টেকসই উন্নয়ন এবং আমরা ওয়াইজার বাংলাদেশ by আদিব খোন্দকার রাতুল
৭ নভেম্বর ব্যাগ নিয়ে আমি এবং মাহাবুবুর রহমান অপু রওনা হলাম দিলি্লর উদ্দেশে। উদ্দেশ্য, টেকসই উন্নয়নের সামাজিক নেটওয়ার্ক রিংবৎ.ড়ৎম-এর বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ৮, ৯ ও ১০ নভেম্বর আমেরিকা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ব্রাজিল ও ভারতের ওয়াইজার এডিটর, লোকাল
অর্গানাইজার ও ভারতের বিভিন্ন পরিবেশবাদীর সঙ্গে যোগাযোগের সম্প্রসারণ, টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা ও সবশেষে ভারতের অহঙ্কার তাজমহল পরিদর্শন। উল্লেখ্য, ওয়াইজার টেকসই উন্নয়নের একটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট। যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৭০ হাজার মেম্বার টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ সম্প্রসারণের কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশে ওয়াইজারের কান্ট্রি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে কান্ট্রি এডিটররা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। ওয়াইজার বাংলাদেশ ওয়াইজারের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
৮ তারিখ দিলি্লর গ্রেটার কৈলাসে 'মুনলাইট' নামের একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেসে বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো অনেকটা করপোরেট আদলের বাইরে। আমরা বিভিন্ন দেশের ১৪ জন ও স্কাইপি আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করল অন্যান্য দেশের আরও অনেকে। আলোচনায় উঠে এসেছিল পরিবেশের উন্নয়নে যোগাযোগ সম্প্রসারণ ও টেকনোলজির ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটের ভূমিকা আলোচনার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল পরিবেশবিষয়ক শিক্ষার প্রসার এবং দেশি পরিবেশ সংক্রান্ত অর্গানাইজেশনগুলোর আন্তঃযোগাযোগের বিষয়গুলো। ট্রানজিশন টাউনের মতো উন্নত বিশ্বের কিছু পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হলো। এ ছাড়া ইন্টারনেটের সহযোগিতায় গ্গ্নোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের পাশাপাশি ওয়াইজারের একটি ভিন্নধর্মী কার্যক্রম বিভিন্ন দেশে লোকাল গেদারিং ইভেন্ট কীভাবে ফলপ্রসূ করা যেতে পারে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হলো।
৯ ডিসেম্বর এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো। ভারতের প্রায় ৩০ জন পরিবেশবিদ, পরিবেশবাদী, পলিসি-রিসার্চার, উদ্যোক্তা ও ইন্ডিয়ান ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্কের মেম্বারসহ আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনা আর অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি পরিবেশ আন্দোলনের আশা আর হতাশার গল্পগুলো ভাগাভাগি হলো। আলোচনার সার কথা ছিল, সারাবিশ্বে পরিবেশবিষয়ক ইস্যুগুলো যতই নিগৃহীত হোক না কেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের একই বিষয় নিয়ে সব দেশেই আলোচনা হচ্ছে, সভা-সেমিনার হচ্ছে এবং প্রায় প্রতিটি আলোচনার সারমর্ম হলো টেকসই উন্নয়ন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন বাদ দিয়ে প্রায় অসম্ভব। বিভিন্ন সেশনের এক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল পরিবেশ উন্নয়নে বিজ্ঞান ও পলিসি কীভাবে সমন্বয় করা হয়। ওয়াইজারের নতুন আয়োজন গেল্গাবাল মার্কেট প্লেস অব গিভিং অ্যান্ড শেয়ারিংয়ের উদ্বোধন করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে এমন একটি আলোচনা সভা আমার জন্য এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল।
