শিক্ষানীতি-ধর্মীয় শিক্ষা ও ওমানের অভিজ্ঞতা by এস এম মুজিবুর রহমান
২০০৯ সালে প্রনীত জাতীয় শিক্ষানীতি আমাদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চমত্কার দলিল। দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৫৪ পৃষ্ঠার এই দলিল তৈরি করেছে। স্বচ্ছ মনের কিছু মানুষের মেধা কাজ করেছে এর পেছনে।
তবে দেশের রাজনীতিতে যাঁরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেন, যাঁরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে অভ্যস্ত, তাঁদের কাছে প্রস্তাবিত এই দলিলটি গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে। এরই মধ্যে মধ্যযুগীয় ও নিজেদের স্বার্থ রক্ষার চিন্তা-চেতনায় যাঁরা জেনেশুনেই নিজেদের ঢেকে রেখেছেন ও আগামী প্রজন্মকে ঢেকে রাখতে চান, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য তাঁরা নড়েচড়ে বসেছেন। এরই মধ্যে সভা-সেমিনার করে এই শিক্ষানীতির শুধু বিরোধিতাই করেননি, এর বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলে সরকার উত্খাতের কৃত্রিম হুঙ্কারও দিয়েছেন কেউ কেউ। অবাক হই যখন দেখি, এক কালের ‘প্রগতিশীল’ ছাত্রনেতাদের অনেকেই গেল চারদলীয় সরকারের সময় কলাটা-মুলাটা পেয়েছেন, তাঁরা আলোচনা সভায় মাদরাসা শিক্ষাকে সেই চিরায়ত অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন।
শিক্ষানীতির (৬) অধ্যায়ে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আমার কিছু কথা আছে। মাদরাসা শিক্ষা প্রসঙ্গ এলেই প্রায় সবাই এটাকে স্পর্শকাতর বিষয় বলে এড়িয়ে যান অথবা জোড়াতালি দিয়ে ‘কাজ চালিয়ে’ নেওয়ার উদ্যোগ নেন। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোকে অনেকেই ইসলামের আদিভূমি হিসেবে মনে করেন। এমনই একটি দেশে দুই দশকেরও অধিক কাল ধরে শিক্ষকতা করছি। দেশটির নাম ওমান। সেখানে প্রায় পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি নানা পর্যায়ে কাজ করে। দীর্ঘদিন ওমানে বসবাসরত এই বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা ছিল একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার, যেখানে তাদের ছেলেমেয়েরা নিজস্ব পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।
১৯৯৬ সালের কথা, ওমানে তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে একদিন দুপুরে তাঁর ফোন পেলাম। তিনি আমার সাহায্য চাইলেন ওমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠায়। আমাকে ফোন করার আগেই তিনি স্কুলের জন্য বাড়ি ভাড়া করে ফেলেছেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আমার বাংলাদেশি সহকর্মী ও ওমানে বসবাসরত উৎসাহী কিছু মানুষের সহায়তায় (তত্কালীন সরকারের সম্মতি নিয়ে) ২৬ জন ছাত্র নিয়ে, আজকের প্রায় দুই হাজার ছাত্রসংবলিত মাসকাটের প্রথম শ্রেণীর আন্তর্জাতিক মানের স্কুলের কাজ শুরু করেন দুই সপ্তাহের মাথায়।
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে পুরোদমে কাজ শুরু করলাম। এরই মধ্যে রাষ্ট্রদূত ফোন করে বললেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অনেক অভিভাবক আমাকে ধরেছেন স্কুলে ধর্মশিক্ষা চালু করার জন্য। এ ব্যাপারে আপনি যদি কিছু করতে পারেন, তবে আপনার কমিটির সাধ্যমতো একটু চেষ্টা করুন।’ ওই সময় ওমানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন হামাদ আল-গাফরি। ১৯৮৯ সালে আমি যখন সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই, তখন আল-গাফরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। নানা অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের ফলে তাঁর সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদেই একদিন আমার দুজন সহকর্মী ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলরকে নিয়ে আল-গাফরির অফিসে দেখা করতে যাই। ওমানি গাওয়ার (কফি) অর্ডার দিলেন ড. গাফরি। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হলো তাঁর সঙ্গে।
এক ফাঁকে তাঁর কাছে আমাদের মূল কথাটি তুলে ধরলাম: ‘দেখুন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এবং আমাদের জনগণ খুবই ধর্মানুরাগী। আমাদের স্কুলে আমরা একটি বিষয় হিসেবে ধর্মীয় শিক্ষা চালু করতে চাই; এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাই আপনার মাধ্যমে।’
