ভাড়া বাড়িতে চলছে থানার কার্যক্রম
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ভাড়া করা একটি পুরোনো বাড়িতে চলছে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা-পুলিশের কার্যক্রম। পুরোনো হয়ে যাওয়ায় এই বাড়ির বেশ কয়েকটি ঘরের দরজার নড়বড়ে অবস্থা হয়েছে। এসব কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশই অনেকটা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কাটাচ্ছে।
এ ছাড়া এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শক এবং পুলিশের সাধারণ সদস্যদের পরিবার নিয়ে থাকার জন্য আলাদা বাসা নেই।
পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, শাজাহানপুর থানার ভবন নির্মাণের জন্য চার বছর আগে প্রায় এক একর জায়গা কেনা হয়েছে। এখন অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভবন নির্মাণ করা হবে। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া শহরের দুটি ওয়ার্ড এবং নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে ২০০২ সালের ৯ ডিসেম্বর শাজাহানপুর থানার কার্যক্রম শুরু হয়। এই থানার পুলিশ উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুটি সেনানিবাস, রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও নাটোর-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার অংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। মামলা, অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি মিলে গড়ে প্রতি মাসে চার শতাধিক ঘটনা তদন্ত করে এই থানার পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে একটি বাড়িতে চলছে শাজাহানপুর থানার কার্যক্রম। এই বাড়িতে টিনশেডের ছয়টি ঘর আছে। এসব ঘরে ১৩টি কক্ষ আছে। এগুলোর মধ্যে একটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়, একটি পরিদর্শক (তদন্ত), একটি মুন্সিখানা বা রেকর্ড রুম, একটি বেতারকক্ষ, একটি মালখানা, একটি হাজতখানা, দুটি পরিদর্শকদের এবং অবশিষ্ট কক্ষগুলোকে ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত), উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শকসহ ১৩ জন কর্মকর্তা এবং ২১ জন কনস্টেবল কর্মরত আছেন। নারী অপরাধীদের জন্য আলাদা হাজতখানা নেই। নারী অপরাধী ধরা পড়লে তাঁদের পুলিশ কর্মকর্তাদের কক্ষেই বসিয়ে রাখা হয়।
পরিদর্শক (তদন্ত) আতিয়ার রহমান বলেন, মান্ধাতা আমলের একটি বাড়িতে চলছে এ থানার কার্যক্রম। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির ভেতরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোনো কোনো কক্ষে টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। কর্মকর্তাদের পরিবার নিয়ে থাকার ব্যবস্থা নেই। ব্যারাকে গাদাগাদি করে থাকতে হয় সাধারণ পুলিশ সদস্যদের।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আবাসিক ভবন না থাকায় কর্মকর্তাদের থানার বাইরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে হয়। ভাড়া বাড়িটি জীর্ণশীর্ণ হওয়ায় গ্রেপ্তার করা অপরাধীদের হাজতখানায় রেখে উৎকণ্ঠায় কাটাতে হয়। এ ছাড়া অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। আবার জায়গার অভাবে সেবা নিতে আসা মানুষকে থানায় বসতে দেওয়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থানায় এলে তাঁদের কর্মকর্তাদের কক্ষে বসতে দিতে হয়। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল গোফফার জানান, শাজাহানপুর থানার ভবন নির্মাণের প্রাক্কলন তৈরি করে অর্থ বরাদ্দের জন্য কয়েক বছর আগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, শাজাহানপুর থানার ভবন নির্মাণের জন্য চার বছর আগে প্রায় এক একর জায়গা কেনা হয়েছে। এখন অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভবন নির্মাণ করা হবে। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া শহরের দুটি ওয়ার্ড এবং নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে ২০০২ সালের ৯ ডিসেম্বর শাজাহানপুর থানার কার্যক্রম শুরু হয়। এই থানার পুলিশ উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুটি সেনানিবাস, রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও নাটোর-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার অংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। মামলা, অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি মিলে গড়ে প্রতি মাসে চার শতাধিক ঘটনা তদন্ত করে এই থানার পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে একটি বাড়িতে চলছে শাজাহানপুর থানার কার্যক্রম। এই বাড়িতে টিনশেডের ছয়টি ঘর আছে। এসব ঘরে ১৩টি কক্ষ আছে। এগুলোর মধ্যে একটি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়, একটি পরিদর্শক (তদন্ত), একটি মুন্সিখানা বা রেকর্ড রুম, একটি বেতারকক্ষ, একটি মালখানা, একটি হাজতখানা, দুটি পরিদর্শকদের এবং অবশিষ্ট কক্ষগুলোকে ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত), উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শকসহ ১৩ জন কর্মকর্তা এবং ২১ জন কনস্টেবল কর্মরত আছেন। নারী অপরাধীদের জন্য আলাদা হাজতখানা নেই। নারী অপরাধী ধরা পড়লে তাঁদের পুলিশ কর্মকর্তাদের কক্ষেই বসিয়ে রাখা হয়।
পরিদর্শক (তদন্ত) আতিয়ার রহমান বলেন, মান্ধাতা আমলের একটি বাড়িতে চলছে এ থানার কার্যক্রম। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির ভেতরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোনো কোনো কক্ষে টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। কর্মকর্তাদের পরিবার নিয়ে থাকার ব্যবস্থা নেই। ব্যারাকে গাদাগাদি করে থাকতে হয় সাধারণ পুলিশ সদস্যদের।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আবাসিক ভবন না থাকায় কর্মকর্তাদের থানার বাইরে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে হয়। ভাড়া বাড়িটি জীর্ণশীর্ণ হওয়ায় গ্রেপ্তার করা অপরাধীদের হাজতখানায় রেখে উৎকণ্ঠায় কাটাতে হয়। এ ছাড়া অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। আবার জায়গার অভাবে সেবা নিতে আসা মানুষকে থানায় বসতে দেওয়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থানায় এলে তাঁদের কর্মকর্তাদের কক্ষে বসতে দিতে হয়। এতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল গোফফার জানান, শাজাহানপুর থানার ভবন নির্মাণের প্রাক্কলন তৈরি করে অর্থ বরাদ্দের জন্য কয়েক বছর আগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই নির্মাণকাজ শুরু হবে।
No comments