তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহন ভাড়া by ইমরান পরশ
সম্প্রতি সাধারণ মানুষের মুখে একটি আলোচনা আর তা হলো তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনগুলোতে অস্বাভাবিক হারে ভাড়া বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে জনগণের ওপর এমন প্রভাব পড়েছে, যার মাশুল হয়তো পরবর্তী নির্বাচনে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
কেননা একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যখন ২ টাকার ভাড়া ৭ থেকে ১৬ টাকা গুনে দিচ্ছে, মাস শেষে যখন হিসাব মিলাতে গিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা হবে তখন এর দায়ভার ওই বাস বা পরিবহন ভাড়ার ওপর গিয়ে বর্তাবে। তখন সে বলবে, আগেই তো ভালো ছিলাম। উন্নয়নশীল এ দেশের মানুষের বড় চাহিদা হলো দুই বেলা পেটপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা। জনগণের কথা চিন্তা না করে যেমন সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে দ্রব্যমূল্য, মজুদদারি করে তৈরি করা হচ্ছে সংকট। অন্যান্য নাগরিক সুবিধার কথা চিন্তা না করে ইচ্ছামতো নিজেদের সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দিলে জনগণ তো ক্ষিপ্ত হবেই। বিস্মিত হই যখন আমাদের রাজনীতিবিদরা বলেন, ভাতের অভাবে কেউ তো মারা যায়নি।
সম্প্রতি তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস। জনগণ অবশ্য এর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। কেননা বেসরকারি পরিবহনের চেয়ে কয়েকগুণ ভাড়া বেড়েছে সরকার পরিচালিত পরিবহনগুলোতে। যেখানে সরকারের কাছ থেকে জনগণ সুবিধা ভোগ করবে তো দূরের কথা সরকারই জনগণের কাছ থেকে সুবিধা ভোগে ব্যস্ত। আসল কথা হলো, এসি গাড়িতে বসে কখনও জনগণের দুর্ভোগের চিত্র অনুধাবন করা যায় না। লোক দেখানো অভিযান আর আশার বাণী শুনিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার দিন এখন আর নেই। জনগণ এখন অনেক সচেতন, তাই হিসাব করে মন্তব্য করা অবশ্য কর্তব্য। যেসব কোম্পানির গাড়ির কাউন্টারে (যাদের কাউন্টার লোকাল গাড়ির মতো যেখানে-সেখানে, তাহলে সিটিংয়ের নাম করে ভাড়া বেশি নেওয়ার যুক্তি কোথায়) সিটিং গাড়ির নাম করে চিটিংবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কি কঠোর অ্যাকশন নেওয়া যায় না? এ ক্ষেত্রে মন্ত্রী মহোদয়ের দুর্বলতা কোথায়? যদি ধর্মঘট ডাকে ডাকুক, বিআরটিসি বাস পর্যাপ্ত নামিয়ে দিন দেখুন কী হয়। ঢাকায় বিভিন্ন রুটে আটশ' বিআরটিসি বাস নামিয়ে দিলে সেগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ভালো গাড়ি নামালে অনেকেই বাসে চলাচলে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন।
কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা
সম্প্রতি তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস। জনগণ অবশ্য এর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। কেননা বেসরকারি পরিবহনের চেয়ে কয়েকগুণ ভাড়া বেড়েছে সরকার পরিচালিত পরিবহনগুলোতে। যেখানে সরকারের কাছ থেকে জনগণ সুবিধা ভোগ করবে তো দূরের কথা সরকারই জনগণের কাছ থেকে সুবিধা ভোগে ব্যস্ত। আসল কথা হলো, এসি গাড়িতে বসে কখনও জনগণের দুর্ভোগের চিত্র অনুধাবন করা যায় না। লোক দেখানো অভিযান আর আশার বাণী শুনিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার দিন এখন আর নেই। জনগণ এখন অনেক সচেতন, তাই হিসাব করে মন্তব্য করা অবশ্য কর্তব্য। যেসব কোম্পানির গাড়ির কাউন্টারে (যাদের কাউন্টার লোকাল গাড়ির মতো যেখানে-সেখানে, তাহলে সিটিংয়ের নাম করে ভাড়া বেশি নেওয়ার যুক্তি কোথায়) সিটিং গাড়ির নাম করে চিটিংবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কি কঠোর অ্যাকশন নেওয়া যায় না? এ ক্ষেত্রে মন্ত্রী মহোদয়ের দুর্বলতা কোথায়? যদি ধর্মঘট ডাকে ডাকুক, বিআরটিসি বাস পর্যাপ্ত নামিয়ে দিন দেখুন কী হয়। ঢাকায় বিভিন্ন রুটে আটশ' বিআরটিসি বাস নামিয়ে দিলে সেগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ভালো গাড়ি নামালে অনেকেই বাসে চলাচলে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন।
কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা
No comments