টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সরকারের পদক্ষেপের প্রয়োগ দেখতে চাই

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ গতকাল ছাপা হয়েছে; বাকি অংশ আজ প্রকাশিত হলো।


সজুব আলম আকন্দ, ব্যবসায়ী, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ
মুঠোফোনের সংযোগ কেনার সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য অপারেটর কোম্পানির কাছে জমা থাকবে। ফলে সহজে সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের করা যাবে এবং মুঠোফোনে সন্ত্রাস লোপ পাবে।
মো. এনাম উদ্দিন
চাকরিজীবী, লালবাগ, ঢাকা
আমি মনে করি, সরকারের এই পদক্ষেপ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও এই পদক্ষেপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
আবদুল হামিদ
চাকরিজীবী, গাজীপুর
সরকার ও অপারেটর কোম্পানিগুলো যদি এ বিষয়ে আন্তরিক হয় তবেই মুঠোফোন-সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।
রাজীব মণ্ডল
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল
মুঠোফোনসহ সব সন্ত্রাস বন্ধের প্রথম শর্ত হলো, অভিভাবককে সজাগ হতে হবে। সংযোগ বিক্রির সময় গ্রাহক সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
ফজলুর রহমান
চাকরিজীবী, রাধানগর, পাবনা
এটা সরকারের ভালো একটা পদক্ষেপ। এ ধরনের সন্ত্রাসে ব্যবহূত সংযোগগুলো চিহ্নিত করার পর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে। এসএমএসের মাধ্যমে অশ্লীল বার্তা প্রেরণ বা সরাসরি কোনো সন্ত্রাসী কথা বলা হলে প্রমাণসাপেক্ষে বন্ধ করে দিতে হবে। এর অভিযোগের জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।
জ্যোৎস্না রহমান
গৃহিণী, রামপুরা, ঢাকা
মুঠোফোন বর্তমানে সহজলভ্য। আমি মনে করি, সংযোগমূল্য আরও বৃদ্ধি পেলে এই সন্ত্রাস কিছুটা হলেও কমবে।
এম এ তৌহিদ আহমেদ
সৈনিক, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট, চট্টগ্রাম
আমি মনে করি, মুঠোফোনে চাঁদাবাজি, হুমকিসহ অনৈতিক কার্যকলাপগুলো গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধ দমনে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কথা শুধু ভাবলেই চলবে না। আমরা এই পদক্ষেপের সঠিক প্রয়োগ দেখতে চাই।
আবুল কালাম আজাদ
শিক্ষার্থী, শাবিপ্রবি, সিলেট
মুঠোফোনে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করা হলে তা শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পরে প্রচারমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করলে মুঠোফোনে সন্ত্রাস ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
প্রীতি রাহা
শিক্ষার্থী, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
মুঠোফোনের সংযোগ কেনার ক্ষেত্রে কঠোর আইন আরোপ করা প্রয়োজন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মুঠোফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে শুধু সরকারের সচেতনতাই নয়, অভিভাবককেও সচেতন হতে হবে। আরেকটি ব্যাপারে আমি সরকার এবং সব অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশই মুঠোফোন আড্ডায় ডুবে গেছে। এ সমস্যা থেকে কীভাবে তাদের সঠিক পথে আনা যায় তা সরকার এবং অভিভাবকদের ভাবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
নাসির উদ্দিন চৌধুরী
শিক্ষার্থী, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধে অপারেটরগুলোকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সংযোগের নিবন্ধন সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, বিভিন্ন অপারেটরের সংযোগ বিক্রয়ের সমন্বয়হীনতা বন্ধে এবং সন্ত্রাসীদের ছত্রচ্ছায়ায় যারা এসব করার মতো সাহস পাচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সাহসী মনোভাব এ মুহূর্তে জরুরি বলে আমি মনে করি। মুঠোফোনের মাধ্যমে যারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের কঠিন শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে হয়তো বা এমন সন্ত্রাসের প্রতিকার হবে।
জহিরুল ইসলাম খান
প্রভাষক, শ্যামগঞ্জ, নেত্রকোনা
পুলিশ ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি ডিজিটাল করতে পারলে মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব। নতুন সংযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। নিবন্ধনবিহীন সংযোগগুলো অতিসত্বর বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
সরকার রেজায়ে রাব্বি
ব্যবসায়ী, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এই আইন প্রণয়নের আগে সরকারকে অপারেটর কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাহলেই মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।
সাইফুদ্দিন সুফল
শিক্ষার্থী, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
এই পদক্ষেপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে এটার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকেও সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে।
লোকমান হোসেন
শিক্ষার্থী, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে মুঠোফোনের সংযোগ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে।
মো. ওমর ফারুক
চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধের ক্ষেত্রে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এটাকে আমি স্বাগত জানাই। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এটা যেন শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থাকে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট একটি নীতিমালাও তৈরি করতে হবে। তাহলে এটা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আশেক মো. সাদিকুর রহমান
পল্লিচিকিৎসক, আশুগঞ্জ, বি.বাড়িয়া
প্রশাসন পারে না এমন কোনো কাজ নেই। সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে যেকোনো সন্ত্রাস বন্ধ করে সাফল্যের দাবিদার হতে পারে বর্তমান সরকার।
মঞ্জুর হোসেন
ব্যবসায়ী, বরিশাল
সব সন্ত্রাসের উৎস হলো ক্ষমতা। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান যদি তাঁর দলীয় কর্মীদের মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধের নির্দেশ দেন, তবে তা বন্ধ হবে।
আবুল কালাম আজাদ
টেকনিশিয়ান, সিইপিজেড, চট্টগ্রাম
সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সঠিক। তবে এটা যেন কার্যকর হয়।
নরেশ, ব্যবসায়ী, গুলশান, ঢাকা
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সংযোগ বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের সাহায্য নিতে হবে।
মো. এনায়েত হোসেন
শিক্ষক, পলাশ, নরসিংদী
মুঠোফোনের ব্যাপারে সরকার যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা না থাকলে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তারা অশ্লীলতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করলে সরকারের এই পদক্ষেপ অনেকাংশে বাস্তবায়িত হবে।
শোয়েব মেজবাহ উদ্দিন
চাকরিজীবী, লালমোহন, ভোলা
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে অপারেটর কোম্পানিকে নিবন্ধনবিহীন সংযোগগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া নতুন কোনো সংযোগ দেওয়া যাবে না। মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধের ক্ষেত্রে অপারেটর কোম্পানিকে সবচেয়ে আন্তরিক হতে হবে।
ওয়াহীদ মুরাদ
স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
মুঠোফোনে সন্ত্রাস বন্ধের উদ্যোগে সরকারকে সমর্থন করি। পাশাপাশি এ ধরনের অপকর্মের শাস্তির বিধানে রকমফের অর্থাৎ শাস্তি কমবেশি করার আহ্বান জানাই। যেমন, চাঁদাবাজির জন্য এক ধরনের শাস্তি ও জরিমানা, হত্যার হুমকির জন্য এক ধরনের শাস্তি, কিংবা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার জন্য ভিন্ন শাস্তি ও জরিমানা হলে ভালো হয়। অহেতুক ফোন করে মানসিক অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও এ রকম শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে এ জন্য অত্যন্ত জরুরি যা তা হলো, প্রকাশ্যে এর বিচার ও শাস্তি দ্রুত কার্যকর করা। এটা করতে পারলে মুঠোফোনে সন্ত্রাস কমে যাবে বলে আশা করি।

No comments

Powered by Blogger.