কথা বলার দিন শেষ, এবার কার্যকর উদ্যোগ চাই-সড়কে আর কত মৃত্যু!
এক দিনেই সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ১৫টি অমূল্য প্রাণ। সিলেটের বর্ষীয়ান রাজনীতিক ইফতেখার হোসেন বা বরিশালের ফটোসাংবাদিক শহীদুজ্জামান অথবা গাইবান্ধার নমিতা-শ্যামল দম্পতি—কাউকেই আর ফিরে পাওয়া যাবে না। সপ্তাহান্তে শুক্রবার ছুটির দিনটি ছিল যেন সড়কে মৃত্যুর মিছিলের দিন!
সিলেটের বালাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাটি ছিল সবচেয়ে বড়: আটজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৭ জন। গাইবান্ধার নমিতা-শ্যামল দম্পতি এক ভাই ও মাসিকে নিয়ে একটি ভ্যানে চড়ে যাওয়ার পথে এক ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালকসুদ্ধ তাঁরা চারজনই মারা যান। আর ঢাকায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দুই সাংবাদিক: ইংরেজি দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিভাস চন্দ্র সাহা আর বরিশালের দৈনিক মতবাদ পত্রিকার আলোকচিত্রী শহীদুজ্জামান। বিভাস মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন, এক বাস তাঁকে চাপা দিয়ে চলে গেলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। আর আলোকচিত্রী শহীদুজ্জামানকে বহনকারী রিকশাকে একটি বাস ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন, বাসটি তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায়, চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মারা যান।
একই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় এতগুলো প্রাণহানির ঘটনায় দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার সাংবাদিকেরা শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী বাসচালকদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন, রাজধানীতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও টেলিভিশন সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এ রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছিল। এটাই সম্ভবত আমাদের স্বভাব যে, কোনো সমস্যার ব্যাপারে আমাদের টনক নড়ে ওঠে কেবল তখনই, যখন সমস্যাটির হঠাৎ একটা ব্যাপক রূপ আমাদের সামনে ঝলসে ওঠে। তখন আমরা বেশ শোরগোল করি, অনেক নির্দেশ, প্রস্তাব, প্রতিশ্রুতি উচ্চারিত হয়, কিন্তু সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। গত বছরের আগস্ট মাসে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুর পর থেকে গত শুক্রবার বিভাস-শহীদুজ্জামানের মৃত্যু পর্যন্ত—এই সময়ে বাংলাদেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা কি একটুখানিও কমেছে?
সরকারি এক হিসাব বলে, গত ১০ বছরে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মারা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। আর বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের হিসাবে বলা হচ্ছে, এক বছরেই মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। যেটাই সত্য হোক না কেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যাটি যে অস্বাভাবিক রকমের বেশি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা কীভাবে কমানো যায়, কীভাবে সড়ক-মহাসড়কগুলোকে মৃত্যুফাঁদ থেকে নিরাপদে চলার পথে পরিণত করা যায়, সরকারের একান্ত দায়িত্ব সেই দিকে নজর দেওয়া।
একই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় এতগুলো প্রাণহানির ঘটনায় দেশজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার সাংবাদিকেরা শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাগুলোর জন্য দায়ী বাসচালকদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন, রাজধানীতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও টেলিভিশন সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এ রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছিল। এটাই সম্ভবত আমাদের স্বভাব যে, কোনো সমস্যার ব্যাপারে আমাদের টনক নড়ে ওঠে কেবল তখনই, যখন সমস্যাটির হঠাৎ একটা ব্যাপক রূপ আমাদের সামনে ঝলসে ওঠে। তখন আমরা বেশ শোরগোল করি, অনেক নির্দেশ, প্রস্তাব, প্রতিশ্রুতি উচ্চারিত হয়, কিন্তু সমস্যাটির স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। গত বছরের আগস্ট মাসে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুর পর থেকে গত শুক্রবার বিভাস-শহীদুজ্জামানের মৃত্যু পর্যন্ত—এই সময়ে বাংলাদেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা কি একটুখানিও কমেছে?
সরকারি এক হিসাব বলে, গত ১০ বছরে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মারা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। আর বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের হিসাবে বলা হচ্ছে, এক বছরেই মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। যেটাই সত্য হোক না কেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যাটি যে অস্বাভাবিক রকমের বেশি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা কীভাবে কমানো যায়, কীভাবে সড়ক-মহাসড়কগুলোকে মৃত্যুফাঁদ থেকে নিরাপদে চলার পথে পরিণত করা যায়, সরকারের একান্ত দায়িত্ব সেই দিকে নজর দেওয়া।
No comments