ঢাকায় হাসিনা-ইংলাক শীর্ষ বৈঠক- সন্ত্রাসবাদ ও চোরাচালান দমনে তথ্য বিনিময়ে সম্মত দুই দেশ
সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে তথ্য বিনিময়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। গতকাল শনিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ঘাটতি কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে ২০১৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ (বর্তমানে ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে) করার বিষয়ে একমত হয়েছেন দুই দেশের নেতারা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
কৃষি, নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবাসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে থাইল্যান্ডের। ইংলাক সিনাওয়াত্রা গতকাল শেখ হাসিনাকে তাঁর দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। হাসিনা-ইংলাক শীর্ষ বৈঠক শেষে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই (এমওইউ) হয়েছে। এর একটি হচ্ছে কৃষি খাতে সহযোগিতা, অন্যটি দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চালু।
প্রেস সচিব জানান, সকালে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা বিজয়ের মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত দুই অর্থবছরে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এর পাশাপাশি গত অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় দুই প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ, পাট, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক ও তৈজসপত্র শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গতি পাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ ২০১৬ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে নিতে রাজি হয়েছে।
ইংলাক দুই দেশের বিনিয়োগ, বিশেষ করে কৃষি খাতে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন। তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তাঁর দেশের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর বিষয়ে তাঁর সরকারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আশা করেন, শিগগিরই ঢাকায় উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শুরু করবে থাই কোম্পানি।
শেখ হাসিনা অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ানস নেশনস (আসিয়ান) সংলাপে অংশীদার হতে এবং মেকং-গঙ্গা কো-অপারেশন ইনিশিয়েটিভে (এমজিসিআই) বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪০ জন বাংলাদেশি ছাত্রকে থাইল্যান্ডে বৃত্তি দেওয়ায় ইংলাককে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশেও থাইল্যান্ডের ৪০ জন ছাত্রকে একই সুবিধা দেওয়ার কথা এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে কিছুক্ষণ একান্তে বৈঠক করেন দুই নেতা।
সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ: দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন দুই নেত্রী এবং তাঁরা সব ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন।
সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের জন্য অপরাধীদের মধ্যে এ অঞ্চলের ব্যবহার বাড়ছে বলে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
দুই সমঝোতা স্মারক সই: দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং থাইল্যান্ডের পক্ষে সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাপং তোভিছাকছিকুল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালু’ বিষয়ক এমওইউতে সই করেন। আর কৃষিসচিব মঞ্জুর হোসেইন এবং থাইল্যান্ডের কৃষিবিষয়ক সংসদীয় সচিব ছাভালিত ছোকাজর্ন কৃষিবিষয়ক এমওইউতে সই করেন।
স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা: গতকাল জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় থাই প্রধানমন্ত্রীর দিনের কর্মসূচি। সকাল নয়টার দিকে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান। একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি পরিদর্শন বইতে সই করেন এবং স্মৃতিসৌধ চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের পর তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তাঁকে জাদুঘর ঘুরিয়ে দেখান।
দুই দিনের সফর শেষে গতকাল বিকেলে ঢাকা ছেড়ে গেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান দীপু মনি।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
কৃষি, নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবাসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে থাইল্যান্ডের। ইংলাক সিনাওয়াত্রা গতকাল শেখ হাসিনাকে তাঁর দেশের এ আগ্রহের কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন। হাসিনা-ইংলাক শীর্ষ বৈঠক শেষে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই (এমওইউ) হয়েছে। এর একটি হচ্ছে কৃষি খাতে সহযোগিতা, অন্যটি দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চালু।
প্রেস সচিব জানান, সকালে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা বিজয়ের মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত দুই অর্থবছরে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এর পাশাপাশি গত অর্থবছরে বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় দুই প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ, পাট, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক ও তৈজসপত্র শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গতি পাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ ২০১৬ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলারে নিতে রাজি হয়েছে।
ইংলাক দুই দেশের বিনিয়োগ, বিশেষ করে কৃষি খাতে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন। তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তাঁর দেশের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর বিষয়ে তাঁর সরকারের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আশা করেন, শিগগিরই ঢাকায় উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শুরু করবে থাই কোম্পানি।
শেখ হাসিনা অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ানস নেশনস (আসিয়ান) সংলাপে অংশীদার হতে এবং মেকং-গঙ্গা কো-অপারেশন ইনিশিয়েটিভে (এমজিসিআই) বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪০ জন বাংলাদেশি ছাত্রকে থাইল্যান্ডে বৃত্তি দেওয়ায় ইংলাককে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশেও থাইল্যান্ডের ৪০ জন ছাত্রকে একই সুবিধা দেওয়ার কথা এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে কিছুক্ষণ একান্তে বৈঠক করেন দুই নেতা।
সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ: দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন দুই নেত্রী এবং তাঁরা সব ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন।
সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি মানব পাচার ও চোরাচালান রোধে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে একমত হওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের জন্য অপরাধীদের মধ্যে এ অঞ্চলের ব্যবহার বাড়ছে বলে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
দুই সমঝোতা স্মারক সই: দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এবং থাইল্যান্ডের পক্ষে সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুরাপং তোভিছাকছিকুল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালু’ বিষয়ক এমওইউতে সই করেন। আর কৃষিসচিব মঞ্জুর হোসেইন এবং থাইল্যান্ডের কৃষিবিষয়ক সংসদীয় সচিব ছাভালিত ছোকাজর্ন কৃষিবিষয়ক এমওইউতে সই করেন।
স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা: গতকাল জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় থাই প্রধানমন্ত্রীর দিনের কর্মসূচি। সকাল নয়টার দিকে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান। একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি পরিদর্শন বইতে সই করেন এবং স্মৃতিসৌধ চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের পর তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ তাঁকে জাদুঘর ঘুরিয়ে দেখান।
দুই দিনের সফর শেষে গতকাল বিকেলে ঢাকা ছেড়ে গেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান দীপু মনি।
No comments