মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা by বিমলেন্দু হালদার
গত ৩০ এপ্রিল 'সমকাল' পত্রিকায় 'মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ও মর্যাদা' শিরোনামে ফাহমিদা জাহান সিদ্দিকার লেখাটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার লেখার সারমর্ম হলো_ আমরা সাধারণ মানুষ ক্ষমতাসীনদের পাশে অতি নগণ্য।
তাই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমরা কিছু করতে অক্ষম হলেও দেশপ্রেম ও নৈতিক মূল্যবোধের তাগিদে সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে লেখনীর ভাষায় বলতে চাই_ 'অবিলম্বে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করা হোক।'
মুক্তিযোদ্ধারা নিঃস্বার্থভাবে জীবন উৎসর্গ করে কিংবা জীবন বাজি রেখে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছিলেন শুধুই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে; কিন্তু এ বীর জাতির কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষ তাদের সেই অবদানের কথা স্মরণ রাখেনি। খোদ সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। যদিও সব সরকারের আমলেই এ সত্যটি উচ্চারিত হয়েছে যে, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ পর্যন্ত জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সঠিক সংখ্যাটি নিরূপিত হয়নি কিংবা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্ক মোচনের চেষ্টাও সফলভাবে হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি না হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ রক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও সম্মানজনক পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তৎকালীন সব থানার সার্কেল অফিসারের (উ.) কাছে পাঠানো হয় এবং এ বিষয়ে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রণীত নীতিমালা অনুসারে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন_ ১. যুদ্ধকালে যারা কোনো গ্রুপ বা ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ 'কে' ফোর্স, 'এস' ফোর্স, 'জেড' ফোর্স ইত্যাদি; ২. নৌবাহিনী; ৩. বিমান বাহিনী; ৪. মেডিকেল কোর; ৫. ইনটেলিজেন্স; ৬. ইনফরমার; ৭. শব্দসৈনিক; ৮. যুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারী; ৯. সেক্টর ও সাব-সেক্টরের লিখিত অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের ভেতরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এফএফ কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা; ১০. মুক্তিযুদ্ধকালে সরকারি-আধাসরকারি-বেসরকারি সংস্থায় যারা ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর এবং অব্যবহিত পূর্বে কমপক্ষে তিন মাস সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের মহান উদ্যোগের সফলতা অর্জনে সাহায্য করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনে যাদের কাছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের অনেকের পক্ষেই বিভিন্ন কারণে নিরপেক্ষভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ভিন্নপথে মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র সংগ্রহ করে 'ব্যাজ' লাগিয়ে বুক ফুলিয়ে হাঁটছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের ঘোষণা দেওয়ায় বঞ্চিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন_ অন্তত এবার তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এবারও বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধারা হতাশ হয়েছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গ্রহণ করে বলা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল থেকে বলা হচ্ছে উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে অনেক লোককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় জেলা পর্যায়ে গঠিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বহিষ্কার করে বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তির জন্য নিম্নলিখিত কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক জেলায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে।
কমিটির সদস্য হবেন_
১. জেলা প্রশাসক_ সভাপতি; ২. জেলার জ্যেষ্ঠ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ_ সদস্য; ৩. পুলিশ সুপার_ সদস্য; ৪. জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা_ সদস্য; ৫. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নিজ নিজ উপজেলার ক্ষেত্রে)_ সদস্য।
কমিটির দায়িত্ব : জেলার সব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান তালিকা সংগ্রহ; ২. মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির আবেদনপত্রগুলো সংগ্রহ; ৩. সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ প্রণীত গাইডলাইন অনুসারে কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন করবে; ৪. সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব উপজেলার প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
যেসব প্রার্থী জেলা বাছাই কমিটির সামনে সাক্ষাৎকার দিয়ে সঠিক বিবেচিত হবেন, একমাত্র তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন।