ড. গাফরি বললেন, ‘ধর্মের প্রতি বাংলাদেশি মানুষের অনুরাগের কথা আমি জানি; আমাদের আল-ওয়াতান পত্রিকার মাধ্যমে আমি আপনার দেশের অনেক কথাই জানতে পারি। তবে আমি খুবই দুঃখিত যে আমরা আপনাদের এই প্রস্তাবনার পক্ষে কোনো ধরনের অনুমতি দিতে পারব না।’
একটু থেমে তিনি বলতে শুরু করলেন, ‘ড. রহমান, আপনি নিশ্চয়ই জানেন ওমানিদের ১০০ ভাগই মুসলমান। এখানে ইবাদি, সুন্নি ও শিয়া ধারার সবাই ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে। এ তিনটি ধারার মধ্যে ধর্মীয় বিধানের কোথাও কোথাও ছোটখাটো অমিল থাকলেও সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। বহু আগে চিন্তা করে দেখেছি, যদি স্কুলে আমরা ধর্মীয় শিক্ষা শুরু করি, তবে সঙ্গে সঙ্গেই ইবাদি-সুন্নি-শিয়া ধারাগুলোর মধ্যে বিরোধের আশঙ্কা দেখা দেবে। ইসলাম যেখানে শান্তির কথা বলে, ইসলামি শিক্ষার নামে আমরা এমন কিছু করতে চাই না, যা শান্তির বদলে অশান্তি ডেকে আনবে। আরেকটি কথা আপনাকে বলছি, আমরা স্কুলে কোনো হাদিস পড়াই না, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও উৎসাহে কেউ পড়তেই পারেন, তবে বিষয়টিকে আমরা লৌকিকতার বাইরে রাখতে চাই। এর কারণ হলো, হাদিসের ব্যাখ্যা নিয়ে একসময় ওমানের নানা জায়গায় বিরোধ, গোলাগুলি পর্যন্ত হয়েছে, যা কারো কাম্য নয়। কাজেই ধর্মীয় ব্যাখ্যা আমরা ওমানের গ্রান্ড ইমামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।’ চকিতেই আমাদের চারজনের মধ্যে দৃষ্টি বিনিময় হলো। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশ স্কুলে ইসলামি শিক্ষা চালু করা যাবেনা।
প্রসঙ্গত বলছি, এটা সবারই জানা: আবরি ভাষায় মাদরাসা শব্দের অর্থ বিদ্যালয়, ধর্মীয় বিদ্যালয় নয়। একমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশেই মাদরাসার অর্থ ধর্মীয় বিদ্যালয়, যেখানে বলতে গেলে সাধারণ শিক্ষাকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। ইসলামের সূতিকাগার আরব দেশগুলোয় আমার জানামতে, মাদরাসা ব্যবহারিক অর্থেই সাধারন বিদ্যালয়, ধর্মীয় বিদ্যালয় নয়। এর সূত্র ধরেই ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক চিন্তাবিদ আক্ষেপ করে বলেছেন, সরাসরি আরব দেশ থেকে এই উপমহাদেশে ইসলামের আগমন হলে এ দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় একটিমাত্র জাতীয় শিক্ষাক্রমই চলে আসত—সবাইকে খুশি করতে গিয়ে আমাদের শিক্ষাক্রমে জগাখিচুড়ির ব্যবস্থা করতে হতো না। জাতীয় শিক্ষা নীতির সফল বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার দুর্গতি ঘুচবে।
ড. এস এম মুজিবুর রহমান: ওমানের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সুলতান কাবুস ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
শিক্ষানীতির (৬) অধ্যায়ে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আমার কিছু কথা আছে। মাদরাসা শিক্ষা প্রসঙ্গ এলেই প্রায় সবাই এটাকে স্পর্শকাতর বিষয় বলে এড়িয়ে যান অথবা জোড়াতালি দিয়ে ‘কাজ চালিয়ে’ নেওয়ার উদ্যোগ নেন। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোকে অনেকেই ইসলামের আদিভূমি হিসেবে মনে করেন। এমনই একটি দেশে দুই দশকেরও অধিক কাল ধরে শিক্ষকতা করছি। দেশটির নাম ওমান। সেখানে প্রায় পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি নানা পর্যায়ে কাজ করে। দীর্ঘদিন ওমানে বসবাসরত এই বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা ছিল একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার, যেখানে তাদের ছেলেমেয়েরা নিজস্ব পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে।
১৯৯৬ সালের কথা, ওমানে তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে একদিন দুপুরে তাঁর ফোন পেলাম। তিনি আমার সাহায্য চাইলেন ওমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠায়। আমাকে ফোন করার আগেই তিনি স্কুলের জন্য বাড়ি ভাড়া করে ফেলেছেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আমার বাংলাদেশি সহকর্মী ও ওমানে বসবাসরত উৎসাহী কিছু মানুষের সহায়তায় (তত্কালীন সরকারের সম্মতি নিয়ে) ২৬ জন ছাত্র নিয়ে, আজকের প্রায় দুই হাজার ছাত্রসংবলিত মাসকাটের প্রথম শ্রেণীর আন্তর্জাতিক মানের স্কুলের কাজ শুরু করেন দুই সপ্তাহের মাথায়।
