গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন-প্রবৃদ্ধিতে পশ্চিমা দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বৃহৎ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা প্রাইসওয়াটার হাউস কুপারস (পিডাব্লিউসি)।
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি সংক্রান্ত এক সমীক্ষায় সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনীতির বিকাশের এই গতি অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনীতি ও মানবসম্পদকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির পক্ষে পশ্চিমা দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। গত বুধবার যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় পিডাব্লিউসির পূর্বাভাস নিয়ে রচিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেন দ্য গার্ডিয়ানের অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ল্যারি এলিয়ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিকসভুক্ত দেশসহ (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন) বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিসর, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর অর্থনৈতিক শক্তি হু হু করে বাড়ছে। বাংলাদেশসহ ব্রিকস-বহির্ভূত দেশগুলো সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে মন্তব্য করা হয়েছে, এসব দেশের মধ্যে কোনোটি আয়তনে বড়, কোনোটি উঠতি, আবার কোনোটিতে বেড়েই চলছে জনসংখ্যা। তারা অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে ব্যয় করছে। দেশগুলোর অর্থনীতি এমন হারে বাড়ছে যে তারা মন্দা ও খুঁড়িয়ে চলা পশ্চিমা দেশগুলোর হিংসায় পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান নির্ধারণের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট। একটা সময় বৈশ্বিক অর্থনীতির ৮০ শতাংশ ছিল ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা ও জাপানের দখলে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির চেহারা এখন বদলে যাচ্ছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ পেছন থেকে সামনের কাতারে উঠে আসছে। এক সময় যে দেশগুলোকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত করা হতো, তারাই উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রবৃদ্ধির হিসাবে এই দেশগুলোই শীর্ষ ২০-এর মধ্যে থাকবে। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো সম্পর্কে এক সময় পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা ছিল, এ দেশগুলো ওপরে উঠতে গিয়ে হোঁচট খাবে। কিন্তু ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো তাদের ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটিয়েছে মালভূমির মতো খাড়াভাবে। তাদের বিশ্লেষণ, উদীয়মান দেশগুলোতেও অর্থনীতির বিকাশ দ্রুত ঘটবে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার টেকসই ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।
পিডাব্লিউসির প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হকসওয়ার্থ মনে করেন, ব্রিকস ও অন্য উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
২০০৬ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির বেশ কিছু বিষয়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছিল পিডাব্লিউসি নামের প্রতিষ্ঠানটি। সাম্প্রতিক মন্দা ও এর পরিণামের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠানটি এই পূর্বাভাসের কিছু অংশ সংশোধন করে। পিডাব্লিউসির প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হাকসওয়ার্থের পূর্বানুমান, ২০৫০ সালে তুরস্কের অর্থনীতি ইতালির চেয়েও বড় হবে এবং ইউরোপের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে দেশটি। একইভাবে ইন্দোনেশিয়ার পেছনে পড়ে যাবে জার্মানি, যুক্তরাজ্যের চেয়ে এগিয়ে যাবে মেক্সিকোর অর্থনীতি।
দেশগুলোর দ্রুত উন্নতির মূলে রয়েছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ, (পুঁজি হিসেবে জনসংখ্যা) মানব মূলধন এবং নবীন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা।
তিনি বলেন, পশ্চিমা পরিণত বাজারব্যবস্থার চেয়েও নবীন রাষ্ট্রগুলো ভবিষ্যতে আরো ভালো করতে পারবে যদি তারা এরই মধ্যে কিছু বিষয়ের ওপর বাড়তি নজর দেয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ভারসাম্যপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করতে হবে রাষ্ট্রগুলোকে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বাজেট ঘাটতি দূর করে স্বনির্ভর বাজেট প্রণয়ন করা এবং জাতীয় উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হতে হবে। দ্বিতীয়ত, জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত, পশ্চিমা প্রযুক্তি আমদানি করে নিজেদের উন্নয়নে এর সফল প্রয়োগ ঘটাতে হবে। আর তাঁর শেষ পরামর্শ, নবীন ও উঠতি জনসংখ্যাকে কাজে লাগানোর জন্য এর সঠিক যত্ন নিতে হবে।