কমিটির ক্ষমতা : ক. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারবে; খ. এরপর আর কোনো আবেদনপত্র গ্রাহ্য করবে না। এখানেই মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন চিরদিনের জন্য শেষ করে একটি গেজেটে সব নাম প্রকাশ করবে।
মুক্তিযোদ্ধারা নিঃস্বার্থভাবে জীবন উৎসর্গ করে কিংবা জীবন বাজি রেখে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছিলেন শুধুই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে; কিন্তু এ বীর জাতির কিছু অকৃতজ্ঞ মানুষ তাদের সেই অবদানের কথা স্মরণ রাখেনি। খোদ সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। যদিও সব সরকারের আমলেই এ সত্যটি উচ্চারিত হয়েছে যে, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজ পর্যন্ত জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সঠিক সংখ্যাটি নিরূপিত হয়নি কিংবা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্ক মোচনের চেষ্টাও সফলভাবে হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি না হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ রক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও সম্মানজনক পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তৎকালীন সব থানার সার্কেল অফিসারের (উ.) কাছে পাঠানো হয় এবং এ বিষয়ে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রণীত নীতিমালা অনুসারে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন_ ১. যুদ্ধকালে যারা কোনো গ্রুপ বা ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ 'কে' ফোর্স, 'এস' ফোর্স, 'জেড' ফোর্স ইত্যাদি; ২. নৌবাহিনী; ৩. বিমান বাহিনী; ৪. মেডিকেল কোর; ৫. ইনটেলিজেন্স; ৬. ইনফরমার; ৭. শব্দসৈনিক; ৮. যুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারী; ৯. সেক্টর ও সাব-সেক্টরের লিখিত অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের ভেতরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এফএফ কমান্ডারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা; ১০. মুক্তিযুদ্ধকালে সরকারি-আধাসরকারি-বেসরকারি সংস্থায় যারা ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর এবং অব্যবহিত পূর্বে কমপক্ষে তিন মাস সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের মহান উদ্যোগের সফলতা অর্জনে সাহায্য করেছেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচনে যাদের কাছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের অনেকের পক্ষেই বিভিন্ন কারণে নিরপেক্ষভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৪১ বছর পরও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন। অন্যদিকে অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ভিন্নপথে মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র সংগ্রহ করে 'ব্যাজ' লাগিয়ে বুক ফুলিয়ে হাঁটছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দকৃত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়নের ঘোষণা দেওয়ায় বঞ্চিত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন_ অন্তত এবার তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু এবারও বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধারা হতাশ হয়েছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে গ্রহণ করে বলা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল থেকে বলা হচ্ছে উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে অনেক লোককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় জেলা পর্যায়ে গঠিত বাছাই কমিটির মাধ্যমে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বহিষ্কার করে বাদ পড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তির জন্য নিম্নলিখিত কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক জেলায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে।
কমিটির সদস্য হবেন_
১. জেলা প্রশাসক_ সভাপতি; ২. জেলার জ্যেষ্ঠ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ_ সদস্য; ৩. পুলিশ সুপার_ সদস্য; ৪. জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা_ সদস্য; ৫. উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (নিজ নিজ উপজেলার ক্ষেত্রে)_ সদস্য।
কমিটির দায়িত্ব : জেলার সব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান তালিকা সংগ্রহ; ২. মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির আবেদনপত্রগুলো সংগ্রহ; ৩. সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ প্রণীত গাইডলাইন অনুসারে কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন করবে; ৪. সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব উপজেলার প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
যেসব প্রার্থী জেলা বাছাই কমিটির সামনে সাক্ষাৎকার দিয়ে সঠিক বিবেচিত হবেন, একমাত্র তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন।
কমিটির ক্ষমতা : ক. ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারবে; খ. এরপর আর কোনো আবেদনপত্র গ্রাহ্য করবে না। এখানেই মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচন চিরদিনের জন্য শেষ করে একটি গেজেটে সব নাম প্রকাশ করবে।
No comments