চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়- ১০ বছর ধরে বিদেশি শিক্ষার্থী নেই, খালি থাকে ৭৮ আসন by তাসনীম হাসান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আসন আছে ৭৮টি। অথচ ১০ বছর ধরে এ আসনগুলোর বিপরীতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না। এবারও ব্যতিক্রম নয়। চলতি শিক্ষাবর্ষেও (২০১২-১৩) ভর্তি হয়নি কেউ। তবে সংরক্ষিত আসনগুলোতে অন্য শিক্ষার্থীও ভর্তি করানো হচ্ছে না।
ফলে বিদেশি শিক্ষার্থী কোটার আসনগুলো শূন্যই থাকছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। ওই সময় এক নেপালি শিক্ষার্থী স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৯০-৯১ থেকে ১৯৯৮-৯৯ সেশন পর্যন্ত স্নাতক শ্রেণীতে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। আর স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ১৯৯০-২০০০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিল চারজন শিক্ষার্থী। এরপর আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। এই ১৯ জন শিক্ষার্থীই ভর্তি হয়েছিলেন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটে। তাঁরা সবাই ছিলেন নেপালি।
বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন জানান, এসব নেপালি শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়ন শেষে নিজ দেশে গিয়ে একটি বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছেন। এরপর নেপাল থেকেও শিক্ষার্থী আসা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী না আসার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সেশন জট। এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে ভর্তিতে জটিলতা, নির্ধারিত হল ও বৃত্তির ব্যবস্থা না থাকা, শিক্ষাব্যয় বেশি হওয়া, ইয়ারভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম, বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়েই ভর্তির সুযোগ ও প্রযুক্তিসেবায় আধুনিকায়নের অভাবেও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আগ্রহী হচ্ছে না।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, একজন বিদেশি শিক্ষার্থীর জন্য কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ ধরনের কোনো তথ্যই নেই। তা ছাড়া সাইটটিতে নিয়মিত নতুন তথ্য সংযোজন করা হয় না। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার সুযোগই পাচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী করানোর ব্যাপারে আমরা নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি আরও আধুনিকায়ন করা হবে।’ তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সেশনজটই বিদেশি শিক্ষার্থী না আসার মূল কারণ বলে স্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ১১টি বিভাগে ১৯টি, বিজ্ঞান অনুষদের সাতটি বিভাগে ১২টি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের চারটি বিভাগে আটটি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাতটি বিভাগে ১৪টি, আইন অনুষদে দুটি, বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটে পাঁচটি, সমুদ্র ও মৎস্যবিদ্যা ইনস্টিটিউটে দুটি ও জীববিজ্ঞান অনুষদের নয়টি বিভাগে মোট ১৬টি আসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব আকবর হোছাইন জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষেও (২০১২-১৩) কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেননি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসন খালি থাকলেও শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ‘আসনগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না হলেও এসব শূন্য আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করানো হলে তা প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শিক্ষার্থী না আসায় তাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কোটাটি প্রত্যাহার করা যেতে পারে। এর আগে কিছু নীতিমালা সংশোধন করা প্রয়োজন।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। ওই সময় এক নেপালি শিক্ষার্থী স্নাতক শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৯০-৯১ থেকে ১৯৯৮-৯৯ সেশন পর্যন্ত স্নাতক শ্রেণীতে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। আর স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ১৯৯০-২০০০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিল চারজন শিক্ষার্থী। এরপর আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি। এই ১৯ জন শিক্ষার্থীই ভর্তি হয়েছিলেন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটে। তাঁরা সবাই ছিলেন নেপালি।
বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন জানান, এসব নেপালি শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যয়ন শেষে নিজ দেশে গিয়ে একটি বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছেন। এরপর নেপাল থেকেও শিক্ষার্থী আসা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থী না আসার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সেশন জট। এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে ভর্তিতে জটিলতা, নির্ধারিত হল ও বৃত্তির ব্যবস্থা না থাকা, শিক্ষাব্যয় বেশি হওয়া, ইয়ারভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম, বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়েই ভর্তির সুযোগ ও প্রযুক্তিসেবায় আধুনিকায়নের অভাবেও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আগ্রহী হচ্ছে না।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, একজন বিদেশি শিক্ষার্থীর জন্য কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ ধরনের কোনো তথ্যই নেই। তা ছাড়া সাইটটিতে নিয়মিত নতুন তথ্য সংযোজন করা হয় না। ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার সুযোগই পাচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী করানোর ব্যাপারে আমরা নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটি আরও আধুনিকায়ন করা হবে।’ তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সেশনজটই বিদেশি শিক্ষার্থী না আসার মূল কারণ বলে স্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ১১টি বিভাগে ১৯টি, বিজ্ঞান অনুষদের সাতটি বিভাগে ১২টি, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের চারটি বিভাগে আটটি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাতটি বিভাগে ১৪টি, আইন অনুষদে দুটি, বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটে পাঁচটি, সমুদ্র ও মৎস্যবিদ্যা ইনস্টিটিউটে দুটি ও জীববিজ্ঞান অনুষদের নয়টি বিভাগে মোট ১৬টি আসন বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব আকবর হোছাইন জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষেও (২০১২-১৩) কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেননি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসন খালি থাকলেও শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ‘আসনগুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না হলেও এসব শূন্য আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করানো হলে তা প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শিক্ষার্থী না আসায় তাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কোটাটি প্রত্যাহার করা যেতে পারে। এর আগে কিছু নীতিমালা সংশোধন করা প্রয়োজন।’
No comments