বাংলাদেশ স্কুল মাসকাটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে পুরোদমে কাজ শুরু করলাম। এরই মধ্যে রাষ্ট্রদূত ফোন করে বললেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের অনেক অভিভাবক আমাকে ধরেছেন স্কুলে ধর্মশিক্ষা চালু করার জন্য। এ ব্যাপারে আপনি যদি কিছু করতে পারেন, তবে আপনার কমিটির সাধ্যমতো একটু চেষ্টা করুন।’ ওই সময় ওমানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন হামাদ আল-গাফরি। ১৯৮৯ সালে আমি যখন সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিই, তখন আল-গাফরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। নানা অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের ফলে তাঁর সঙ্গে আমার একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদেই একদিন আমার দুজন সহকর্মী ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলরকে নিয়ে আল-গাফরির অফিসে দেখা করতে যাই। ওমানি গাওয়ার (কফি) অর্ডার দিলেন ড. গাফরি। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হলো তাঁর সঙ্গে।
এক ফাঁকে তাঁর কাছে আমাদের মূল কথাটি তুলে ধরলাম: ‘দেখুন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এবং আমাদের জনগণ খুবই ধর্মানুরাগী। আমাদের স্কুলে আমরা একটি বিষয় হিসেবে ধর্মীয় শিক্ষা চালু করতে চাই; এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাই আপনার মাধ্যমে।’
ড. গাফরি বললেন, ‘ধর্মের প্রতি বাংলাদেশি মানুষের অনুরাগের কথা আমি জানি; আমাদের আল-ওয়াতান পত্রিকার মাধ্যমে আমি আপনার দেশের অনেক কথাই জানতে পারি। তবে আমি খুবই দুঃখিত যে আমরা আপনাদের এই প্রস্তাবনার পক্ষে কোনো ধরনের অনুমতি দিতে পারব না।’
একটু থেমে তিনি বলতে শুরু করলেন, ‘ড. রহমান, আপনি নিশ্চয়ই জানেন ওমানিদের ১০০ ভাগই মুসলমান। এখানে ইবাদি, সুন্নি ও শিয়া ধারার সবাই ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে। এ তিনটি ধারার মধ্যে ধর্মীয় বিধানের কোথাও কোথাও ছোটখাটো অমিল থাকলেও সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। বহু আগে চিন্তা করে দেখেছি, যদি স্কুলে আমরা ধর্মীয় শিক্ষা শুরু করি, তবে সঙ্গে সঙ্গেই ইবাদি-সুন্নি-শিয়া ধারাগুলোর মধ্যে বিরোধের আশঙ্কা দেখা দেবে। ইসলাম যেখানে শান্তির কথা বলে, ইসলামি শিক্ষার নামে আমরা এমন কিছু করতে চাই না, যা শান্তির বদলে অশান্তি ডেকে আনবে। আরেকটি কথা আপনাকে বলছি, আমরা স্কুলে কোনো হাদিস পড়াই না, ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও উৎসাহে কেউ পড়তেই পারেন, তবে বিষয়টিকে আমরা লৌকিকতার বাইরে রাখতে চাই। এর কারণ হলো, হাদিসের ব্যাখ্যা নিয়ে একসময় ওমানের নানা জায়গায় বিরোধ, গোলাগুলি পর্যন্ত হয়েছে, যা কারো কাম্য নয়। কাজেই ধর্মীয় ব্যাখ্যা আমরা ওমানের গ্রান্ড ইমামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাই।’ চকিতেই আমাদের চারজনের মধ্যে দৃষ্টি বিনিময় হলো। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারলাম, বাংলাদেশ স্কুলে ইসলামি শিক্ষা চালু করা যাবেনা।
প্রসঙ্গত বলছি, এটা সবারই জানা: আবরি ভাষায় মাদরাসা শব্দের অর্থ বিদ্যালয়, ধর্মীয় বিদ্যালয় নয়। একমাত্র ভারতীয় উপমহাদেশেই মাদরাসার অর্থ ধর্মীয় বিদ্যালয়, যেখানে বলতে গেলে সাধারণ শিক্ষাকে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। ইসলামের সূতিকাগার আরব দেশগুলোয় আমার জানামতে, মাদরাসা ব্যবহারিক অর্থেই সাধারন বিদ্যালয়, ধর্মীয় বিদ্যালয় নয়। এর সূত্র ধরেই ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক চিন্তাবিদ আক্ষেপ করে বলেছেন, সরাসরি আরব দেশ থেকে এই উপমহাদেশে ইসলামের আগমন হলে এ দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় একটিমাত্র জাতীয় শিক্ষাক্রমই চলে আসত—সবাইকে খুশি করতে গিয়ে আমাদের শিক্ষাক্রমে জগাখিচুড়ির ব্যবস্থা করতে হতো না। জাতীয় শিক্ষা নীতির সফল বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার দুর্গতি ঘুচবে।
ড. এস এম মুজিবুর রহমান: ওমানের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সুলতান কাবুস ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্কুল মাসকাট-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
No comments