সড়ক যেন জীবনসংহারী ফাঁদ-এ অবস্থার ব্যত্যয় প্রয়োজন
যে পথ মানুষের জীবনকে সুগম করার কথা, যে পথ মানুষের জীবনকে করবে বেগবান, সেই পথ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়ক দুর্ঘটনার অভিশাপ থেকে যেন জাতির কোনো মুক্তি নেই। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, ঘটছে অনেক প্রাণহানি।
এই অকস্মাৎ মৃত্যুতে পরিবার, নিকটাত্মীয়দের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ। আবার প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে, যা গোটা জাতিকে শোককাতর করে তোলে। তেমনি একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা দেখা গেল শুক্রবার রাজধানী ঢাকা, সিলেট ও গাইবান্ধায়। বিচ্ছিন্ন দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় এ দিন রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় প্রাণ হারালেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টের সিনিয়র রিপোর্টার বিভাস চন্দ্র সাহা এবং শাহবাগ এলাকায় বরিশালের স্থানীয় দৈনিক মতবাদ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক শহিদুজ্জামান টিটু। একই দিনে সিলেটের ওসমানীনগর এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইফতেখার হোসেন শামীমসহ আটজন এবং আহত হয়েছেন ৩০ জন। উল্লেখ্য, ইফতেখার হোসেন শামীম একজন বলিষ্ঠ ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এদিন ট্রাক চাপায় গাইবান্ধায় পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেন। শুধু মৃত্যুই নয়, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনার কারণে শত শত মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করছেন, যা মৃত্যুরই শামিল। খোদ যোগাযোগমন্ত্রীই শুক্রবার মন্তব্য করেছেন, অবস্থার কোনো উন্নতি করা যায়নি। অর্থমন্ত্রীও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্বীকারোক্তি, উদ্বেগ প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিটি দেশেই কম-বেশি আছে। কিন্তু একটি দেশে এমন অস্বাভাবিক অবস্থা দিনের পর দিন চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক অসংগতি রয়ে গেছে, যা এখনো সমাধান করা যায়নি। আইনের সংশোধন এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো দৃঢ়তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেশে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়কের অনেক জায়গায় সড়ক চিহ্নগুলোও সঠিকভাবে নেই; তার চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, অনেক গাড়িচালকের এসব সড়কসংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। এমনকি অনেক নিরক্ষর চালকও রয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়। সরকারের নৌমন্ত্রী একজন পরিবহন শ্রমিকনেতা হওয়ার কারণে তিনি শ্রমিকদের, বিশেষ করে গাড়িচালকদের যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, তা কতটা যুক্তিসংগত- সেটা সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। অনতিবিলম্বে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে গাড়ি চালনা সংক্রান্ত যথোপযুক্ত আইন পাস করতে হবে। চালকদের দায়িত্বজ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সেটা করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে রাস্তা সংস্কার ও সড়ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তো রয়েছেই।
স্বীকারোক্তি, উদ্বেগ প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিটি দেশেই কম-বেশি আছে। কিন্তু একটি দেশে এমন অস্বাভাবিক অবস্থা দিনের পর দিন চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক অসংগতি রয়ে গেছে, যা এখনো সমাধান করা যায়নি। আইনের সংশোধন এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো দৃঢ়তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দেশে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়কের অনেক জায়গায় সড়ক চিহ্নগুলোও সঠিকভাবে নেই; তার চেয়েও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, অনেক গাড়িচালকের এসব সড়কসংকেত সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। এমনকি অনেক নিরক্ষর চালকও রয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়। সরকারের নৌমন্ত্রী একজন পরিবহন শ্রমিকনেতা হওয়ার কারণে তিনি শ্রমিকদের, বিশেষ করে গাড়িচালকদের যে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, তা কতটা যুক্তিসংগত- সেটা সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। অনতিবিলম্বে সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে গাড়ি চালনা সংক্রান্ত যথোপযুক্ত আইন পাস করতে হবে। চালকদের দায়িত্বজ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সেটা করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে রাস্তা সংস্কার ও সড়ক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তো রয়েছেই।
No comments