মিজানুর রহমান বললেন-রাষ্ট্র দুর্নীতির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, কালো টাকার বৈধতা দিচ্ছে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘প্রতিবছর বাজেটের আগে সরকার কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়। কিন্তু অভাবী মানুষের বা দিনমজুরের তো কালোটাকা নেই। আমরা দেখেছি, এর আগে অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিক কালোটাকা সাদা করে রাজনীতি করে যাচ্ছেন।
ফলে দুর্নীতির ব্যবস্থা রাষ্ট্রই করে দিচ্ছে। কালোটাকার বৈধতা দিচ্ছে।’
মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন দুর্নীতির আশ্রয় দিচ্ছে, তাহলে কিসের দুর্নীতিবিরোধী কথা, কিসের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান? তাহলে ১৯৭১ সালে রাষ্ট্র সব নাগরিকের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, এর মাধ্যমে সে চুক্তির সঙ্গে বরখেলাপ করা হয়েছে।
‘খাদ্য অধিকারের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এই সেমিনারে মিজানুর রহমান ছিলেন প্রধান অতিথি। খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলন এই সেমিনারের আয়োজন করে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব অভাবী মানুষের খাদ্যের সংস্থান করার পাশাপাশি কর্মের সংস্থান করা। গরিব মানুষের খাদ্য-বঞ্চনার কারণগুলো আমাদের শনাক্ত করতে হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ। তিনি বলেন, ‘খাদ্যের দাম ও দরিদ্রদের আয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান না করে আমাদের মতো দেশে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের হতদরিদ্রদের একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেইস তৈরি করতে হবে। প্রাকৃতিক বিপদ এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য সরকারের খাদ্যগুদামে মোট উৎপাদনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ খাদ্যশস্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’
অতিথি আলোচক বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় আট লাখ লোক তিনবেলা ঠিকমতো খেতে পারে না, ঢাকায় এই সংখ্যা দেড় লাখের মতো। কর আদায়ের ক্ষেত্রে অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে, সেসব বন্ধ করে এই অর্থ দিয়ে অভাবী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’
আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। দিনে দিনে অনেক আইন সংশোধন হয়, কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে আইন অনেক দিন ধরেই সংশোধন হয় না।’ তিনি বলেন, খাদ্যের অভাবে যারা মরছে, তারাও বিচারবহির্ভূত হত্যার অন্তর্ভুক্ত।
মুক্ত আলোচক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব হোসেন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা থাকা উচিত।
মুক্ত আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলনের মনোয়ার মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান প্রমুখ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলনের সদস্যসচিব জাকির হোসেন।
মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন দুর্নীতির আশ্রয় দিচ্ছে, তাহলে কিসের দুর্নীতিবিরোধী কথা, কিসের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান? তাহলে ১৯৭১ সালে রাষ্ট্র সব নাগরিকের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, এর মাধ্যমে সে চুক্তির সঙ্গে বরখেলাপ করা হয়েছে।
‘খাদ্য অধিকারের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এই সেমিনারে মিজানুর রহমান ছিলেন প্রধান অতিথি। খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলন এই সেমিনারের আয়োজন করে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব অভাবী মানুষের খাদ্যের সংস্থান করার পাশাপাশি কর্মের সংস্থান করা। গরিব মানুষের খাদ্য-বঞ্চনার কারণগুলো আমাদের শনাক্ত করতে হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ। তিনি বলেন, ‘খাদ্যের দাম ও দরিদ্রদের আয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান না করে আমাদের মতো দেশে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের হতদরিদ্রদের একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেইস তৈরি করতে হবে। প্রাকৃতিক বিপদ এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য সরকারের খাদ্যগুদামে মোট উৎপাদনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ খাদ্যশস্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’
অতিথি আলোচক বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় আট লাখ লোক তিনবেলা ঠিকমতো খেতে পারে না, ঢাকায় এই সংখ্যা দেড় লাখের মতো। কর আদায়ের ক্ষেত্রে অনেক ফাঁক-ফোকর রয়েছে, সেসব বন্ধ করে এই অর্থ দিয়ে অভাবী মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’
আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা নেই। দিনে দিনে অনেক আইন সংশোধন হয়, কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির বিষয়ে আইন অনেক দিন ধরেই সংশোধন হয় না।’ তিনি বলেন, খাদ্যের অভাবে যারা মরছে, তারাও বিচারবহির্ভূত হত্যার অন্তর্ভুক্ত।
মুক্ত আলোচক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব হোসেন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা থাকা উচিত।
মুক্ত আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলনের মনোয়ার মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান প্রমুখ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা আন্দোলনের সদস্যসচিব জাকির হোসেন।
No comments