বাদীকে তুলে নিতে ১৫০ সন্ত্রাসী নিয়ে এলো অভিযুক্ত ধর্ষণকারী
মামলায় যাতে আদালতে হাজিরা দিতে না পারেন সে জন্য ধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী ও তার মাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের রথখোলা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
আগামী ২ জানুয়ারি ওই মামলার হাজিরার তারিখ রয়েছে।
ওই ধর্ষণ মামলার মূল আসামি কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী। আরেক আসামি জেলা ওলামা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাউফ উজ জামান। শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার বাদী ও তার মাকে অপহরণের চেষ্টা চালায় রাউফ উজ জামান। তার সঙ্গে ছিল শহীদুল, রেজাউলসহ দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী। অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তারা বাদীর বাড়ির মালিকের বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
বাদীকে অপহরণের চেষ্টা, মালিকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা রউফ উজ জামানকে প্রধান আসামি করে গতকাল শনিবার বিকেলে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
বাড়ির মালিক মোর্শেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের মুনজিতপুরের আবদুল মাজেদের ছেলে ও জেলা ওলামা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাউফ উজ জামানের নেতৃত্বে শহীদুল, রেজাউলসহ দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাঁর বাসায় এসে হামলা চালায়। এ সময় তাঁর ভাড়াটে মা ও মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে। তখন মেয়েটির মা দরজার কাছে এগিয়ে গেলে তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে রাউফ। সেই সঙ্গে সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলে হামলাকারীরা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ ও মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় তাঁর বাড়ির জানালা-দরজাসহ লাইট ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ওপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। পরে থানার ওসি গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে আসায় হামলাকারীরা চলে যায়। জীবনের নিরাপত্তায় মা-মেয়েকে রাতেই অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল সকালে রথখোলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মোর্শেদ মঞ্জুরুলের বাড়ির সামনে হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া কয়েক জোড়া জুতা, চাদর ও মাফলার পড়ে আছে। ওই গ্রামের রবিউল ইসলাম, ফজলুর রহমান ও সোহরাব হোসেনসহ কয়েকজন জানান, রাউফের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী মোর্শেদ মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মা ও মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ছুটে আসে। হামলাকারীরা শহরের মুনজিতপুর ও সুলতানপুরের উল্লেখ করে তাঁরা জানান, উপপরিদর্শক আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সাঈদ মেহেদী ও তার লোকজন তাকে ও তার মাকে বারবার হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এর আগে আগস্ট মাসে একবার এবং ২৪ সেপ্টেম্বর একবার অপহরণের চেষ্টা করে সাঈদ মেহেদীর লোকজন। তৃতীয়বারের মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় অহরণের চেষ্টা চালায় তারা।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, দুটি ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় মামলা নেয়নি থানার পুলিশ। ফলে আগামী ২ জানুয়ারি ওই মামলার ধার্য দিনে আদালতে সে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত।
মামলার মূল আসামি যুবলীগ নেতা সাঈদ মেহেদী বাদীকে তুলে আনতে লোক পাঠানোর কথা কালের কণ্ঠের কাছে অস্বীকার করেছেন। ওলামা লীগ নেতা রাউফ উজ জামান অপহরণ চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ নাকচ করে দিলেও ওই বাড়িতে দলবলে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তার ভাষ্য হচ্ছে, এলাকার পরিবেশ ভালো রাখার জন্য ওই মেয়ে ও তার মাকে তুলে দিতে তারা বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করতে গিয়েছিল।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, আগে দুই বার অপহরণ চেষ্টা ও হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে মামলা না হওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়নি।
ওই ধর্ষণ মামলার মূল আসামি কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী। আরেক আসামি জেলা ওলামা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাউফ উজ জামান। শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার বাদী ও তার মাকে অপহরণের চেষ্টা চালায় রাউফ উজ জামান। তার সঙ্গে ছিল শহীদুল, রেজাউলসহ দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী। অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তারা বাদীর বাড়ির মালিকের বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
বাদীকে অপহরণের চেষ্টা, মালিকের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা রউফ উজ জামানকে প্রধান আসামি করে গতকাল শনিবার বিকেলে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
বাড়ির মালিক মোর্শেদ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের মুনজিতপুরের আবদুল মাজেদের ছেলে ও জেলা ওলামা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাউফ উজ জামানের নেতৃত্বে শহীদুল, রেজাউলসহ দেড় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাঁর বাসায় এসে হামলা চালায়। এ সময় তাঁর ভাড়াটে মা ও মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে। তখন মেয়েটির মা দরজার কাছে এগিয়ে গেলে তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে রাউফ। সেই সঙ্গে সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলে হামলাকারীরা। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ ও মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় তাঁর বাড়ির জানালা-দরজাসহ লাইট ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ওপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। পরে থানার ওসি গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের নেতৃত্বে পুলিশের আরেকটি দল ঘটনাস্থলে আসায় হামলাকারীরা চলে যায়। জীবনের নিরাপত্তায় মা-মেয়েকে রাতেই অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গতকাল সকালে রথখোলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মোর্শেদ মঞ্জুরুলের বাড়ির সামনে হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া কয়েক জোড়া জুতা, চাদর ও মাফলার পড়ে আছে। ওই গ্রামের রবিউল ইসলাম, ফজলুর রহমান ও সোহরাব হোসেনসহ কয়েকজন জানান, রাউফের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী মোর্শেদ মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মা ও মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ছুটে আসে। হামলাকারীরা শহরের মুনজিতপুর ও সুলতানপুরের উল্লেখ করে তাঁরা জানান, উপপরিদর্শক আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ওই স্কুলছাত্রী অভিযোগ করে, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সাঈদ মেহেদী ও তার লোকজন তাকে ও তার মাকে বারবার হুমকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এর আগে আগস্ট মাসে একবার এবং ২৪ সেপ্টেম্বর একবার অপহরণের চেষ্টা করে সাঈদ মেহেদীর লোকজন। তৃতীয়বারের মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় অহরণের চেষ্টা চালায় তারা।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, দুটি ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় মামলা নেয়নি থানার পুলিশ। ফলে আগামী ২ জানুয়ারি ওই মামলার ধার্য দিনে আদালতে সে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত।
মামলার মূল আসামি যুবলীগ নেতা সাঈদ মেহেদী বাদীকে তুলে আনতে লোক পাঠানোর কথা কালের কণ্ঠের কাছে অস্বীকার করেছেন। ওলামা লীগ নেতা রাউফ উজ জামান অপহরণ চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ নাকচ করে দিলেও ওই বাড়িতে দলবলে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তার ভাষ্য হচ্ছে, এলাকার পরিবেশ ভালো রাখার জন্য ওই মেয়ে ও তার মাকে তুলে দিতে তারা বাড়িওয়ালাকে অনুরোধ করতে গিয়েছিল।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান, আগে দুই বার অপহরণ চেষ্টা ও হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে মামলা না হওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়নি।
No comments