ঐতিহ্য-গোল্লাছুট প্রথম আলো গল্পলেখা প্রতিযোগিতা- লিখে লাখ টাকার বই
সবচেয়ে বড় হয়তো নয়, কিন্তু বলা তো যায়ই—দেশের অন্যতম বড় লেখক সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ১৮৫ জন খুদে লেখক এসেছিল এই সম্মেলনে। গতকাল নতুন প্রজন্মের এই লেখকেরা তাদের বাবা-মা, অভিভাবকদের নিয়ে একত্র হয়েছিল জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে।
দারুণ এক আনন্দঘন আয়োজন। ভবিষ্যতে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা এবং গানে গানে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল খুদে লেখকদের এই সমাবেশ। ২০১১ সালের ঐতিহ্য-গোল্লাছুট প্রথম আলো গল্পলেখা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেছিল তারা।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে মিলনায়তনের সামনে তিনটি বুথে চলছিল তাদের নাম নিবন্ধনের পালা। লম্বা লাইন পড়ল সেখানে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী ‘ক’, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী ‘খ’ এবং নবম থেকে দশম শ্রেণী ‘গ’—এই তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নিয়েছিল সারা দেশের আট হাজার ৭৭৮ জন প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১৮৫ জনকে পুরস্কৃত করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। বিকেল চারটায় শুরু হলো মূল অনুষ্ঠান প্রথম আলোর ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীনের সঞ্চালনায়।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বললেন, ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য তাদের উৎসাহিত করতেই ঐতিহ্য প্রথম আলোর সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। ঐতিহ্য ২০০০ সাল থেকে প্রকাশনা শুরু করেছে। এ পর্যন্ত আট শতাধিক বই প্রকাশ করেছে। পাঠকদের কাছে সৃজনশীল বই সহজলভ্য করার জন্য নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
পুরস্কার ছিল সবার জন্যই। প্রতিটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় তিনটি সেরা পুরস্কার। প্রতিটি পুরস্কারই ২০ হাজার টাকার বই। তিন বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ গল্পের পুরস্কার এক লাখ টাকার বই। সঙ্গে ক্রেস্ট ও সনদ। অন্যদের জন্য বই আর সনদ। দারুণ গল্প লিখে সেন্ট গ্রেগরিজ উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র অর্ঘ্য দত্ত জিতে নিয়েছে সেরা গল্পের পুরস্কার। ওর বাবা শ্যামল দত্ত সরকারি চাকুরে। মা স্বপ্না দত্ত গৃহিণী। তাঁরাও মঞ্চে এলেন ছেলের কৃতিত্বে বুক ভরা আত্মপ্রসাদ নিয়ে। অর্ঘ্য বলল, সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হবে। তবে লেখালেখিটা চালিয়ে যাবে। বাবাও বললেন, আরও ছোট থেকেই অর্ঘ্যের লেখালেখির অভ্যাস। ছাত্রও ভালো। এবার ক্লাসে প্রথম হয়েছে। উপহার হিসেবে বই তার প্রথম পছন্দ। ছেলের এই কৃতিত্বে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কণ্ঠ বাষ্পরুদ্ধ হলো মায়ের। চোখ ভিজল আনন্দাশ্রুতে। মিলনায়তন তখন করতালিতে মুখর।
একটি করে বিভাগের পুরস্কার বিতরণের পর খুদে লেখকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য। কখনো গান। এভাবেই এগিয়েছে অনুষ্ঠান।
সাংসদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ওদের ভালো লেখক হওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়ার প্রেরণা দিয়েছেন। বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সব ক্ষেত্রেই ভালো মানুষের খুব দরকার। রাজনীতিতে ভালো মানুষের দরকার আরও বেশি। বক্তব্য দিয়েই তিনি চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আবৃত্তির আবদার ফেরাতে পারলেন না। শোনালেন ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়...’।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, ‘তাঁর মতে, বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। আমাদের অনেক বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও এ দেশের সাধারণ মানুষের চেষ্টায় এই অগ্রগতি ঘটেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিতে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। আমরা আরও ভালোভাবে নিজেদের জীবনকে গড়তে চাই। তোমাদের সামনে অনেক সুযোগ আছে। তোমরা এগিয়ে যাও। সবাই মিলে দেশটাকে ভালোবেসে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলব—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এসে গান শোনালেন দুটি। ‘ও বিড়ালের ছানা’ আর ‘এমন একটা মা দে না’। অনুপ্রেরণা দিতে এসেছিলেন শিল্পী ঈশিতা। তিনি খুদে লেখকদের বললেন, ‘মন না চাইলে জোর করে কোনো কিছু করতে বা শিখতে যেয়ো না। লিখে যদি আনন্দ পাও, তবে লিখবে। গাইতে ইচ্ছে হলে গান শিখবে। তবে যা-ই করো, কখনো মানুষের ক্ষতি করবে না।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক চমৎকার এক গল্প শোনালেন তাদের। আর বললেন, লেখক হওয়ার কোনো স্কুল নেই। ভালো লেখক হতে গেলে বড় লেখকদের লেখা বেশি করে পড়তে হবে। বড় লেখকেরা যা লিখে গেছেন, সেসবই আসলে লেখক হওয়ার স্কুল। তাঁরা কীভাবে লিখেছেন, খুব মনোযোগের সঙ্গে তা পড়তে হবে। পাঠকের পড়া নয়, লেখকের পড়া। তাহলেই নিজের লেখা আরও উন্নত হবে।
গান শোনাতে এলেন শিল্পী কনা। শোনালেন দেশের গান, ‘তাকডুম তাকডুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল’। বাইরে কনকনে হাওয়া, কিন্তু অনুরোধ এল বৃষ্টির গানের। শোনালেন ‘ধিম তানা দেরে না’।
প্রতিযোগিতার বিচারক শিশুসাহিত্যিক কাইজার চৌধুরী বললেন, ‘তোমাদের লেখাগুলো পড়ে মনে হয়েছে, দেশকে তোমরা খুব ভালোবাসো। তবে অনেক দুঃখ তোমাদের মনে। দুঃখের গল্পই বেশি। জীবনে হাসির প্রয়োজন আছে, আছে আনন্দের প্রয়োজন। দেশকে, বন্ধুকে, পরিবারকে ভালোবাসার পুঁজি নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাও।’
আমার বন্ধু রাশেদ সিনেমায় রাশেদের চরিত্রে অভিনয় করে যিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেই তরুণ আফসানও এসেছিলেন খুদে লেখকদের প্রেরণা দিতে। তিনিও বলেছেন, ‘পড়ালেখা ঠিক রেখে যে কাজে তোমরা আনন্দ পাও, সেটিই চালিয়ে যাও।’
পুরস্কার বিতরণের পর ছিল সেরা লেখকদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত সেরা গল্প বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। আর অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট নিয়ে ছবি তোলার পালা। এই ছবি তো যেমন-তেমন ছবি নয়। এটি ঘরে সুদৃশ্য ফ্রেমে বাঁধানো থাকবে সারা জীবন গর্ব করে বলার মতো এক অনন্য কৃতিত্বের উজ্জ্বল স্মৃতিচিহ্ন হয়ে।
তিন বিভাগের সেরা যারা
‘ক’ বিভাগে প্রথম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মীম নোশিন নাওয়াল খান, দ্বিতীয় বিএএফ শাহীন কলেজের হাহিয়া জারিন ও তৃতীয় ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈলের নেকমরদ আলিমুদ্দীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের তাবাসসুম কবীর।
‘খ’ বিভাগে প্রথম ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তাবাসসুম ফেরদৌস, দ্বিতীয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আজিমপুর শাখার রঞ্জিকা কর ও তৃতীয় রাজশাহীর মোহনপুরের মহব্বতপুর দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার ফারহানা ইয়াসমিন।
