যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে ১৪ দলের গণমিছিল, যানজট-৭ জানুয়ারি মানববন্ধন
সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা এবং বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত মাঠে থাকার অঙ্গীকার করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।
গতকাল শনিবার হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত গণমিছিল থেকে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত মাঠে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা। সমাবেশ থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে এই গণমিছিল এবং মিছিলপূর্ব সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। বিকেল সোয়া ৪টায় গণমিছিল শুরুর আগে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
এদিকে মিছিলের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পল্টন, গুলিস্তান, কাকরাইল, শাহবাগ, নিউ মার্কেট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, পল্টন, দৈনিক বাংলার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের কারণে রাজধানীবাসী পড়ে চরম ভোগান্তিতে। এর আগে দুপুর থেকে ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে যোগ দেয় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর শুরু হয় মিছিল।
বাদ্যের তালে তালে এগিয়ে যাওয়া মিছিলটি জিরো পয়েন্ট, পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তা দিয়ে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে গিয়ে শেষ হয়। শিখা চিরন্তনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে ১৪ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার শপথ নেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু শপথ কার্য পরিচালনা করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিসংবলিত নানা স্লোগানে মুখরিত ছিল গণমিছিল। 'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার', 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, দিতে হবে', জামায়াত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়', 'মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই, দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'- এমন অসংখ্য স্লোগান ছিল নেতা-কর্মীদের মুখে। বিভিন্ন ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন ছাড়াও মিছিলে ছিল গোলাম আযম, নিজামী ও সাঈদীর কুশপুত্তলিকা।
গণমিছিল শুরুর আগে খোলা ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চ থেকে নেতারা ভাষণ দেন মিছিলপূর্ব সমাবেশে। আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বলা হয়, ষড়যন্ত্রকারীরা ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমির হোসেন আমু বলেন, স্বচ্ছতার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সাধারণ খুনিদের মতো স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে। তা না হলে বিচার হতো বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। তিনি সবাইকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। সমাবেশ থেকে আমু আগামী ৭ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য তোফায়েল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায়। তিনি একাত্তরের মতো ইস্পাতকঠিন ঐক্য নিয়ে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টামণ্ডলীর আরেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ৭৫-এ ষড়যন্ত্র করে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এটা একবিংশ শতাব্দী। এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনারা বিজয়ী হতে পারবেন না। ২০১৩ সালেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং এর পর ফাঁসি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, সেই নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পরাজিত হবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, জামায়াত অস্ত্র চোরাচালান ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে। জামায়াতের কাছে গরুর মাংস আর নারী একই জিনিস মন্তব্য করে মতিয়া বলেন, এ জন্যই তারা একাত্তরে গনিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বাঙালি মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি শুধু বাংলার জনগণ নয়, স্বামী জিয়াউর রহমানের সঙ্গেও বেইমানি করেছেন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে।'
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কখনো তামাদি হয় না, এখনো হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক, তারা এ বিচার বন্ধ করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন মেনন।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদের উপস্থাপনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ১৪ দলীয় নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. ওয়াজেদুর ইসলাম, হাজি আবদুস সামাদ, শরীফ নরুল আম্বিয়া, নূরুর রহমান সেলিম, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, আবু আহমেদ শাহাবুদ্দীন প্রমুখ।sc
গতকাল শনিবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে এই গণমিছিল এবং মিছিলপূর্ব সমাবেশের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। বিকেল সোয়া ৪টায় গণমিছিল শুরুর আগে হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।
এদিকে মিছিলের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পল্টন, গুলিস্তান, কাকরাইল, শাহবাগ, নিউ মার্কেট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, পল্টন, দৈনিক বাংলার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় যানজটের কারণে রাজধানীবাসী পড়ে চরম ভোগান্তিতে। এর আগে দুপুর থেকে ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে যোগ দেয় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর শুরু হয় মিছিল।
বাদ্যের তালে তালে এগিয়ে যাওয়া মিছিলটি জিরো পয়েন্ট, পুরানা পল্টন, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তা দিয়ে ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে গিয়ে শেষ হয়। শিখা চিরন্তনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা। সেখানে ১৪ দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার শপথ নেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু শপথ কার্য পরিচালনা করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিসংবলিত নানা স্লোগানে মুখরিত ছিল গণমিছিল। 'একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার', 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, দিতে হবে', জামায়াত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়', 'মুজিবের বাংলায় রাজাকারের ঠাঁই নাই, দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই'- এমন অসংখ্য স্লোগান ছিল নেতা-কর্মীদের মুখে। বিভিন্ন ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন ছাড়াও মিছিলে ছিল গোলাম আযম, নিজামী ও সাঈদীর কুশপুত্তলিকা।
গণমিছিল শুরুর আগে খোলা ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চ থেকে নেতারা ভাষণ দেন মিছিলপূর্ব সমাবেশে। আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বলা হয়, ষড়যন্ত্রকারীরা ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমির হোসেন আমু বলেন, স্বচ্ছতার কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সাধারণ খুনিদের মতো স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে। তা না হলে বিচার হতো বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে। তিনি সবাইকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। সমাবেশ থেকে আমু আগামী ৭ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য তোফায়েল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায়। তিনি একাত্তরের মতো ইস্পাতকঠিন ঐক্য নিয়ে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টামণ্ডলীর আরেক সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ৭৫-এ ষড়যন্ত্র করে বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এটা একবিংশ শতাব্দী। এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আপনারা বিজয়ী হতে পারবেন না। ২০১৩ সালেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং এর পর ফাঁসি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, সেই নির্বাচনেও খালেদা জিয়া পরাজিত হবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, জামায়াত অস্ত্র চোরাচালান ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে। জামায়াতের কাছে গরুর মাংস আর নারী একই জিনিস মন্তব্য করে মতিয়া বলেন, এ জন্যই তারা একাত্তরে গনিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বাঙালি মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনি শুধু বাংলার জনগণ নয়, স্বামী জিয়াউর রহমানের সঙ্গেও বেইমানি করেছেন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে।'
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কখনো তামাদি হয় না, এখনো হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক, তারা এ বিচার বন্ধ করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন মেনন।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদের উপস্থাপনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ১৪ দলীয় নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. ওয়াজেদুর ইসলাম, হাজি আবদুস সামাদ, শরীফ নরুল আম্বিয়া, নূরুর রহমান সেলিম, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, আবু আহমেদ শাহাবুদ্দীন প্রমুখ।sc
No comments