একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর প্রতি এ কেমন আচরণ?- স্বপনের স্বপ্নভঙ্গ
একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে যতটুকু সংগ্রাম করা সম্ভব, তার সবটুকুই করেছেন স্বপন চৌকিদার। যতটা এগিয়েছিলেন, তাতে সংগ্রাম সফলের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল।
কিন্তু আমলাতন্ত্র বলে যে বিষয়টি আছে, তা সহজেই কারও স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে কেন!
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্বের মতো বাধাকে উপেক্ষা করে প্রথম বিভাগ পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, এরপর অপরাধ মনোবিজ্ঞান বিষয়ে আরও একটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। এত কিছুর পর দেশের প্রথম শ্রেণীর একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন তো স্বপন দেখতেই পারেন। কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও থেমে যাননি, উচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করে সে সুযোগও আদায় করেছেন তিনি। এরপর প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গিয়ে তাঁর স্বপ্নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যান স্বপন। এত বাধা পেরোনোর পর তিনি আটকে গেলেন শ্রুতলেখকসংক্রান্ত জটিলতায়, যার দায় কার্যত স্বপনের নয়।
সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) বিধান অনুযায়ী, একজন শ্রুতলেখকের অনুমতি নেওয়া যায়। একজনের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেনও তিনি। কিন্তু বিসিএস প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সময়সূচি পরিবর্তন হলে বিপাকে পড়ে যেতে হয় স্বপনকে। কারণ, শ্রুতলেখকের নিজের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। তাই তাঁর বদলে নতুন শ্রুতলেখককে নিয়ে পরীক্ষায় যেতে হয় স্বপনকে, যাঁর মৌখিক অনুমতিও নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব নতুন একজন শ্রুতলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় বহিষ্কার করেন স্বপনকে। যাঁরা স্বপনকে বহিষ্কার করেছেন তাঁরা হয়তো আইনের দোহাই দেবেন, কিন্তু বহিষ্কার করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাস্তবতা বিবেচনা করার সামান্য দায়টুকুও তাঁরা কেন অনুভব করলেন না, সেটা সত্যিই বিস্ময়ের। পিএসসির পরিচালক (পরীক্ষা) জানিয়েছেন, নির্ধারিত শ্রুতলেখক কোনো জরুরি কারণে হাজির না হতে পারলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া যেত। একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে কেন্দ্রসচিবের অন্তত উচিত ছিল, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা। এত বাধা পেরিয়ে, এত দূর এগিয়ে স্বপন যে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারলেন না, এর দায়টি আসলে কার?
প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তাতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কোনোভাবেই স্বপনের মতো একজন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না। একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হিসেবে যেখানে স্বপনের বাড়তি সহায়তা ও সহানুভূতি পাওয়ার কথা, সেখানে তাঁর প্রতি উল্টো আচরণই করা হলো। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলের নজরে আসুক এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্বপনের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হোক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিত্বের মতো বাধাকে উপেক্ষা করে প্রথম বিভাগ পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, এরপর অপরাধ মনোবিজ্ঞান বিষয়ে আরও একটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। এত কিছুর পর দেশের প্রথম শ্রেণীর একজন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন তো স্বপন দেখতেই পারেন। কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় শুরুতে ধাক্কা খেলেও থেমে যাননি, উচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করে সে সুযোগও আদায় করেছেন তিনি। এরপর প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গিয়ে তাঁর স্বপ্নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যান স্বপন। এত বাধা পেরোনোর পর তিনি আটকে গেলেন শ্রুতলেখকসংক্রান্ত জটিলতায়, যার দায় কার্যত স্বপনের নয়।
সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) বিধান অনুযায়ী, একজন শ্রুতলেখকের অনুমতি নেওয়া যায়। একজনের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেনও তিনি। কিন্তু বিসিএস প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সময়সূচি পরিবর্তন হলে বিপাকে পড়ে যেতে হয় স্বপনকে। কারণ, শ্রুতলেখকের নিজের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। তাই তাঁর বদলে নতুন শ্রুতলেখককে নিয়ে পরীক্ষায় যেতে হয় স্বপনকে, যাঁর মৌখিক অনুমতিও নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব নতুন একজন শ্রুতলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় বহিষ্কার করেন স্বপনকে। যাঁরা স্বপনকে বহিষ্কার করেছেন তাঁরা হয়তো আইনের দোহাই দেবেন, কিন্তু বহিষ্কার করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাস্তবতা বিবেচনা করার সামান্য দায়টুকুও তাঁরা কেন অনুভব করলেন না, সেটা সত্যিই বিস্ময়ের। পিএসসির পরিচালক (পরীক্ষা) জানিয়েছেন, নির্ধারিত শ্রুতলেখক কোনো জরুরি কারণে হাজির না হতে পারলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়া যেত। একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে কেন্দ্রসচিবের অন্তত উচিত ছিল, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা। এত বাধা পেরিয়ে, এত দূর এগিয়ে স্বপন যে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারলেন না, এর দায়টি আসলে কার?
প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তাতে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কোনোভাবেই স্বপনের মতো একজন প্রতিবন্ধীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না। একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হিসেবে যেখানে স্বপনের বাড়তি সহায়তা ও সহানুভূতি পাওয়ার কথা, সেখানে তাঁর প্রতি উল্টো আচরণই করা হলো। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলের নজরে আসুক এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী স্বপনের স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হোক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments