দূষিত পানিই যখন মহামারির ‘গণবিধ্বংসী’ উৎস-ডায়রিয়ায় শিশুমৃত্যু
পানির অপর নাম যেখানে জীবন, সেখানে পানিই এখন বাংলাদেশে অজস্র শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক শিশুর মৃত্যু হয় ডায়রিয়ায়। প্রতিবছর অজস্র শিশুর জীবনের আস্বাদন না পাওয়ার আগেই মৃত্যুর কঠিন স্বাদ পাওয়া দুঃখজনক।
জীবন ও মৃত্যুর ব্যবধান যেখানে এত ক্ষীণ, সেখানে অজস্র নবজাতকের মৃত্যু সরকারের করণীয়র কথাই মনে করিয়ে দেয়।
ব্রিটিশ আমল থেকেই পানিদূষণ ও পানিবাহিত রোগে লাখ লাখ শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে আসছে। প্রধানত ম্যালেরিয়া, কলেরা ও ডায়রিয়াই বড়দের মতো শিশুদের জন্যও মারাত্মক হয়ে উঠত। এগুলো সবই পানিবাহিত রোগ। বর্তমানে কলেরা ও ম্যালেরিয়ার করাল থাবা দুর্বল হয়ে এলেও ডায়রিয়া এখনো প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতে এই বিপদ চরম আকার ধারণ করে। বিশ্ব পানি দিবসের এক আলোচনা সভার বরাতে গত সোমবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এই দুঃখজনক সত্যটি ফুটে ওঠে।
পানির দেশ বাংলাদেশ দিনে দিনে এখন পানিবিপন্ন দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের নদ-নদী-খাল-বিল-পুকুর-জলাশয়গুলো হয় দূষণে, নয় তো ভরাট হয়ে আমাদের পানি-নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ফেলেছে। ৬১টি জেলার পানিতে আর্সেনিকদূষণ। শহরে শিল্পকারখানার বর্জ্যে এবং গ্রামাঞ্চলে সার ও কীটনাশকের দূষণে পানযোগ্য পানির অভাব তুঙ্গে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে লবণের আধিক্য। সম্প্রতি আর্সেনিক-আক্রান্ত এলাকায় উৎপাদিত চালেও আর্সেনিক মিলেছে। এভাবে দূষিত পানি হয়ে উঠেছে ডায়রিয়া মহামারির ‘গণবিধ্বংসী’ উৎস।
মানুষের জীবনের জন্য হুমকির যেকোনো পরিস্থিতিতে শিশুরাই আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি। পানির সমস্যা কতটা সর্বব্যাপী হলে তা শিশুদের জীবনের জন্য জাতীয় হুমকি হয়ে ওঠে, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। শিশুদের জন্য আলাদা করে এর সুরাহা করা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন একদিকে দেশের জলদেহকে দূষণমুক্ত ও বহমান রাখার ব্যবস্থা করা, অন্যদিকে সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থাকে চাহিদা মেটানোর উপযোগী করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া। অথচ জনস্বার্থের জন্য জরুরি এত বড় বিষয় যথাযথ সরকারি গুরুত্ব পেয়ে আসছে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আগেই এ বিষয়ে জরুরিভাবে সমন্বিত ও কার্যকর কর্মসূচি হাতে নেওয়া এখন সরকারের অগ্রাধিকারই নয় কেবল, জীবনের প্রয়োজন।
ব্রিটিশ আমল থেকেই পানিদূষণ ও পানিবাহিত রোগে লাখ লাখ শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে আসছে। প্রধানত ম্যালেরিয়া, কলেরা ও ডায়রিয়াই বড়দের মতো শিশুদের জন্যও মারাত্মক হয়ে উঠত। এগুলো সবই পানিবাহিত রোগ। বর্তমানে কলেরা ও ম্যালেরিয়ার করাল থাবা দুর্বল হয়ে এলেও ডায়রিয়া এখনো প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতে এই বিপদ চরম আকার ধারণ করে। বিশ্ব পানি দিবসের এক আলোচনা সভার বরাতে গত সোমবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে এই দুঃখজনক সত্যটি ফুটে ওঠে।
পানির দেশ বাংলাদেশ দিনে দিনে এখন পানিবিপন্ন দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের নদ-নদী-খাল-বিল-পুকুর-জলাশয়গুলো হয় দূষণে, নয় তো ভরাট হয়ে আমাদের পানি-নিরাপত্তার ঝুঁকিতে ফেলেছে। ৬১টি জেলার পানিতে আর্সেনিকদূষণ। শহরে শিল্পকারখানার বর্জ্যে এবং গ্রামাঞ্চলে সার ও কীটনাশকের দূষণে পানযোগ্য পানির অভাব তুঙ্গে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের পানিতে লবণের আধিক্য। সম্প্রতি আর্সেনিক-আক্রান্ত এলাকায় উৎপাদিত চালেও আর্সেনিক মিলেছে। এভাবে দূষিত পানি হয়ে উঠেছে ডায়রিয়া মহামারির ‘গণবিধ্বংসী’ উৎস।
মানুষের জীবনের জন্য হুমকির যেকোনো পরিস্থিতিতে শিশুরাই আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি। পানির সমস্যা কতটা সর্বব্যাপী হলে তা শিশুদের জীবনের জন্য জাতীয় হুমকি হয়ে ওঠে, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। শিশুদের জন্য আলাদা করে এর সুরাহা করা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন একদিকে দেশের জলদেহকে দূষণমুক্ত ও বহমান রাখার ব্যবস্থা করা, অন্যদিকে সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থাকে চাহিদা মেটানোর উপযোগী করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া। অথচ জনস্বার্থের জন্য জরুরি এত বড় বিষয় যথাযথ সরকারি গুরুত্ব পেয়ে আসছে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আগেই এ বিষয়ে জরুরিভাবে সমন্বিত ও কার্যকর কর্মসূচি হাতে নেওয়া এখন সরকারের অগ্রাধিকারই নয় কেবল, জীবনের প্রয়োজন।
No comments