পবিত্র কোরআনের আলো-সুরা হুদের অবতারণা, সারসংক্ষেপ ও একত্ববাদ সম্পর্কে আরো জোরালো যুক্তি
১. আলিফ লা-ম রা-; কিতা-বুন উহ্কিমাত্ আয়াতুহূ ছুম্মা ফুছ্ছিলাত্ মিল্লাদুন হাকীমিন খাবীর। ২. আল্লা- তা'বুদূ ইল্লাল্লা-হা; ইন্নানী লাকুম্ মিন্হু নাযীরুওঁ ওয়া বাশীর।
৩. ওয়া আনিছ্তাগ্ফিরূ রাব্বাকুম ছুম্মা তূবূ ইলাইহি ইউমাত্তিউ'কুম্ মাতা-আ'ন হাছানান ইলা- আজালিম্ মুছাম্মাওঁ ওয়া ইউ'তি কুল্লা যী ফাদ্বলিন ফাদ্বলাহূ; ওয়া ইন তাওয়াল্লাও ফাইন্নী আখা-ফু আ'লাইকুম আ'যা-বা ইয়াওমিন কাবীর।
৪. ইলাল্লা-হি মারজিউ'কুম; ওয়া হুয়া আ'লা কুলি্ল শাইয়িন ক্বাদীর। [সুরা হুদ, আয়াত : ০১-০৫]
৫. আলা ইন্নাহুম ইয়াচনূনা ছুদূরাহুম লিইয়াসতাখফূ মিনহু, আলা হীনা ইয়াসতাগশূনা চিয়াবাহুম, ইয়া'লামু মা ইউছির্রূনা ওয়া মা ইয়ু'লিনূনা, ইন্নাহু আলীমুম বিজা-তির ছুদূর।
অনুবাদ : ১. আলিফ লাম-মীম-রা। (এগুলো 'হুরুফুল মুকাত্তায়াত) এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াতগুলোকে কর্তব্য নির্ধারক হিসেবে নাজিল করা হয়েছে। এ ছাড়া এমন এক সত্তার পক্ষ থেকে এগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি হিকমতের মালিক এবং সব কিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
২. (এখানে নবীকে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে) তোমরা যেন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করো। নবী হিসেবে আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
৩. আর তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে তোমাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁর প্রতি নিবিষ্ট থাক। তিনি তোমাদের জন্য এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন এবং যে ব্যক্তি বেশি সৎকর্ম করবে, তাকে বেশি প্রতিদান দেওয়া হবে। আর তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমি তোমাদের জন্য এ মহা দিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি।
৪. আল্লাহরই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে এবং তিনি সব কিছুতে সক্ষম।
৫. (লক্ষ করো) তারা (কাফেররা) রাসুলের কাছ থেকে লুকানোর জন্য নিজেদের বুক দু-ভাঁজ করে রাখে। মনে রেখো, তারা যখন নিজেদের গায়ে কাপড় জড়ায় গোপন করার জন্য তখন যা গোপন করে তাও আল্লাহ জানেন এবং যা প্রকাশ করে তাও। আল্লাহ অবশ্যই মানুষের অন্তরে লুকানো সব কিছুই জানেন।
ব্যাখ্যা : এ সুরাটি মক্কি। এর বিষয়বস্তুও অনেকটা আগের সুরার মতোই। সুরা ইউনুসে যেসব নবীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে, এ সুরায় তা কিছুটা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে সুরায় হজরত নূহ, হুদ, সালেহ, আইয়ুব ও লুত আলাইহিমুস সালামের কাহিনী বেশ খুলেই বলা হয়েছে। এসব কাহিনীতে আল্লাহর নাফরমানির কারণে বহু জাতির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হৃদয়গ্রাহী বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
১ নম্বর আয়াতে কোরআন মজিদের আয়াতগুলোকে কর্তব্য নির্ধারক বা সুদৃঢ় করার কথা বলা হয়েছে। আসলে কোরআনের বাণীর ব্যাপারে কোনো অনিশ্চয়তা, সন্দেহ বা কনফিউশন নেই। মূল কারণটাও এ আয়াতের শেষের অংশেই বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ সব কিছুর মালিক, নিয়ামক এবং সব কিছু সম্পর্কে অবহিত। ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি নিবিষ্ট থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ কেবল ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। বরং ভবিষ্যতে গুনাহ না করা এবং আল্লাহর হুকুম পালন করাও অবশ্য কর্তব্য। ৫ নম্বর আয়াতে মুশরিকদের কিছু স্বভাবের কথা বলা হয়েছে। কিছু মুশরিক এমন ছিল যারা নবী (সা.)-কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত। তারা তাঁকে দেখলেই নিজেদের বুকের কাপড় দুই ভাঁজ করে ফেলত এবং কাপড়ের নিচে লুকিয়ে নজর করত। এমনিভাবে কোনো কোনো নির্বোধ লোক কোনো গুনাহের কাজ করলে কাপড় দ্বারা নিজেকে ঢেকে নেওয়ার চেষ্টা করত। তারা মনে করত এভাবে আল্লাহর কাছ থেকে নিজেদের গোপন করা যাবে। আয়াতে এই উভয় প্রকৃতির লোকের দিকে ইশারা করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৪. ইলাল্লা-হি মারজিউ'কুম; ওয়া হুয়া আ'লা কুলি্ল শাইয়িন ক্বাদীর। [সুরা হুদ, আয়াত : ০১-০৫]
