অবাধে ঢুকছে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে- আতঙ্কের নাম ‘পাম্পবড়ি’
কক্সবাজার-টেকনাফে এখন নতুন আতঙ্কের নাম ‘পাম্পবড়ি’। টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে অবাধে বাংলাদেশে ঢুকছে নিষিদ্ধ মিয়ানমারের এ বড়ি। এরপর টেকনাফ, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।
এত দিন পশু মোটাতাজাকরণ বড়ি হিসেবে ব্যবহার হলেও এখন সেবন করছেন নারীরা।
টেকনাফ ও কক্সবাজারের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, মোটা হওয়ার জন্য তরুণীরা ইদানীং নিষিদ্ধ ডেক্সামেথাসোন, ডেক্সাভেট ও বি-৫০ ট্যাবলেট (স্থানীয় ভাষায় পাম্পবড়ি) সেবন করছেন। বড়ি সেবনের পর টানা কয়েক মাস মোটা থাকলেও পরে ওই তরুণীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বড়ি সেবনের ফলে যকৃৎ ও কিডনির সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অনেকে পাম্পবড়ি খাওয়ার কথা চিকিৎসকদের কাছে অকপটে স্বীকার করছেন বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ পৌরসভার ওপরের বাজার (বার্মিজ মার্কেট) ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটা দোকানে পাম্পবড়ি বিক্রি হচ্ছে। ৫০, ১০০, ৫০০ ও এক হাজার বড়ি নিয়ে পলিথিন মোড়ানো আলাদা প্যাকেটে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ বড়ি। দাম প্রতিটি ৫০ পয়সা। এক হাজার বড়ির প্যাকেটের দাম ৪০০ টাকা। বড়ির গায়ে অথবা প্যাকেটে তৈরির তারিখ বা মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় উল্লেখ নেই।
বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী গফুর আলম (২৫) জানান, মিয়ানমার থেকে এলেও এসব বড়ি তৈরি হয় চীন দেশে। ইদানীং গ্রামের মেয়েরা মোটা হওয়ার জন্য এই বড়ি খাচ্ছেন। শীত মৌসুমে এটির চাহিদা বেশি। তাই মিয়ানমার থেকে এখন প্রচুর পরিমাণ বড়ি আসছে। কিন্তু এই বড়ি নিষিদ্ধ কি না আমরা জানি না। দেখা গেছে, টেকনাফের পাশাপাশি কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা, কালুরদোকান, লিংকরোড, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন দোকানে এই বড়ি বিক্রি হচ্ছে। অনেকে টেকনাফের বাজার থেকে পাইকারিতে বড়ি কিনে পাচার করছে সারা দেশে।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুরের চাষি মমতাজ আহমদ (৫৫) জানান, গত ১৫ নভেম্বর থেকে তিনি ৩৪ হাজার টাকায় কেনা একটি গরুকে মোটাতাজা করার জন্য পাম্পবড়ি খাওয়ানো শুরু করেন। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর রাতে গরুটি মারা গেছে। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, পাম্পবড়ি খাওয়ানোর ফলে গরুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে পাম্পবড়ি খাওয়ানোর ফলে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং গ্রামের গোলাম কাদেরের একটি, মনছুর আলমের একটি, উলুবনিয়ার নবী হোসেনের একটি ও নীলার পানখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের একটি গরু মারা গেছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আতাউর রহমান জানান, মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা পাম্পবড়ি খাওয়ানোর ফলে পশুর যকৃৎ ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শরীরে পানি জমে যায়। এই পানি স্বাভাবিকভাবে শরীর থেকে বের হতে না পেরে মাংসে সঞ্চারিত হয়। শরীর দ্রুত ফুলে যায়। বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পশুগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। আবার মোটাতাজা হওয়া পশুকে হঠাৎ বড়ি খাওয়ানো বন্ধ করলে মৃত্যু হতে পারে। আর এ বড়ি মানুষ সেবন করলেও একই সমস্যা হবে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. অরূপ দত্ত বলেন, নিষিদ্ধ বড়ি পশুর জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি এসব পশুর মাংসও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে হাটবাজারগুলোতে পুলিশি অভিযান জরুরি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, নিষিদ্ধ পাম্পবড়ি সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। ক্ষতিকর পাম্পবড়ি দেখতে কি রকম তা আমরাও জানি না। চিকিৎসকেরা এসব বড়ি বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