‘গ’ বিভাগে প্রথম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মালিহা তাসনিম, দ্বিতীয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অনন্যা ডরিস ও তৃতীয় হয়েছে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ফারিহা সাজিদ।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে মিলনায়তনের সামনে তিনটি বুথে চলছিল তাদের নাম নিবন্ধনের পালা। লম্বা লাইন পড়ল সেখানে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী ‘ক’, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী ‘খ’ এবং নবম থেকে দশম শ্রেণী ‘গ’—এই তিনটি বিভাগে প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নিয়েছিল সারা দেশের আট হাজার ৭৭৮ জন প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ১৮৫ জনকে পুরস্কৃত করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এই অনুষ্ঠানে। বিকেল চারটায় শুরু হলো মূল অনুষ্ঠান প্রথম আলোর ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীনের সঞ্চালনায়।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বললেন, ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতিযোগিতা। নতুন প্রজন্মের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য তাদের উৎসাহিত করতেই ঐতিহ্য প্রথম আলোর সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। ঐতিহ্য ২০০০ সাল থেকে প্রকাশনা শুরু করেছে। এ পর্যন্ত আট শতাধিক বই প্রকাশ করেছে। পাঠকদের কাছে সৃজনশীল বই সহজলভ্য করার জন্য নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
পুরস্কার ছিল সবার জন্যই। প্রতিটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় তিনটি সেরা পুরস্কার। প্রতিটি পুরস্কারই ২০ হাজার টাকার বই। তিন বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ গল্পের পুরস্কার এক লাখ টাকার বই। সঙ্গে ক্রেস্ট ও সনদ। অন্যদের জন্য বই আর সনদ। দারুণ গল্প লিখে সেন্ট গ্রেগরিজ উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র অর্ঘ্য দত্ত জিতে নিয়েছে সেরা গল্পের পুরস্কার। ওর বাবা শ্যামল দত্ত সরকারি চাকুরে। মা স্বপ্না দত্ত গৃহিণী। তাঁরাও মঞ্চে এলেন ছেলের কৃতিত্বে বুক ভরা আত্মপ্রসাদ নিয়ে। অর্ঘ্য বলল, সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হবে। তবে লেখালেখিটা চালিয়ে যাবে। বাবাও বললেন, আরও ছোট থেকেই অর্ঘ্যের লেখালেখির অভ্যাস। ছাত্রও ভালো। এবার ক্লাসে প্রথম হয়েছে। উপহার হিসেবে বই তার প্রথম পছন্দ। ছেলের এই কৃতিত্বে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কণ্ঠ বাষ্পরুদ্ধ হলো মায়ের। চোখ ভিজল আনন্দাশ্রুতে। মিলনায়তন তখন করতালিতে মুখর।
একটি করে বিভাগের পুরস্কার বিতরণের পর খুদে লেখকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে বিশিষ্টজনদের বক্তব্য। কখনো গান। এভাবেই এগিয়েছে অনুষ্ঠান।
সাংসদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ওদের ভালো লেখক হওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়ার প্রেরণা দিয়েছেন। বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সব ক্ষেত্রেই ভালো মানুষের খুব দরকার। রাজনীতিতে ভালো মানুষের দরকার আরও বেশি। বক্তব্য দিয়েই তিনি চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আবৃত্তির আবদার ফেরাতে পারলেন না। শোনালেন ‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়...’।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, ‘তাঁর মতে, বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। আমাদের অনেক বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও এ দেশের সাধারণ মানুষের চেষ্টায় এই অগ্রগতি ঘটেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতিতে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। আমরা আরও ভালোভাবে নিজেদের জীবনকে গড়তে চাই। তোমাদের সামনে অনেক সুযোগ আছে। তোমরা এগিয়ে যাও। সবাই মিলে দেশটাকে ভালোবেসে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলব—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ এসে গান শোনালেন দুটি। ‘ও বিড়ালের ছানা’ আর ‘এমন একটা মা দে না’। অনুপ্রেরণা দিতে এসেছিলেন শিল্পী ঈশিতা। তিনি খুদে লেখকদের বললেন, ‘মন না চাইলে জোর করে কোনো কিছু করতে বা শিখতে যেয়ো না। লিখে যদি আনন্দ পাও, তবে লিখবে। গাইতে ইচ্ছে হলে গান শিখবে। তবে যা-ই করো, কখনো মানুষের ক্ষতি করবে না।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক চমৎকার এক গল্প শোনালেন তাদের। আর বললেন, লেখক হওয়ার কোনো স্কুল নেই। ভালো লেখক হতে গেলে বড় লেখকদের লেখা বেশি করে পড়তে হবে। বড় লেখকেরা যা লিখে গেছেন, সেসবই আসলে লেখক হওয়ার স্কুল। তাঁরা কীভাবে লিখেছেন, খুব মনোযোগের সঙ্গে তা পড়তে হবে। পাঠকের পড়া নয়, লেখকের পড়া। তাহলেই নিজের লেখা আরও উন্নত হবে।
গান শোনাতে এলেন শিল্পী কনা। শোনালেন দেশের গান, ‘তাকডুম তাকডুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল’। বাইরে কনকনে হাওয়া, কিন্তু অনুরোধ এল বৃষ্টির গানের। শোনালেন ‘ধিম তানা দেরে না’।
প্রতিযোগিতার বিচারক শিশুসাহিত্যিক কাইজার চৌধুরী বললেন, ‘তোমাদের লেখাগুলো পড়ে মনে হয়েছে, দেশকে তোমরা খুব ভালোবাসো। তবে অনেক দুঃখ তোমাদের মনে। দুঃখের গল্পই বেশি। জীবনে হাসির প্রয়োজন আছে, আছে আনন্দের প্রয়োজন। দেশকে, বন্ধুকে, পরিবারকে ভালোবাসার পুঁজি নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাও।’
আমার বন্ধু রাশেদ সিনেমায় রাশেদের চরিত্রে অভিনয় করে যিনি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছিলেন, সেই তরুণ আফসানও এসেছিলেন খুদে লেখকদের প্রেরণা দিতে। তিনিও বলেছেন, ‘পড়ালেখা ঠিক রেখে যে কাজে তোমরা আনন্দ পাও, সেটিই চালিয়ে যাও।’
পুরস্কার বিতরণের পর ছিল সেরা লেখকদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত সেরা গল্প বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। আর অতিথিদের সঙ্গে ক্রেস্ট নিয়ে ছবি তোলার পালা। এই ছবি তো যেমন-তেমন ছবি নয়। এটি ঘরে সুদৃশ্য ফ্রেমে বাঁধানো থাকবে সারা জীবন গর্ব করে বলার মতো এক অনন্য কৃতিত্বের উজ্জ্বল স্মৃতিচিহ্ন হয়ে।
তিন বিভাগের সেরা যারা
‘ক’ বিভাগে প্রথম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মীম নোশিন নাওয়াল খান, দ্বিতীয় বিএএফ শাহীন কলেজের হাহিয়া জারিন ও তৃতীয় ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈলের নেকমরদ আলিমুদ্দীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের তাবাসসুম কবীর।
‘খ’ বিভাগে প্রথম ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তাবাসসুম ফেরদৌস, দ্বিতীয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আজিমপুর শাখার রঞ্জিকা কর ও তৃতীয় রাজশাহীর মোহনপুরের মহব্বতপুর দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার ফারহানা ইয়াসমিন।
‘গ’ বিভাগে প্রথম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মালিহা তাসনিম, দ্বিতীয় ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অনন্যা ডরিস ও তৃতীয় হয়েছে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ফারিহা সাজিদ।
No comments