ড. ইউনূসের সমালোচনাকারীদের রফিক-উল হক-‘কত বড় বেকুবের দেশে আছি!’
দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কটাক্ষ করে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক। তিনি বলেন, গুণীজনকে সম্মান দেখালে নিজের সম্মান বাড়ে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন রফিক-উল হক।
প্রবীণ এই আইনজীবী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘তিনি ড. ইউনূস সম্পর্কে একেবারে হাসির কথা বলেছেন। কত বড় বেকুবের দেশে আমরা আছি! একটি বৃহত্তম দলের বড় নেতা মনে করেন, শান্তিতে নোবেল পেতে হলে যুদ্ধ থামাতে হবে।’
প্রসঙ্গত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত কেউ একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কোন যুদ্ধে তিনি শান্তি এনেছেন, কোন মহাদেশে তিনি শান্তি এনেছেন? কোথায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন?’ তিনি দাবি করেন, বিশ্বের বেশ কিছু রাজধানীতে চিজ-স্যান্ডউইচ আর সাদা ওয়াইন খেলে জনপ্রিয়তা বাড়ে। সময়মতো একটি নোবেল পুরস্কারও পাওয়া যায়।
এর পরদিন শুক্রবার শিল্পমন্ত্রী আরেক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের সমালোচনা করে তাঁদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনাদের যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এতই ভালো লাগে, তাহলে আপনারা রাজনীতিতে আসুন, রাজনীতিতে এসে কথা বলুন।’
শিল্পমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে একইভাবে রফিক-উল হক বলেন, ‘দিলীপ বড়ুয়ার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলি, তিনি ড. ইউনূসের নখের যোগ্যও নন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছেন বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। এমন মন্তব্য করা উচিত না।’
গতকাল বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গুম-অপহরণ ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একক বক্তৃতা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে, এমন সমস্যার সমাধানে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও জানেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে গোঁয়ার্তুমি নয়, একসঙ্গে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, নইলে হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উচ্চ আদালতের সমালোচনা করে রফিক-উল হক বলেন, ‘এখন বিচার হচ্ছে মানুষ দেখে, আইন দেখে নয়। আইনের বিচার খুব কম হচ্ছে। আপিল বিভাগকে অনেকে এখন স্টে ডিভিশন বলছে।’
রফিক-উল হকের দাবি, রেল মন্ত্রণালয়ের কেলেঙ্কারি চাপা দিতে ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ইস্যু আনা হয়েছে। আর সেই ইস্যু চাপা দিতে এখন বিএনপির বড় নেতাদের নামে মামলা ও পরোয়ানা হচ্ছে।
মুক্তচিন্তা নামের একটি সংগঠন এই একক বক্তৃতার আয়োজন করে। এতে সংহতি বক্তৃতা দেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে জড়িত কেউ একজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কোন যুদ্ধে তিনি শান্তি এনেছেন, কোন মহাদেশে তিনি শান্তি এনেছেন? কোথায় তিনি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করেছেন?’ তিনি দাবি করেন, বিশ্বের বেশ কিছু রাজধানীতে চিজ-স্যান্ডউইচ আর সাদা ওয়াইন খেলে জনপ্রিয়তা বাড়ে। সময়মতো একটি নোবেল পুরস্কারও পাওয়া যায়।
এর পরদিন শুক্রবার শিল্পমন্ত্রী আরেক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ও ফজলে হাসান আবেদের সমালোচনা করে তাঁদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনাদের যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এতই ভালো লাগে, তাহলে আপনারা রাজনীতিতে আসুন, রাজনীতিতে এসে কথা বলুন।’
শিল্পমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে একইভাবে রফিক-উল হক বলেন, ‘দিলীপ বড়ুয়ার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলি, তিনি ড. ইউনূসের নখের যোগ্যও নন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছেন বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এক বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য শোভন নয়। এমন মন্তব্য করা উচিত না।’
গতকাল বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে গুম-অপহরণ ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একক বক্তৃতা করেন রফিক-উল হক। তিনি বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে, এমন সমস্যার সমাধানে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও জানেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে গোঁয়ার্তুমি নয়, একসঙ্গে বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, নইলে হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উচ্চ আদালতের সমালোচনা করে রফিক-উল হক বলেন, ‘এখন বিচার হচ্ছে মানুষ দেখে, আইন দেখে নয়। আইনের বিচার খুব কম হচ্ছে। আপিল বিভাগকে অনেকে এখন স্টে ডিভিশন বলছে।’
রফিক-উল হকের দাবি, রেল মন্ত্রণালয়ের কেলেঙ্কারি চাপা দিতে ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ইস্যু আনা হয়েছে। আর সেই ইস্যু চাপা দিতে এখন বিএনপির বড় নেতাদের নামে মামলা ও পরোয়ানা হচ্ছে।
মুক্তচিন্তা নামের একটি সংগঠন এই একক বক্তৃতার আয়োজন করে। এতে সংহতি বক্তৃতা দেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
No comments