পঞ্চম শ্রেণীতে আসনের প্রায় চারগুণ শিক্ষার্থী- সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু by নিজাম সিদ্দিকী
চট্টগ্রাম নগরের নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার পঞ্চম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় আসনের প্রায় চার গুণ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ছিল ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল যথাক্রমে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়।
কাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা। অপরদিকে কাল পঞ্চম শ্রেণীর এবং বুধবার ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানানো হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
নয়টি সরকারি বিদ্যালয় হচ্ছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
গতকাল নগরের প্রায় সব কয়টি বিদ্যালয়ের সামনেই ছিল উৎকণ্ঠিত অভিভাবকদের জটলা। সবারই ইচ্ছা, পছন্দের বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানকে ভর্তি করানো। খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় অভিভাবক দিলরুবা হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো ইচ্ছা মেয়েকে খাস্তগীর স্কুলে পড়ানো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছি। এতগুলো পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে আমার মেয়ে উঠে আসতে পারবে কি না জানি না।’
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ে এবারই প্রথমবারের অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিতসহ মোট ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতের জন্য ৪০ নম্বর নির্ধারিত রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে সম্মিলিত মেধাক্রম ও পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারিত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর আগে ভর্তির আবেদনে ভর্তি হতে আগ্রহী বিদ্যালয়ের কোড নম্বর পছন্দক্রম অনুসারে লিখে নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. সাঈদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নয়টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেধা অনুযায়ী ফলাফল যাচাই করে শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। পরীক্ষা চলাকালে ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চারজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কেন্দ্রসমূহে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক নিজেই সবকিছুর তদারকি করেছেন।
জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণীর এক হাজার ৯০০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে আট হাজার ১৩১টি। এর মধ্যে শুধু ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েই দুই হাজার ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে এক হাজার ৫৪৯টি, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাজার আটটি, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৯৭৭টি, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৮১১টি, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৭৭৩টি, চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ৬৫৩টি, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ১৬৫টি এবং সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ১৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে।
এদিকে, নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ৭১২টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ছয় হাজার ৮৩০টি এবং অষ্টম শ্রেণীতে ১২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে এক হাজার ১১৯ জন।
কাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা। অপরদিকে কাল পঞ্চম শ্রেণীর এবং বুধবার ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানানো হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
নয়টি সরকারি বিদ্যালয় হচ্ছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।
গতকাল নগরের প্রায় সব কয়টি বিদ্যালয়ের সামনেই ছিল উৎকণ্ঠিত অভিভাবকদের জটলা। সবারই ইচ্ছা, পছন্দের বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানকে ভর্তি করানো। খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় অভিভাবক দিলরুবা হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো ইচ্ছা মেয়েকে খাস্তগীর স্কুলে পড়ানো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছি। এতগুলো পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে আমার মেয়ে উঠে আসতে পারবে কি না জানি না।’
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ে এবারই প্রথমবারের অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিতসহ মোট ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতের জন্য ৪০ নম্বর নির্ধারিত রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে সম্মিলিত মেধাক্রম ও পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারিত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর আগে ভর্তির আবেদনে ভর্তি হতে আগ্রহী বিদ্যালয়ের কোড নম্বর পছন্দক্রম অনুসারে লিখে নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. সাঈদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নয়টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেধা অনুযায়ী ফলাফল যাচাই করে শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে। পরীক্ষা চলাকালে ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চারজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কেন্দ্রসমূহে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক নিজেই সবকিছুর তদারকি করেছেন।
জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণীর এক হাজার ৯০০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে আট হাজার ১৩১টি। এর মধ্যে শুধু ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েই দুই হাজার ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে এক হাজার ৫৪৯টি, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাজার আটটি, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৯৭৭টি, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৮১১টি, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ৭৭৩টি, চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ৬৫৩টি, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ১৬৫টি এবং সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ১৪৮টি আবেদন জমা পড়েছে।
এদিকে, নয়টি সরকারি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ৭১২টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ছয় হাজার ৮৩০টি এবং অষ্টম শ্রেণীতে ১২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে এক হাজার ১১৯ জন।
No comments