এমপির নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া ঘুষ গ্রহণ by আপেল মাহমুদ
ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে স্থানীয় এমপির নামে একটি চক্র দলিলপিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুষ আদায় করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। দলিল লেখক ও ভূমি মালিক থেকে শুরু করে আবাসন কম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকারদলীয় এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লার নামে দলিলপিছু দেড় হাজার টাকা নিচ্ছেন ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম।
আর এ টাকা এমপির পক্ষে গ্রহণ করেন দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
সাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, তাঁর নাম ভাঙিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর ডেমরা এলাকার দামরীপাড়া, শূন্যা, আমুলিয়া, বালু ধিৎপুর, গৌড়নগর, মাতুয়াইল ও
মাণ্ডা মৌজার প্রায় সিকি ভাগ জমি বড় বড় কয়েকটি আবাসন কম্পানি কিনে নিয়েছে। ফলে ব্যাপক হারে জমি রেজিস্ট্রি চলছে। আর এই সুযোগে একটি মহল ঘুষ নেওয়ার ফাঁদ পেতে বসেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাব-রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা নেই। দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমপির লোক। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। তবে আনোয়ার হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোনো দুর্নীতি হলে তার দায়দায়িত্ব সাব-রেজিস্ট্রারের।
স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবাসন কম্পানিগুলো সাফকবলা দলিল করতে গেলে সরকারি রাজস্ব হিসেবে ১০ ভাগ টাকা ছাড়াও অফিস খরচ হিসেবে শতকরা আধা ভাগ থেকে শুরু করে ক্ষেত্রবিশেষে দেড় ভাগ পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। এর ওপর দলিলপিছু এমপির নামে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। একাধিক দিন ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। একটি আবাসন প্রকল্পের কর্মকর্তা তাঁর কম্পানি এবং নিজের নাম গোপন রেখে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভাই আমাদের হাত-পা বাঁধা। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে নিরাপদ নয়। তবে সাব-রেজিস্ট্রারের অনেক অন্যায় আবদার মেনেই কম্পানির দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দলিল লেখক বলেন, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনই ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি এক অর্থে নিয়ন্ত্রণ করেন। আনোয়ার হোসেন স্থানীয় এমপির খাস লোক হিসেবে পরিচিত।
ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের নামে ঘুষ নেওয়ার একাধিক দৃশ্য প্রতিবেদকের চোখে পড়েছে। দলিল লেখক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি এখন প্রকাশ্য হয়ে গেছে।
মাতুয়াইল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবদুল আজিজ বলেন, ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি ঘুষের কারখানায় পরিণত হয়েছে। মাসে সেখানে ১০০০ থেকে ১২০০ দলিল রেজিস্ট্রি হলেও ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে এমন নজির পাওয়া যাবে না।
স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমুলিয়া ও মাণ্ডা এলাকায় অনেক সরকারি খাল-বিল এবং খাসজমি ছিল। একটি চক্র ভুয়া নামজারি এবং জাল পর্চা তৈরি করে এসব জমি আত্মসাৎ করছে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রারকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয় বলে কালের কণ্ঠকে জানান আমুলিয়ার বাসিন্দা হাজি ইদু মিয়া।
জানা যায়, কিছুদিন আগে দামরীপাড়া মৌজার নগেন্দ্র চন্দ্রের প্রায় ৪৫ শতাংশ জমি ভুয়া মালিক সাজিয়ে আমমোক্তারনাম দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে গেছে জমির প্রকৃত মালিকের।
এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে সাব-রেজিস্ট্রার কালের কণ্ঠকে এক পর্যায়ে বলেন, তিনি ছাত্রলীগ করা সাব-রেজিস্ট্রার। কোনো অভিযোগেই তাঁর কিছু হবে না। স্থানীয় এমপি এবং ছাত্রলীগের উচ্চপর্যায়ের নেতারা তাঁর সম্পর্কে জানেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তাঁর দল করেন। তাই বলে তাঁকে তাঁর নাম ভাঙিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ঘুষ আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, তাঁর নাম ভাঙিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর ডেমরা এলাকার দামরীপাড়া, শূন্যা, আমুলিয়া, বালু ধিৎপুর, গৌড়নগর, মাতুয়াইল ও
মাণ্ডা মৌজার প্রায় সিকি ভাগ জমি বড় বড় কয়েকটি আবাসন কম্পানি কিনে নিয়েছে। ফলে ব্যাপক হারে জমি রেজিস্ট্রি চলছে। আর এই সুযোগে একটি মহল ঘুষ নেওয়ার ফাঁদ পেতে বসেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাব-রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণা নেই। দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমপির লোক। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। তবে আনোয়ার হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোনো দুর্নীতি হলে তার দায়দায়িত্ব সাব-রেজিস্ট্রারের।
স্থানীয় ভূমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবাসন কম্পানিগুলো সাফকবলা দলিল করতে গেলে সরকারি রাজস্ব হিসেবে ১০ ভাগ টাকা ছাড়াও অফিস খরচ হিসেবে শতকরা আধা ভাগ থেকে শুরু করে ক্ষেত্রবিশেষে দেড় ভাগ পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। এর ওপর দলিলপিছু এমপির নামে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। একাধিক দিন ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। একটি আবাসন প্রকল্পের কর্মকর্তা তাঁর কম্পানি এবং নিজের নাম গোপন রেখে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভাই আমাদের হাত-পা বাঁধা। এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে নিরাপদ নয়। তবে সাব-রেজিস্ট্রারের অনেক অন্যায় আবদার মেনেই কম্পানির দলিল রেজিস্ট্রি করতে হয়।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দলিল লেখক বলেন, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনই ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি এক অর্থে নিয়ন্ত্রণ করেন। আনোয়ার হোসেন স্থানীয় এমপির খাস লোক হিসেবে পরিচিত।
ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের নামে ঘুষ নেওয়ার একাধিক দৃশ্য প্রতিবেদকের চোখে পড়েছে। দলিল লেখক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি এখন প্রকাশ্য হয়ে গেছে।
মাতুয়াইল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আবদুল আজিজ বলেন, ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি ঘুষের কারখানায় পরিণত হয়েছে। মাসে সেখানে ১০০০ থেকে ১২০০ দলিল রেজিস্ট্রি হলেও ঘুষ ছাড়া কোনো দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে এমন নজির পাওয়া যাবে না।
স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমুলিয়া ও মাণ্ডা এলাকায় অনেক সরকারি খাল-বিল এবং খাসজমি ছিল। একটি চক্র ভুয়া নামজারি এবং জাল পর্চা তৈরি করে এসব জমি আত্মসাৎ করছে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রারকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয় বলে কালের কণ্ঠকে জানান আমুলিয়ার বাসিন্দা হাজি ইদু মিয়া।
জানা যায়, কিছুদিন আগে দামরীপাড়া মৌজার নগেন্দ্র চন্দ্রের প্রায় ৪৫ শতাংশ জমি ভুয়া মালিক সাজিয়ে আমমোক্তারনাম দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে গেছে জমির প্রকৃত মালিকের।
এসব অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে সাব-রেজিস্ট্রার কালের কণ্ঠকে এক পর্যায়ে বলেন, তিনি ছাত্রলীগ করা সাব-রেজিস্ট্রার। কোনো অভিযোগেই তাঁর কিছু হবে না। স্থানীয় এমপি এবং ছাত্রলীগের উচ্চপর্যায়ের নেতারা তাঁর সম্পর্কে জানেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তাঁর দল করেন। তাই বলে তাঁকে তাঁর নাম ভাঙিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ঘুষ আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments