কেশবপুরে চিকিৎসা দেওয়ার সময় আহত মেছো বাঘের মৃত্যু
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় আটক একটি মেছো বাঘকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়ার সময় এর মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, চিকিৎসা দেওয়ার সময় বাঘটির গলার রশি টেনে ধরা হয়। এ কারণে শ্বাসরোধে বাঘটির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীফলা গ্রামের খাপাড়ার জঙ্গলে গত শুক্রবার বিকেলে এলাকাবাসী একটি মেছোবাঘকে তাড়া করে ধরে ফেলে।
এ সময় বাঘটিকে দা দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুল লতিফ খান নামের এক ব্যক্তির শৌচাগার থেকে লোহার খাঁচায় বন্দী অবস্থায় বাঘটিকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারের সময় বাঘটির পেছনের পায়ে কাটা ক্ষতের চিহ্ন ছিল। উদ্ধারের পর গতকাল সকালে বাঘটিকে চিকিৎসা দিতে যান উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) ফরিদ উদ্দীন।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা পরিষদের একটি বাসার গৃহপরিচারিকা সুমাইয়া (১১) জানায়, চিকিৎসা দেওয়ার সময় খাঁচা থেকে বের করে বাঘটির গলায় রশি দিয়ে বেঁধে শুইয়ে ফেলা হয়। এরপর চিকিৎসক পায়ের ক্ষতস্থানে চিকিৎসা দেন।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে বাঘটির গলায় বাঁধা রশি জোরে দুই ব্যক্তি দুই দিক থেকে টেনে ধরেন। কিছু সময় পর বাঘটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে গলার বাঁধন খুললে দেখা যায়, বাঘটি মারা গেছে।
ভিএফএ ফরিদ উদ্দীন বলেন, বাঘটির কেটে যাওয়া পায়ে শুধু ভায়োডিন লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। বন কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, বাঘটির গলা বাঁধা হলেও জোরে বাঁধা হয়নি।
বাঘটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আশরাফ আলী বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য হার্ট ব্লক হয়ে বাঘটি মারা গেছে।
ইউএনও আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, ‘রাতে বাঘটিকে আহত অবস্থায় বন বিভাগের কাছে দিয়েছি। বাঘটি কেন মারা গেল বুঝতে পারছি না। তবে ময়নাতদন্তে যদি কারও বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় বাঘটিকে দা দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে আবদুল লতিফ খান নামের এক ব্যক্তির শৌচাগার থেকে লোহার খাঁচায় বন্দী অবস্থায় বাঘটিকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারের সময় বাঘটির পেছনের পায়ে কাটা ক্ষতের চিহ্ন ছিল। উদ্ধারের পর গতকাল সকালে বাঘটিকে চিকিৎসা দিতে যান উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ভিএফএ) ফরিদ উদ্দীন।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা পরিষদের একটি বাসার গৃহপরিচারিকা সুমাইয়া (১১) জানায়, চিকিৎসা দেওয়ার সময় খাঁচা থেকে বের করে বাঘটির গলায় রশি দিয়ে বেঁধে শুইয়ে ফেলা হয়। এরপর চিকিৎসক পায়ের ক্ষতস্থানে চিকিৎসা দেন।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে বাঘটির গলায় বাঁধা রশি জোরে দুই ব্যক্তি দুই দিক থেকে টেনে ধরেন। কিছু সময় পর বাঘটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে গলার বাঁধন খুললে দেখা যায়, বাঘটি মারা গেছে।
ভিএফএ ফরিদ উদ্দীন বলেন, বাঘটির কেটে যাওয়া পায়ে শুধু ভায়োডিন লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। বন কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, বাঘটির গলা বাঁধা হলেও জোরে বাঁধা হয়নি।
বাঘটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আশরাফ আলী বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য হার্ট ব্লক হয়ে বাঘটি মারা গেছে।
ইউএনও আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, ‘রাতে বাঘটিকে আহত অবস্থায় বন বিভাগের কাছে দিয়েছি। বাঘটি কেন মারা গেল বুঝতে পারছি না। তবে ময়নাতদন্তে যদি কারও বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments