নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা by মেহেরুন নেছা রুমা
বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। মানুষকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। অনেক মানুষই আছে যারা মৌলিক চাহিদার অন্য সব দিকগুলো ঠিকমতো মেটাতে না পারলেও খাদ্যের চাহিদাটা কষ্ট করে হলেও মেটাতে চেষ্টা করে।
কিন্তু দিন দিন খাদ্যপণ্যের মূল্য এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে, প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে। গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বে টাকা থাকলেও খাদ্য মিলবে না। কারণ বিশ্বে যে পরিমাণ জনসংখ্যা বাড়ছে খাদ্য উৎপাদন সে তুলনায় বাড়ছে না।
মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের দিক থেকে ফলের রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবস্থান। আদিমকালে যখন কোনো খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হয়নি, তখন মানুষ ফলাহারের ওপর ভিত্তি করেই জীবনধারণ করত। ফলের রয়েছে বিশেষ ঔষধিগুণ। কেউ অসুস্থ হলে ফল নিয়ে দেখতে যাওয়া, বেশি বেশি ফল খাওয়ার প্রবণতা আমাদের দেশের যেন একটি সংস্কৃতি। কিন্তু মানবদেহের সেই অতি প্রয়োজনীয় উপাদান 'ফল' আমরা কতটা নিরাপদে খেতে পারি? সুস্থ থাকার জন্য অর্থ খরচ করে যা খাই তা খেয়ে যদি আরও অসুস্থ হয়ে যাই, তাহলে এর চেয়ে অসহায় আমরা আর কীভাবে হতে পারি! কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের আশা, কতগুলো মানুষের যে জীবনের নিরাশা আর হতাশার কারণ হতে পারে সেটা উপলব্ধি করার মনমানসিকতা কি তাদের এতটুকুও নেই? কাঁচা ফলকে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে পাকিয়ে সময়ের আগে বাজারে এনে বাজার সয়লাব করে ক্রেতাদের আকর্ষণ করে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটে নেয়। ফলে সাধারণ মানুষ না বুঝে, না চিনে ফলের মধ্যে করে লুকানো বিষ টাকা দিয়ে কিনে ঘরে নিয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যদ্রব্যে মেশানো এসব ফরমালিন, কারবাইড মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের মারাত্মক ক্ষতি করে। এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারেরও জন্ম দেয়। ফলে আমরা না জেনেই একটু একটু করে বিষে আক্রান্ত হচ্ছি।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনো ফলে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার মাধ্যমে সব ধরনের ফল রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো এবং বিক্রি বন্ধ করতে দেশের সব আড়ত ও ফল বাজারে তদারকি করার জন্য বিএসটিআই ও র্যাবের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে এবং সীমান্তের সব পয়েন্টে নজরদারি বাড়াতে এনবিআরের প্রতিও বিশেষ নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। এসবই আমাদের জন্য আশার বাণী। এমন আশার বাণী আমাদের দেশে সাধারণত মানুষ শুনতেই অভ্যস্ত; কিন্তু এর প্রতিফলন দেখার সৌভাগ্য আমাদের কদাচিৎ হয়। এই নির্দেশনার পর হয়তো কয়েকটা দিন দেশের কিছু কিছু এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে। আদায় করা হবে জরিমানা, হয়তো কাউকে শাস্তিও দেওয়া হবে, নষ্ট করে দেওয়া হবে সেসব বিষাক্ত ফলমূল। কিন্তু এসব কি একেবারে বন্ধ হবে? নিরাপদ খাদ্যগ্রহণের অধিকার কি আমাদের নেই? এসব ঘাতকরূপী ব্যবসায়ীকে দমন করার জন্য দেশের আইনি মাধ্যম কি আরও কঠিন হতে পারে না?
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের দিক থেকে ফলের রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবস্থান। আদিমকালে যখন কোনো খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হয়নি, তখন মানুষ ফলাহারের ওপর ভিত্তি করেই জীবনধারণ করত। ফলের রয়েছে বিশেষ ঔষধিগুণ। কেউ অসুস্থ হলে ফল নিয়ে দেখতে যাওয়া, বেশি বেশি ফল খাওয়ার প্রবণতা আমাদের দেশের যেন একটি সংস্কৃতি। কিন্তু মানবদেহের সেই অতি প্রয়োজনীয় উপাদান 'ফল' আমরা কতটা নিরাপদে খেতে পারি? সুস্থ থাকার জন্য অর্থ খরচ করে যা খাই তা খেয়ে যদি আরও অসুস্থ হয়ে যাই, তাহলে এর চেয়ে অসহায় আমরা আর কীভাবে হতে পারি! কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের আশা, কতগুলো মানুষের যে জীবনের নিরাশা আর হতাশার কারণ হতে পারে সেটা উপলব্ধি করার মনমানসিকতা কি তাদের এতটুকুও নেই? কাঁচা ফলকে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে পাকিয়ে সময়ের আগে বাজারে এনে বাজার সয়লাব করে ক্রেতাদের আকর্ষণ করে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটে নেয়। ফলে সাধারণ মানুষ না বুঝে, না চিনে ফলের মধ্যে করে লুকানো বিষ টাকা দিয়ে কিনে ঘরে নিয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যদ্রব্যে মেশানো এসব ফরমালিন, কারবাইড মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের মারাত্মক ক্ষতি করে। এমনকি মরণব্যাধি ক্যান্সারেরও জন্ম দেয়। ফলে আমরা না জেনেই একটু একটু করে বিষে আক্রান্ত হচ্ছি।
দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনো ফলে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনার মাধ্যমে সব ধরনের ফল রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো এবং বিক্রি বন্ধ করতে দেশের সব আড়ত ও ফল বাজারে তদারকি করার জন্য বিএসটিআই ও র্যাবের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে এবং সীমান্তের সব পয়েন্টে নজরদারি বাড়াতে এনবিআরের প্রতিও বিশেষ নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। এসবই আমাদের জন্য আশার বাণী। এমন আশার বাণী আমাদের দেশে সাধারণত মানুষ শুনতেই অভ্যস্ত; কিন্তু এর প্রতিফলন দেখার সৌভাগ্য আমাদের কদাচিৎ হয়। এই নির্দেশনার পর হয়তো কয়েকটা দিন দেশের কিছু কিছু এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হবে। আদায় করা হবে জরিমানা, হয়তো কাউকে শাস্তিও দেওয়া হবে, নষ্ট করে দেওয়া হবে সেসব বিষাক্ত ফলমূল। কিন্তু এসব কি একেবারে বন্ধ হবে? নিরাপদ খাদ্যগ্রহণের অধিকার কি আমাদের নেই? এসব ঘাতকরূপী ব্যবসায়ীকে দমন করার জন্য দেশের আইনি মাধ্যম কি আরও কঠিন হতে পারে না?
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা
No comments