কক্সবাজারে লোডশেডিং-হোটেল ব্যবসায় মন্দা হুমকিতে হ্যাচারিশিল্প by আব্দুল কুদ্দুস
কক্সবাজার শহরসহ জেলার আট উপজেলায় প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৫৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ মেগাওয়াট। প্রতিদিন গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকছে। ফলে অসহনীয় মাত্রায় হচ্ছে লোডশেডিং।
বিদ্যুৎ না পেয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন হোটেল-মোটেল, হ্যাচারি, বরফকল ও শিল্পকারখানার মালিকেরা। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
হোটেল মালিকেরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা হোটেলে থাকতে চান না। চলতি মৌসুমের মার্চ থেকে পর্যটকের আগমন আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। একই অবস্থা হ্যাচারিশিল্পেও। বিদ্যুতের কারণে চিংড়ি পোনা উৎপাদন করতে পারছে না ৫৪টি হ্যাচারি। এতে সারা দেশের দেড় লাখ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসায় মন্দাভাব: কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সোলতান বলেন, ‘ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সমুদ্রসৈকত পারের তিন শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস দিনের অধিকাংশ সময় অন্ধকারে থাকে। জেনারেটর চালিয়ে এসব হোটেলে সারা রাত বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে হচ্ছে। অন্যথায় পর্যটকেরা থাকতে রাজি হন না।’ এদিকে, জেনারেটরের বিপরীতে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পর্যটকেরা।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘এই হোটেল-মোটেল জোনে দৈনিক অতিরিক্ত চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরবরাহ কম বলে তা পাচ্ছি না। এ দাবিতে গত ২৭ মার্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তার কিছুই হয়নি।’
৫৪ হ্যাচারি বন্ধের উপক্রম: লোডশেডিংয়ের কারণে কক্সবাজার, উখিয়া ও টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে স্থাপিত ৫৪টি চিংড়ি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে মারা যাচ্ছে উৎপাদিত লাখ লাখ পোনা।
হ্যাচারি মালিকদের সংগঠন ‘শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (সেব) মহাসচিব রইচ উদ্দিন জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিদিন ৫৪টি হ্যাচারিতে কমপক্ষে ১৫ হাজার লিটারের বেশি জ্বালানি তেল লাগছে। এতে খরচ হচ্ছে দৈনিক ১১ লাখ টাকার বেশি।
লোকসানে দুই হাজার ক্ষুদ্র শিল্প: কক্সবাজার পোলট্রি ফার্ম মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ চৌধুরী জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার দুই হাজারের বেশি পোলট্রি খামার ও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মুখে। লোকসানের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ১৪ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। তখন বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম আরও বেড়ে যাবে।
বাজারঘাটা এলাকার রাইস মিলমালিক সাজু মিয়া (৪২) জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের অর্ধেক সময় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
দৈনিক ঘাটতি ৪০ মেগাওয়াট: কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার দে বলেন, ‘আমাদের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার। রয়েছে ৫৪টি হ্যাচারি, বোরো চাষে পানি সরবরাহের দুই হাজার ৭৬৮টি পাম্প মেশিনসহ কয়েক হাজার ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এর বিপরীতে দৈনিক ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১৬ মেগাওয়াট।’
কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলার আট উপজেলায় প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৫৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৮ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ৪০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুল আলম জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে পর্যটনের হোটেল-মোটেল, হ্যাচারি জোন, হাসপাতাল ও বোরো চাষের সেচপাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বাসাবাড়িতে লোডশেডিং বেশি করা হচ্ছে।
হোটেল মালিকেরা বলছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ভ্রমণে আসা পর্যটকেরা হোটেলে থাকতে চান না। চলতি মৌসুমের মার্চ থেকে পর্যটকের আগমন আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। একই অবস্থা হ্যাচারিশিল্পেও। বিদ্যুতের কারণে চিংড়ি পোনা উৎপাদন করতে পারছে না ৫৪টি হ্যাচারি। এতে সারা দেশের দেড় লাখ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হোটেল ব্যবসায় মন্দাভাব: কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সোলতান বলেন, ‘ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সমুদ্রসৈকত পারের তিন শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস দিনের অধিকাংশ সময় অন্ধকারে থাকে। জেনারেটর চালিয়ে এসব হোটেলে সারা রাত বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে হচ্ছে। অন্যথায় পর্যটকেরা থাকতে রাজি হন না।’ এদিকে, জেনারেটরের বিপরীতে মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পর্যটকেরা।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘এই হোটেল-মোটেল জোনে দৈনিক অতিরিক্ত চার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরবরাহ কম বলে তা পাচ্ছি না। এ দাবিতে গত ২৭ মার্চ সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তার কিছুই হয়নি।’
৫৪ হ্যাচারি বন্ধের উপক্রম: লোডশেডিংয়ের কারণে কক্সবাজার, উখিয়া ও টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে স্থাপিত ৫৪টি চিংড়ি পোনা উৎপাদনের হ্যাচারি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিদ্যুতের অভাবে মারা যাচ্ছে উৎপাদিত লাখ লাখ পোনা।
হ্যাচারি মালিকদের সংগঠন ‘শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (সেব) মহাসচিব রইচ উদ্দিন জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিদিন ৫৪টি হ্যাচারিতে কমপক্ষে ১৫ হাজার লিটারের বেশি জ্বালানি তেল লাগছে। এতে খরচ হচ্ছে দৈনিক ১১ লাখ টাকার বেশি।
লোকসানে দুই হাজার ক্ষুদ্র শিল্প: কক্সবাজার পোলট্রি ফার্ম মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ চৌধুরী জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার দুই হাজারের বেশি পোলট্রি খামার ও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মুখে। লোকসানের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ১৪ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। তখন বাজারে মুরগি ও ডিমের দাম আরও বেড়ে যাবে।
বাজারঘাটা এলাকার রাইস মিলমালিক সাজু মিয়া (৪২) জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের অর্ধেক সময় কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
দৈনিক ঘাটতি ৪০ মেগাওয়াট: কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার দে বলেন, ‘আমাদের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার। রয়েছে ৫৪টি হ্যাচারি, বোরো চাষে পানি সরবরাহের দুই হাজার ৭৬৮টি পাম্প মেশিনসহ কয়েক হাজার ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এর বিপরীতে দৈনিক ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ১৬ মেগাওয়াট।’
কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলার আট উপজেলায় প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৫৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৮ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ৪০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুল আলম জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে পর্যটনের হোটেল-মোটেল, হ্যাচারি জোন, হাসপাতাল ও বোরো চাষের সেচপাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বাসাবাড়িতে লোডশেডিং বেশি করা হচ্ছে।
No comments