এখন প্রয়োজন সামনে এগিয়ে যাওয়া-মহান স্বাধীনতা দিবস
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সময় ১৯৭১, শ্রেষ্ঠ ঘটনা স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। স্বাধীনতা এসেছিল দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। আজ আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদকে। গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সব নারী ও পুরুষকে,
যাঁরা নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সম্ভব করে তুলেছিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাকে। স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ প্রবাসী সরকারের নেতাদের স্মৃতির প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
গতকাল ছিল পঁচিশে মার্চের রাত, ১৯৭১ সালের যে রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। অপারেশন সার্চলাইট নামের এক বর্বর সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে তারা শুরু করেছিল মানবতার ইতিহাসে জঘন্যতম এক গণহত্যা। সেই নৃশংস নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল এক সর্বাত্মক জনযুদ্ধ। আমাদের পুলিশ, ইপিআর, সেনাবাহিনী, আনসার, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক—সবাই মিলে এক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রাণপণ এক যুদ্ধে, যার লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, মুক্তি। দীর্ঘ নয় মাসের সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা হারিয়েছি ৩০ লাখ শহীদকে, দুই লাখ মা-বোনের ওপর চলেছিল সীমাহীন বর্বরতা। সেই সব শহীদ-পরিবারের সদস্যরা আজও বয়ে চলেছেন স্বজন হারানোর দুঃসহ বেদনা। তবে বেদনার বিপরীতে গৌরব আর আনন্দও আছে। ২৬ মার্চ থেকে যে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর সেই যুদ্ধের সফল পরিণতিতে আমরা অর্জন করেছিলাম গৌরবের বিজয়। আজ আমাদের সেই সবকিছুই স্মরণ করার দিন।
আমরা এও ভুলতে পারি না যে গোটা বাঙালি জাতি যে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়িয়েছি সর্বাত্মক জনযুদ্ধে, সেই হানাদারদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল এ দেশের কিছু মানুষ। তারা শুধু পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় সহযোগিতাই করেনি, নিজেরাও অস্ত্র ধরেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী সেদিন এই দেশের নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর চালিয়েছিল মানবতার বিরুদ্ধে নানা অপরাধ। স্বাধীনতার মাসে, স্বাধীনতা দিবসে তাই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিও। এ বিষয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক জনমত ছিল, এখন সে-জনমত আগের চেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছে। সরকারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। সবাই আশা করছেন তাদের বিচার শিগগিরই শুরু করা হবে।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ৩৯ বছর পেরিয়ে গেল। এখন আমাদের ভেবে দেখা উচিত, মুক্তিযুদ্ধে এত আত্মদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চেতনা ছিল গণতন্ত্র; আমাদের সমগ্র মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। বলা বাহুল্য, সেই পথে আমরা বেশি দূর এগোতে পারিনি। আমাদের গণতন্ত্র এখনো ভঙ্গুর, অবিকশিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অগ্রগতি নিশ্চয়ই হয়েছে; তবে সেই পথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে হবে, রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে গণকল্যাণমুখী ধারায় এগিয়ে নিতে হবে। শাসনব্যবস্থার দক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
গতকাল ছিল পঁচিশে মার্চের রাত, ১৯৭১ সালের যে রাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। অপারেশন সার্চলাইট নামের এক বর্বর সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে তারা শুরু করেছিল মানবতার ইতিহাসে জঘন্যতম এক গণহত্যা। সেই নৃশংস নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল এক সর্বাত্মক জনযুদ্ধ। আমাদের পুলিশ, ইপিআর, সেনাবাহিনী, আনসার, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক—সবাই মিলে এক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রাণপণ এক যুদ্ধে, যার লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, মুক্তি। দীর্ঘ নয় মাসের সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা হারিয়েছি ৩০ লাখ শহীদকে, দুই লাখ মা-বোনের ওপর চলেছিল সীমাহীন বর্বরতা। সেই সব শহীদ-পরিবারের সদস্যরা আজও বয়ে চলেছেন স্বজন হারানোর দুঃসহ বেদনা। তবে বেদনার বিপরীতে গৌরব আর আনন্দও আছে। ২৬ মার্চ থেকে যে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর সেই যুদ্ধের সফল পরিণতিতে আমরা অর্জন করেছিলাম গৌরবের বিজয়। আজ আমাদের সেই সবকিছুই স্মরণ করার দিন।
আমরা এও ভুলতে পারি না যে গোটা বাঙালি জাতি যে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়িয়েছি সর্বাত্মক জনযুদ্ধে, সেই হানাদারদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল এ দেশের কিছু মানুষ। তারা শুধু পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় সহযোগিতাই করেনি, নিজেরাও অস্ত্র ধরেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী সেদিন এই দেশের নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর চালিয়েছিল মানবতার বিরুদ্ধে নানা অপরাধ। স্বাধীনতার মাসে, স্বাধীনতা দিবসে তাই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিও। এ বিষয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক জনমত ছিল, এখন সে-জনমত আগের চেয়ে বেশি সোচ্চার হয়েছে। সরকারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। সবাই আশা করছেন তাদের বিচার শিগগিরই শুরু করা হবে।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ৩৯ বছর পেরিয়ে গেল। এখন আমাদের ভেবে দেখা উচিত, মুক্তিযুদ্ধে এত আত্মদান ও ত্যাগ-তিতিক্ষার পেছনে আমাদের যে লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো ছিল, সেসব কতটা পূরণ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান চেতনা ছিল গণতন্ত্র; আমাদের সমগ্র মুক্তিসংগ্রামের মর্মকথা ছিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সব ধরনের অন্যায়-অবিচার, বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি। বলা বাহুল্য, সেই পথে আমরা বেশি দূর এগোতে পারিনি। আমাদের গণতন্ত্র এখনো ভঙ্গুর, অবিকশিত। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের কিছু অগ্রগতি নিশ্চয়ই হয়েছে; তবে সেই পথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পূরণ করতে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে হবে, রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে গণকল্যাণমুখী ধারায় এগিয়ে নিতে হবে। শাসনব্যবস্থার দক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
No comments