অবশেষে ১০ নভেম্বর ওয়াইজারের সব সদস্য মিলে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল পরিদর্শন। অদ্ভুত এই সৃষ্টিকর্ম দেখে মুসলমানদের সৃষ্টিশীল মননের কথা মনে হচ্ছিল বারবার। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের সামনে পৃথিবীর ৭টি দেশের মানুষ টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্য বুকে নিয়ে এক মঞ্চে, ওয়াইজারের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষুদ্র একটি উদাহরণের ইতিহাস হয়ে আঁকা থাকবে মনের গহিনে এবং চলার পথে উৎসাহ হয়ে থাকবে আজীবন।
আদিব খোন্দকার রাতুল : শিক্ষার্থী পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮ তারিখ দিলি্লর গ্রেটার কৈলাসে 'মুনলাইট' নামের একটি কো-ওয়ার্কিং স্পেসে বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো অনেকটা করপোরেট আদলের বাইরে। আমরা বিভিন্ন দেশের ১৪ জন ও স্কাইপি আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করল অন্যান্য দেশের আরও অনেকে। আলোচনায় উঠে এসেছিল পরিবেশের উন্নয়নে যোগাযোগ সম্প্রসারণ ও টেকনোলজির ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেটের ভূমিকা আলোচনার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল পরিবেশবিষয়ক শিক্ষার প্রসার এবং দেশি পরিবেশ সংক্রান্ত অর্গানাইজেশনগুলোর আন্তঃযোগাযোগের বিষয়গুলো। ট্রানজিশন টাউনের মতো উন্নত বিশ্বের কিছু পরিবেশ সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হলো। এ ছাড়া ইন্টারনেটের সহযোগিতায় গ্গ্নোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের পাশাপাশি ওয়াইজারের একটি ভিন্নধর্মী কার্যক্রম বিভিন্ন দেশে লোকাল গেদারিং ইভেন্ট কীভাবে ফলপ্রসূ করা যেতে পারে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হলো।
৯ ডিসেম্বর এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো। ভারতের প্রায় ৩০ জন পরিবেশবিদ, পরিবেশবাদী, পলিসি-রিসার্চার, উদ্যোক্তা ও ইন্ডিয়ান ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্কের মেম্বারসহ আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনা আর অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি পরিবেশ আন্দোলনের আশা আর হতাশার গল্পগুলো ভাগাভাগি হলো। আলোচনার সার কথা ছিল, সারাবিশ্বে পরিবেশবিষয়ক ইস্যুগুলো যতই নিগৃহীত হোক না কেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের একই বিষয় নিয়ে সব দেশেই আলোচনা হচ্ছে, সভা-সেমিনার হচ্ছে এবং প্রায় প্রতিটি আলোচনার সারমর্ম হলো টেকসই উন্নয়ন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন বাদ দিয়ে প্রায় অসম্ভব। বিভিন্ন সেশনের এক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল পরিবেশ উন্নয়নে বিজ্ঞান ও পলিসি কীভাবে সমন্বয় করা হয়। ওয়াইজারের নতুন আয়োজন গেল্গাবাল মার্কেট প্লেস অব গিভিং অ্যান্ড শেয়ারিংয়ের উদ্বোধন করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের একজন ছাত্র হিসেবে এমন একটি আলোচনা সভা আমার জন্য এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল।
অবশেষে ১০ নভেম্বর ওয়াইজারের সব সদস্য মিলে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল পরিদর্শন। অদ্ভুত এই সৃষ্টিকর্ম দেখে মুসলমানদের সৃষ্টিশীল মননের কথা মনে হচ্ছিল বারবার। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের সামনে পৃথিবীর ৭টি দেশের মানুষ টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্য বুকে নিয়ে এক মঞ্চে, ওয়াইজারের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষুদ্র একটি উদাহরণের ইতিহাস হয়ে আঁকা থাকবে মনের গহিনে এবং চলার পথে উৎসাহ হয়ে থাকবে আজীবন।
আদিব খোন্দকার রাতুল : শিক্ষার্থী পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments