মেলবোর্ন সিডনিতে
৭
টেস্ট, ২৪ ওয়ানডের ছোট্ট ক্যারিয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে শেষবার
খেলেছেন প্রায় তিন বছর আগে। ফেরার সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না, বয়স
মাত্রই ২৬। ফিরে যদি ক্যারিয়ার-গ্রাফটাকে উঁচুতে তুলতে পারেন! না হলে
জেভিয়ার মার্শালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ভুলে যাওয়ার মতোই।
তবে
ভুলে যাওয়ার মতো ক্যারিয়ারেও আছে মনে রাখার মতো এক কীর্তি। ২৪ ওয়ানডে
ইনিংসে একবারই ৩৫ ছাড়াতে পেরেছিলেন, ২০০৮ সালে কানাডার বিপক্ষে করেছিলেন
১১৮ বলে অপরাজিত ১৫৭! ১২টি ছয় মেরে ভেঙে দিয়েছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া ও শহিদ
আফ্রিদির (১১টি করে) এক যুগ পুরোনো রেকর্ড। গত বছর সেই রেকর্ড আবার চুরমার
করে দিয়েছেন শেন ওয়াটসন (১৫)। মাঠের বাইরের ক্রিকেট নিয়েও যাঁদের অপার
কৌতূহল, মার্শালকে মনে রাখার আরেকটা কারণ তাঁদের আছে। জ্যামাইকান ওপেনারের
পুরো নাম জেভিয়ার মেলবোর্ন মার্শাল। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, তাঁর
আন্তর্জাতিক অভিষেকও মেলবোর্ন ক্রিকেট মাঠে! নামটা যে-ই রাখুক, তাঁকে
দূরদর্শী বলতেই হবে! নিজের নামের সঙ্গে মিলে যাওয়া ভেন্যুতে খেলা ক্রিকেটার
অবশ্য মার্শালই একমাত্র নন। শহর বা মাঠের নাম যেমন, তেমনি মানুষের নাম
হিসেবেও ‘সিডনি’ যথেষ্ট স্মার্ট। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলেছেন, এমন
‘সিডনি’ আছেন পাঁচজন—সিডনি বার্নস, সিডনি ক্যালাওয়ে, সিডনি গ্রেগরি, লায়নেল
সিডনি বারকেট ও লেনক্স সিডনি ব্রাউন। তবে সিডনিতে অভিষেক শুধু সিডনি
ব্রাউনের। আলাদা করে বলতে হবে সিডনি গ্রেগরির কথাও। বাবা ছিলেন সিডনির
গ্রাউন্ডসম্যান, জন্ম-বেড়ে ওঠা, তাই সিডনি মাঠেই! বাংলাদেশের কারও এমন
সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, বড়জোর মিরপুরে খেলতে পারেন ‘মীর’ নামের কেউ!
>>>আরিফুল ইসলাম
>>>আরিফুল ইসলাম
No comments