টেকনাফ ও কক্সবাজারের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, মোটা হওয়ার জন্য তরুণীরা ইদানীং নিষিদ্ধ ডেক্সামেথাসোন, ডেক্সাভেট ও বি-৫০ ট্যাবলেট (স্থানীয় ভাষায় পাম্পবড়ি) সেবন করছেন। বড়ি সেবনের পর টানা কয়েক মাস মোটা থাকলেও পরে ওই তরুণীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বড়ি সেবনের ফলে যকৃৎ ও কিডনির সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে অনেকে পাম্পবড়ি খাওয়ার কথা চিকিৎসকদের কাছে অকপটে স্বীকার করছেন বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ পৌরসভার ওপরের বাজার (বার্মিজ মার্কেট) ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটা দোকানে পাম্পবড়ি বিক্রি হচ্ছে। ৫০, ১০০, ৫০০ ও এক হাজার বড়ি নিয়ে পলিথিন মোড়ানো আলাদা প্যাকেটে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ বড়ি। দাম প্রতিটি ৫০ পয়সা। এক হাজার বড়ির প্যাকেটের দাম ৪০০ টাকা। বড়ির গায়ে অথবা প্যাকেটে তৈরির তারিখ বা মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় উল্লেখ নেই।
বাজারের একটি দোকানের কর্মচারী গফুর আলম (২৫) জানান, মিয়ানমার থেকে এলেও এসব বড়ি তৈরি হয় চীন দেশে। ইদানীং গ্রামের মেয়েরা মোটা হওয়ার জন্য এই বড়ি খাচ্ছেন। শীত মৌসুমে এটির চাহিদা বেশি। তাই মিয়ানমার থেকে এখন প্রচুর পরিমাণ বড়ি আসছে। কিন্তু এই বড়ি নিষিদ্ধ কি না আমরা জানি না। দেখা গেছে, টেকনাফের পাশাপাশি কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা, কালুরদোকান, লিংকরোড, ঈদগাঁও, রামু, উখিয়া ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন দোকানে এই বড়ি বিক্রি হচ্ছে। অনেকে টেকনাফের বাজার থেকে পাইকারিতে বড়ি কিনে পাচার করছে সারা দেশে।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুরের চাষি মমতাজ আহমদ (৫৫) জানান, গত ১৫ নভেম্বর থেকে তিনি ৩৪ হাজার টাকায় কেনা একটি গরুকে মোটাতাজা করার জন্য পাম্পবড়ি খাওয়ানো শুরু করেন। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর রাতে গরুটি মারা গেছে। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করলে তাঁরা জানান, পাম্পবড়ি খাওয়ানোর ফলে গরুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে পাম্পবড়ি খাওয়ানোর ফলে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং গ্রামের গোলাম কাদেরের একটি, মনছুর আলমের একটি, উলুবনিয়ার নবী হোসেনের একটি ও নীলার পানখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের একটি গরু মারা গেছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আতাউর রহমান জানান, মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা পাম্পবড়ি খাওয়ানোর ফলে পশুর যকৃৎ ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শরীরে পানি জমে যায়। এই পানি স্বাভাবিকভাবে শরীর থেকে বের হতে না পেরে মাংসে সঞ্চারিত হয়। শরীর দ্রুত ফুলে যায়। বড়ির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পশুগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। আবার মোটাতাজা হওয়া পশুকে হঠাৎ বড়ি খাওয়ানো বন্ধ করলে মৃত্যু হতে পারে। আর এ বড়ি মানুষ সেবন করলেও একই সমস্যা হবে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. অরূপ দত্ত বলেন, নিষিদ্ধ বড়ি পশুর জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি এসব পশুর মাংসও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে হাটবাজারগুলোতে পুলিশি অভিযান জরুরি।
এ ব্যাপারে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, নিষিদ্ধ পাম্পবড়ি সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। ক্ষতিকর পাম্পবড়ি দেখতে কি রকম তা আমরাও জানি না। চিকিৎসকেরা এসব বড়ি বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
No comments