ তৎকালীন সব দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই সময় আমি একজন স্কুলবালক ছিলাম। তাই এ ব্যাপারে কী করণীয় তা ঠিক করতে পারিনি। এই মুহূর্তে প্রাপ্য দাবি আদায়ে আমি কী পদক্ষেপ নিতে পারি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
চট্টগ্রাম।
পরামর্শ: আপনি বিষয়টি জানিয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করতে পারেন।
কাজী জাহেদ ইকবাল
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

No comments

Powered by Blogger.