‘খবর ছাপলে গুষ্টিসহ গুলি করে মারব’
‘খবর ছাপলে তোরে গুষ্টিসহ গুলি করে মারব। পারলে থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করে রাখ। এতে তোর সুবিধা হবে।’ গতকাল শনিবার প্রথম আলোর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আসিফ হোসেনকে এই হুমকি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রতিনিধিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
১৪ দলের কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ ও মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুপুরে হঠাৎ করেই ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ দলের নেতারা জানিয়েছেন, প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে সমাবেশের বক্তাদের নামের তালিকায় শামীম ওসমানকে অন্তর্ভুক্ত করায় জোটের কয়েকটি শরিক দলের নেতারা আপত্তি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
কর্মসূচি স্থগিতের খবর পেয়ে এ বিষয়ে জানতে প্রথম আলোর প্রতিনিধি আসিফ হোসেন ফোন করেন শামীম ওসমানের অনুসারী শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে।
খোকনের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পরই প্রথম আলো প্রতিনিধিকে ফোন করেন শামীম ওসমান। তিনি জানতে চান, কর্মসূচি স্থগিত নিয়ে কোনো খবর ছাপানো হবে কি না? সাংবাদিক আসিফ তাঁকে জানান, এটা তো প্রথম আলোর সিদ্ধান্তের বিষয়। এ নিয়ে আগেভাগে তাঁর পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। এর পরই শামীম ওসমান প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রতিনিধিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। খবর ছাপা হলে প্রতিনিধিকে সপরিবারে গুলি করে মারার হুমকি দেন তিনি।
কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ দলের জেলা সমন্বয়ক শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ শনিবার (গতকাল) ভোরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা সভাপতি আবদুস সাত্তারের স্ত্রী মারা গেছেন। কর্মসূচি স্থগিত করার এটাই অফিশিয়াল কারণ।’
আনোয়ার হোসেন জানান, কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে গত বুধবার তাঁর সভাপতিত্বে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে সভা হয়। এতে শামীম ওসমানের অনুসারীদের মধ্যে খোকন সাহা ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চন্দন শীল উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শনিবারের সমাবেশে আনোয়ার হোসেন সভাপতিত্ব করবেন। বক্তব্য দেবেন প্রতি দল থেকে একজন করে। তবে প্রস্তুতি সভায় খোকন সাহা দাবি করেন, বড় দল হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে দুজনকে বক্তব্যের সুযোগ দিতে হবে। অন্যরা এ বিষয়ে একমত হন। খোকন সাহা জানান, শহর কমিটি বক্তব্য দেবেন তিনি নিজে এবং জেলা কমিটি থেকে যিনি বক্তব্য দেবেন, তাঁর নাম পরে জানানো হবে। খোকন সাহা গতকাল সকালে আনোয়ার হোসেনকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দেবেন শামীম ওসমান।
১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশে শামীম ওসমানের নাম শেষ মুহূর্তে বক্তা হিসেবে নির্ধারিত হওয়ায় শরিক দলের নেতারা আপত্তি জানান। তাঁদের আপত্তির কারণ, গত বছরের জুন মাসে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভায় জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন শামীম ওসমান। কারণ, আনোয়ার হোসেন বাসভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এ খবর তখন গণমাধ্যমে আসে।
এ ছাড়া ১৪ দলের বেশির ভাগ শরিক দল বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের বিরোধিতা করে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এ কারণে শামীম ওসমান গত বছরের নভেম্বর নিজের বাসায় এক সভায় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ অনেককে গালিগালাজ করেন। তা-ও খবর হয় গণমাধ্যমে।
এসব কারণে শামীম ওসমানকে নিয়ে সমাবেশ করলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন ১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। তাই নেতারা নিজেরা যোগাযোগ করে কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে সাংবাদিকদের জানানো হয় জাসদ নেতার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি।
১৪ দলের কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ ও মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুপুরে হঠাৎ করেই ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪ দলের নেতারা জানিয়েছেন, প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে সমাবেশের বক্তাদের নামের তালিকায় শামীম ওসমানকে অন্তর্ভুক্ত করায় জোটের কয়েকটি শরিক দলের নেতারা আপত্তি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
কর্মসূচি স্থগিতের খবর পেয়ে এ বিষয়ে জানতে প্রথম আলোর প্রতিনিধি আসিফ হোসেন ফোন করেন শামীম ওসমানের অনুসারী শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে।
খোকনের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পরই প্রথম আলো প্রতিনিধিকে ফোন করেন শামীম ওসমান। তিনি জানতে চান, কর্মসূচি স্থগিত নিয়ে কোনো খবর ছাপানো হবে কি না? সাংবাদিক আসিফ তাঁকে জানান, এটা তো প্রথম আলোর সিদ্ধান্তের বিষয়। এ নিয়ে আগেভাগে তাঁর পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। এর পরই শামীম ওসমান প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রতিনিধিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। খবর ছাপা হলে প্রতিনিধিকে সপরিবারে গুলি করে মারার হুমকি দেন তিনি।
কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ দলের জেলা সমন্বয়ক শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ শনিবার (গতকাল) ভোরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জেলা সভাপতি আবদুস সাত্তারের স্ত্রী মারা গেছেন। কর্মসূচি স্থগিত করার এটাই অফিশিয়াল কারণ।’
আনোয়ার হোসেন জানান, কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে গত বুধবার তাঁর সভাপতিত্বে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে সভা হয়। এতে শামীম ওসমানের অনুসারীদের মধ্যে খোকন সাহা ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চন্দন শীল উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, শনিবারের সমাবেশে আনোয়ার হোসেন সভাপতিত্ব করবেন। বক্তব্য দেবেন প্রতি দল থেকে একজন করে। তবে প্রস্তুতি সভায় খোকন সাহা দাবি করেন, বড় দল হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে দুজনকে বক্তব্যের সুযোগ দিতে হবে। অন্যরা এ বিষয়ে একমত হন। খোকন সাহা জানান, শহর কমিটি বক্তব্য দেবেন তিনি নিজে এবং জেলা কমিটি থেকে যিনি বক্তব্য দেবেন, তাঁর নাম পরে জানানো হবে। খোকন সাহা গতকাল সকালে আনোয়ার হোসেনকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য দেবেন শামীম ওসমান।
১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশে শামীম ওসমানের নাম শেষ মুহূর্তে বক্তা হিসেবে নির্ধারিত হওয়ায় শরিক দলের নেতারা আপত্তি জানান। তাঁদের আপত্তির কারণ, গত বছরের জুন মাসে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভায় জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন শামীম ওসমান। কারণ, আনোয়ার হোসেন বাসভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এ খবর তখন গণমাধ্যমে আসে।
এ ছাড়া ১৪ দলের বেশির ভাগ শরিক দল বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের বিরোধিতা করে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এ কারণে শামীম ওসমান গত বছরের নভেম্বর নিজের বাসায় এক সভায় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ অনেককে গালিগালাজ করেন। তা-ও খবর হয় গণমাধ্যমে।
এসব কারণে শামীম ওসমানকে নিয়ে সমাবেশ করলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন ১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। তাই নেতারা নিজেরা যোগাযোগ করে কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে আনুষ্ঠানিক কারণ হিসেবে সাংবাদিকদের জানানো হয় জাসদ নেতার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি।
No comments