২০০৬ সালে পিডাব্লিউসির প্রথম পূর্বাভাস তৈরির সময় 'পরবর্তী ১১' শিরোনামে একটি দলের কথা জানিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ ও'নীল। সেই দলটির প্রথম দেশটির নাম ছিল বাংলাদেশ। এই দলভুক্ত অন্য দেশগুলো হচ্ছে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও ভিয়েতনাম। এই তালিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হাকসওয়ার্থ বলেন, এগুলোর মধ্যে কয়েকটি দেশের উদ্যমী জনসংখ্যার পরিমাণ পশ্চিমাদের চেয়েও বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিকসভুক্ত দেশসহ (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন) বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মিসর, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর অর্থনৈতিক শক্তি হু হু করে বাড়ছে। বাংলাদেশসহ ব্রিকস-বহির্ভূত দেশগুলো সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে মন্তব্য করা হয়েছে, এসব দেশের মধ্যে কোনোটি আয়তনে বড়, কোনোটি উঠতি, আবার কোনোটিতে বেড়েই চলছে জনসংখ্যা। তারা অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে ব্যয় করছে। দেশগুলোর অর্থনীতি এমন হারে বাড়ছে যে তারা মন্দা ও খুঁড়িয়ে চলা পশ্চিমা দেশগুলোর হিংসায় পরিণত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান নির্ধারণের কারণে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট। একটা সময় বৈশ্বিক অর্থনীতির ৮০ শতাংশ ছিল ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা ও জাপানের দখলে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির চেহারা এখন বদলে যাচ্ছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ পেছন থেকে সামনের কাতারে উঠে আসছে। এক সময় যে দেশগুলোকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে অভিহিত করা হতো, তারাই উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে প্রবৃদ্ধির হিসাবে এই দেশগুলোই শীর্ষ ২০-এর মধ্যে থাকবে। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো সম্পর্কে এক সময় পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা ছিল, এ দেশগুলো ওপরে উঠতে গিয়ে হোঁচট খাবে। কিন্তু ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো তাদের ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটিয়েছে মালভূমির মতো খাড়াভাবে। তাদের বিশ্লেষণ, উদীয়মান দেশগুলোতেও অর্থনীতির বিকাশ দ্রুত ঘটবে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার টেকসই ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।
পিডাব্লিউসির প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হকসওয়ার্থ মনে করেন, ব্রিকস ও অন্য উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর শক্তিশালী ও দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
২০০৬ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির বেশ কিছু বিষয়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছিল পিডাব্লিউসি নামের প্রতিষ্ঠানটি। সাম্প্রতিক মন্দা ও এর পরিণামের প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠানটি এই পূর্বাভাসের কিছু অংশ সংশোধন করে। পিডাব্লিউসির প্রধান অর্থনীতিবিদ জন হাকসওয়ার্থের পূর্বানুমান, ২০৫০ সালে তুরস্কের অর্থনীতি ইতালির চেয়েও বড় হবে এবং ইউরোপের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে দেশটি। একইভাবে ইন্দোনেশিয়ার পেছনে পড়ে যাবে জার্মানি, যুক্তরাজ্যের চেয়ে এগিয়ে যাবে মেক্সিকোর অর্থনীতি।
দেশগুলোর দ্রুত উন্নতির মূলে রয়েছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ, (পুঁজি হিসেবে জনসংখ্যা) মানব মূলধন এবং নবীন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা।
তিনি বলেন, পশ্চিমা পরিণত বাজারব্যবস্থার চেয়েও নবীন রাষ্ট্রগুলো ভবিষ্যতে আরো ভালো করতে পারবে যদি তারা এরই মধ্যে কিছু বিষয়ের ওপর বাড়তি নজর দেয়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ভারসাম্যপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করতে হবে রাষ্ট্রগুলোকে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বাজেট ঘাটতি দূর করে স্বনির্ভর বাজেট প্রণয়ন করা এবং জাতীয় উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হতে হবে। দ্বিতীয়ত, জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত, পশ্চিমা প্রযুক্তি আমদানি করে নিজেদের উন্নয়নে এর সফল প্রয়োগ ঘটাতে হবে। আর তাঁর শেষ পরামর্শ, নবীন ও উঠতি জনসংখ্যাকে কাজে লাগানোর জন্য এর সঠিক যত্ন নিতে হবে।
২০০৬ সালে পিডাব্লিউসির প্রথম পূর্বাভাস তৈরির সময় 'পরবর্তী ১১' শিরোনামে একটি দলের কথা জানিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ ও'নীল। সেই দলটির প্রথম দেশটির নাম ছিল বাংলাদেশ। এই দলভুক্ত অন্য দেশগুলো হচ্ছে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও ভিয়েতনাম। এই তালিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হাকসওয়ার্থ বলেন, এগুলোর মধ্যে কয়েকটি দেশের উদ্যমী জনসংখ্যার পরিমাণ পশ্চিমাদের চেয়েও বেশি।
No comments