৫. আলা ইন্নাহুম ইয়াচনূনা ছুদূরাহুম লিইয়াসতাখফূ মিনহু, আলা হীনা ইয়াসতাগশূনা চিয়াবাহুম, ইয়া'লামু মা ইউছির্রূনা ওয়া মা ইয়ু'লিনূনা, ইন্নাহু আলীমুম বিজা-তির ছুদূর।
অনুবাদ : ১. আলিফ লাম-মীম-রা। (এগুলো 'হুরুফুল মুকাত্তায়াত) এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াতগুলোকে কর্তব্য নির্ধারক হিসেবে নাজিল করা হয়েছে। এ ছাড়া এমন এক সত্তার পক্ষ থেকে এগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি হিকমতের মালিক এবং সব কিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
২. (এখানে নবীকে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে) তোমরা যেন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করো। নবী হিসেবে আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।
৩. আর তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে তোমাদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁর প্রতি নিবিষ্ট থাক। তিনি তোমাদের জন্য এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন এবং যে ব্যক্তি বেশি সৎকর্ম করবে, তাকে বেশি প্রতিদান দেওয়া হবে। আর তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমি তোমাদের জন্য এ মহা দিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি।
৪. আল্লাহরই কাছে তোমাদের ফিরে যেতে হবে এবং তিনি সব কিছুতে সক্ষম।
৫. (লক্ষ করো) তারা (কাফেররা) রাসুলের কাছ থেকে লুকানোর জন্য নিজেদের বুক দু-ভাঁজ করে রাখে। মনে রেখো, তারা যখন নিজেদের গায়ে কাপড় জড়ায় গোপন করার জন্য তখন যা গোপন করে তাও আল্লাহ জানেন এবং যা প্রকাশ করে তাও। আল্লাহ অবশ্যই মানুষের অন্তরে লুকানো সব কিছুই জানেন।
ব্যাখ্যা : এ সুরাটি মক্কি। এর বিষয়বস্তুও অনেকটা আগের সুরার মতোই। সুরা ইউনুসে যেসব নবীর ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে, এ সুরায় তা কিছুটা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষ করে সুরায় হজরত নূহ, হুদ, সালেহ, আইয়ুব ও লুত আলাইহিমুস সালামের কাহিনী বেশ খুলেই বলা হয়েছে। এসব কাহিনীতে আল্লাহর নাফরমানির কারণে বহু জাতির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হৃদয়গ্রাহী বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
১ নম্বর আয়াতে কোরআন মজিদের আয়াতগুলোকে কর্তব্য নির্ধারক বা সুদৃঢ় করার কথা বলা হয়েছে। আসলে কোরআনের বাণীর ব্যাপারে কোনো অনিশ্চয়তা, সন্দেহ বা কনফিউশন নেই। মূল কারণটাও এ আয়াতের শেষের অংশেই বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ সব কিছুর মালিক, নিয়ামক এবং সব কিছু সম্পর্কে অবহিত। ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি নিবিষ্ট থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ কেবল ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। বরং ভবিষ্যতে গুনাহ না করা এবং আল্লাহর হুকুম পালন করাও অবশ্য কর্তব্য। ৫ নম্বর আয়াতে মুশরিকদের কিছু স্বভাবের কথা বলা হয়েছে। কিছু মুশরিক এমন ছিল যারা নবী (সা.)-কে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত। তারা তাঁকে দেখলেই নিজেদের বুকের কাপড় দুই ভাঁজ করে ফেলত এবং কাপড়ের নিচে লুকিয়ে নজর করত। এমনিভাবে কোনো কোনো নির্বোধ লোক কোনো গুনাহের কাজ করলে কাপড় দ্বারা নিজেকে ঢেকে নেওয়ার চেষ্টা করত। তারা মনে করত এভাবে আল্লাহর কাছ থেকে নিজেদের গোপন করা যাবে। আয়াতে এই উভয় প্রকৃতির লোকের দিকে ইশারা করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments