জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হতে হবে-সংসদে মুলতবি প্রস্তাব
জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে পরিচালিত জাতীয় সংসদে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যু আলোচিত না হওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমাদের পূর্বাপর সংসদগুলোতে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বরাবর উপেক্ষিতই থেকে গেছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০ বছরে পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম,
অষ্টম ও নবম সংসদে ১০ হাজার মুলতবি প্রস্তাব আনা হলেও আলোচনা হয়েছে মাত্র চারটি। তাও পঞ্চম সংসদে। ষষ্ঠ সংসদের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র কয়েক দিন। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস ছাড়া সেই সংসদে উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা হয়নি। কিন্তু অন্যান্য সংসদ পুরো মেয়াদই বহাল ছিল। এই দীর্ঘ সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহু আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ, একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা বা কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য। মানবতাবিরোধী জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন অনেক বরেণ্য রাজনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রেও দেশ একাধিকবার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ আছে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গেও। এসব বিষয়ে সংসদে আলোচনা না হওয়ার দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে।
জাতীয় সংসদ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সেখানে জনগণের অভাব-অভিযোগের পাশাপাশি জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। যুক্তিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে। পৃথিবীর প্রায় সব সংসদে মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার বিধান রয়েছে। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই সংসদের নির্ধারিত বিষয় স্থগিত রেখে মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। শুধু বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা থাকলে এর ব্যত্যয় ঘটে। মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না হওয়ার পক্ষে স্পিকার যে যুক্তি দেখিয়েছেন, তাও গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ বলে অনেক সময় আলোচনা হয় না। উত্থাপিত সব প্রস্তাবই আলোচিত হবে, সেই দাবি কেউ করছে না।
ভারত ও ব্রিটেনে প্রতি সংসদে গড়ে ১০-১২টি মুলতবি প্রস্তাব আলোচনা হয়ে থাকে। সেখানে বাংলাদেশে গত ২০ বছরে হয়েছে মাত্র চারটি। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিরোধী দলের অনুপস্থিতির কারণেও মুলতবি প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায় বলে স্পিকার যে মন্তব্য করেছেন, তা সত্য। বিগত সংসদগুলোতে বিরোধী দল হাজির হওয়ার চেয়ে গরহাজিরই বেশি ছিল। সে ক্ষেত্রে কোনো বিষয়েই সংসদে অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়নি। তবে এই ব্যর্থতার দায় সরকার বা বিরোধী দল কেউ অস্বীকার করতে পারে না।
সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটি কাজের সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন, যেটি আমাদের দেশে প্রবলভাবে অনুপস্থিত। কাউকে অগ্রাহ্য করা বা কাউকে ফেলে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা যাবে না। মুলতবি প্রস্তাবসহ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংসদে আলোচনা হবে, এটাই প্রত্যাশিত। বিগত সংসদগুলোতে যা হয়েছে, বর্তমান সংসদে তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
জাতীয় সংসদ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সেখানে জনগণের অভাব-অভিযোগের পাশাপাশি জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। যুক্তিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে। পৃথিবীর প্রায় সব সংসদে মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার বিধান রয়েছে। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই সংসদের নির্ধারিত বিষয় স্থগিত রেখে মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। শুধু বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা থাকলে এর ব্যত্যয় ঘটে। মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না হওয়ার পক্ষে স্পিকার যে যুক্তি দেখিয়েছেন, তাও গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবগুলো কম গুরুত্বপূর্ণ বলে অনেক সময় আলোচনা হয় না। উত্থাপিত সব প্রস্তাবই আলোচিত হবে, সেই দাবি কেউ করছে না।
ভারত ও ব্রিটেনে প্রতি সংসদে গড়ে ১০-১২টি মুলতবি প্রস্তাব আলোচনা হয়ে থাকে। সেখানে বাংলাদেশে গত ২০ বছরে হয়েছে মাত্র চারটি। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিরোধী দলের অনুপস্থিতির কারণেও মুলতবি প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায় বলে স্পিকার যে মন্তব্য করেছেন, তা সত্য। বিগত সংসদগুলোতে বিরোধী দল হাজির হওয়ার চেয়ে গরহাজিরই বেশি ছিল। সে ক্ষেত্রে কোনো বিষয়েই সংসদে অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়নি। তবে এই ব্যর্থতার দায় সরকার বা বিরোধী দল কেউ অস্বীকার করতে পারে না।
সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটি কাজের সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন, যেটি আমাদের দেশে প্রবলভাবে অনুপস্থিত। কাউকে অগ্রাহ্য করা বা কাউকে ফেলে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা যাবে না। মুলতবি প্রস্তাবসহ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংসদে আলোচনা হবে, এটাই প্রত্যাশিত। বিগত সংসদগুলোতে যা হয়েছে, বর্তমান সংসদে তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস।
No comments