দ্বিতীয় দফা গণভোটও খসড়া সংবিধানের পক্ষে যাচ্ছে?
মিসরে খসড়া সংবিধানের বিষয়ে গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দফা গণভোট হয়েছে। গতকাল ১৭টি প্রদেশে এই গণভোট হয়। প্রথম দফা ভোটে খসড়া সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে বলে দাবি করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় দফা ভোটেও সংবিধানের পক্ষেই বেশি ভোট পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কাল সোমবারের আগে গণভোটের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে না।
মিসরের সরকারবিরোধীরা শুরু থেকেই খসড়া সংবিধানের বিরোধিতা করে আসছে। গতকালের গণভোটে কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। আশঙ্কা করা হলেও গতকাল বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত শুক্রবার সরকার-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়েছে। দ্বিতীয় বড় শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় সরকার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
মিসরের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত সাতটা পর্যন্ত চলে। সহিংসতা এড়াতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আড়াই লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোনো কোনো এলাকায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
দ্বিতীয় দফা গণভোটের ১৭ প্রদেশ বেশ রক্ষণশীল বলে পরিচিত। এসব এলাকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ও মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থন বেশি। তাই দ্বিতীয় দফায়ও খসড়া সংবিধানের পক্ষে ভোট বেশি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের (এনএসএফ) অভিযোগ, খসড়া সংবিধান ইসলামী ভাবাদর্শের কাছাকাছি। এটি জনগণের মধ্যে বিভক্তি আনবে। তবে প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা এই অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এই সংবিধান গণতান্ত্রিক মিসর প্রতিষ্ঠায় দিকনির্দেশনা দেবে।
গণভোটে খসড়া সংবিধান অনুমোদন হলে দুই মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে সংবিধান প্রণয়নের জন্য আর সময় পাবে বর্তমান সরকার। তবে খসড়া সংবিধান অনুমোদন পেলেও মিসরের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। মুরসিবিরোধী নেতারাও সেই সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এনএসএফভুক্ত দল ফ্রি ইজিপসিয়ান পার্টির প্রধান আহমেদ সাইদ গতকাল বলেন, দেশে আরও সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। প্রথম দফা গণভোটে ‘সাংঘাতিকভাবে আইন লঙ্ঘিত’ হয়েছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।
মুরসিবিরোধী নেতা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি বলেন, ‘আমরা জানি, এই সংবিধান পাস হলে দেশে অস্থিতিশীলতা বেড়ে যাবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই গণভোট শুধু একটি খসড়া সংবিধান প্রশ্নে গণভোট নয়। এর মাধ্যমে মিসর ইসলামপন্থী নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে—তার রায় পাওয়া যাবে।
প্রেসিডেন্ট মুরসি গত নভেম্বরে আদেশ (ডিক্রি) জারি করে নিজের ক্ষমতা বাড়ান। এরপর থেকে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটিতে বিরোধীরা একে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কৌশল বলে অভিযোগ তুলে আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ নাকচ করে মুরসি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতেই এ আদেশ জারি করা হয়েছে। বিবিসি ও রয়টার্স।
মিসরের সরকারবিরোধীরা শুরু থেকেই খসড়া সংবিধানের বিরোধিতা করে আসছে। গতকালের গণভোটে কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। আশঙ্কা করা হলেও গতকাল বড় ধরনের কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত শুক্রবার সরকার-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষ হয়েছে। দ্বিতীয় বড় শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় সরকার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
মিসরের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত সাতটা পর্যন্ত চলে। সহিংসতা এড়াতে ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আড়াই লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোনো কোনো এলাকায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
দ্বিতীয় দফা গণভোটের ১৭ প্রদেশ বেশ রক্ষণশীল বলে পরিচিত। এসব এলাকায় মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ও মিসরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থন বেশি। তাই দ্বিতীয় দফায়ও খসড়া সংবিধানের পক্ষে ভোট বেশি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মুরসির বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের (এনএসএফ) অভিযোগ, খসড়া সংবিধান ইসলামী ভাবাদর্শের কাছাকাছি। এটি জনগণের মধ্যে বিভক্তি আনবে। তবে প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা এই অভিযোগকে মিথ্যাচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, এই সংবিধান গণতান্ত্রিক মিসর প্রতিষ্ঠায় দিকনির্দেশনা দেবে।
গণভোটে খসড়া সংবিধান অনুমোদন হলে দুই মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে সংবিধান প্রণয়নের জন্য আর সময় পাবে বর্তমান সরকার। তবে খসড়া সংবিধান অনুমোদন পেলেও মিসরের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। মুরসিবিরোধী নেতারাও সেই সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এনএসএফভুক্ত দল ফ্রি ইজিপসিয়ান পার্টির প্রধান আহমেদ সাইদ গতকাল বলেন, দেশে আরও সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। প্রথম দফা গণভোটে ‘সাংঘাতিকভাবে আইন লঙ্ঘিত’ হয়েছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।
মুরসিবিরোধী নেতা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি বলেন, ‘আমরা জানি, এই সংবিধান পাস হলে দেশে অস্থিতিশীলতা বেড়ে যাবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই গণভোট শুধু একটি খসড়া সংবিধান প্রশ্নে গণভোট নয়। এর মাধ্যমে মিসর ইসলামপন্থী নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে—তার রায় পাওয়া যাবে।
প্রেসিডেন্ট মুরসি গত নভেম্বরে আদেশ (ডিক্রি) জারি করে নিজের ক্ষমতা বাড়ান। এরপর থেকে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। দেশটিতে বিরোধীরা একে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কৌশল বলে অভিযোগ তুলে আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ নাকচ করে মুরসি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতেই এ আদেশ জারি করা হয়েছে। বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments