মুহম্মদ জাফর ইকবালের ৬০তম জন্মদিন
জনপ্রিয় লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের ৬০তম জন্মদিন আজ রোববার। তবে এবারের জন্মদিনে কোনো আয়োজন নেই। প্রয়াত বড় ভাই ও বাংলা সাহিত্যের আরেক জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই জন্মদিন ঘিরে কোনো আয়োজন রাখা হয়নি।
গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কর্মস্থল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশের শিশু-কিশোর ও তরুণদের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় এই লেখক আজ জন্মদিনে প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের ঘিরে তাঁর স্বপ্নের কথা জানান। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি চাই দেশের সব শিশু যেন আনন্দময় পরিবেশে পড়াশোনা করে। সেই সঙ্গে সবাই যেন বেশি বেশি বই পড়ে। কারণ, তারা যত বেশি বই পড়বে, তাদের তত বেশি সৃজনশীলতা বাড়বে। সমাজ, দেশ ও বিশ্বকে তারা অনেক বেশি কিছু দিতে পারবে।’
১৯৯৪ সালে প্রবাসজীবনের ইতি টেনে দেশে ফিরে মুহম্মদ জাফর ইকবাল অধ্যাপক হিসেবে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে যোগ দেন। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার, ধর্মান্ধতাসহ নানা অসংগতি দূর করে বিজ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ নির্মাণের প্রচেষ্টা শুরু করেন। বাংলাদেশে প্রথম কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট বেকবোন নির্মিত হয় তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। ২০০৫ সালে অনলাইন জরিপে বিশ্বের ১০ জন জীবিত শ্রেষ্ঠ বাঙালির একজন নির্বাচিত হন তিনি।
২০১০ সালে যুগোপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষে ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সর্বদা সোচ্চার তিনি। ২০০৯ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামে ছোট আকারের একটি বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন। এই বই বিক্রি থেকে কোনো অর্থ তিনি নেননি এবং প্রকাশককেও নিতে দেননি। বরং বই বিক্রির অর্থে আবার বইটি ছাপা হয়েছে সবার হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
সব সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধেই কলম ধরেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর আর সব লেখার মতো কলামও ব্যাপক জনপ্রিয় পাঠকের কাছে। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক রচনাবলি, শিশুতোষ রচনাবলি, ইতিহাস, কিশোর উপন্যাস, উপন্যাস, স্মৃতিচারণা, ছোটগল্পসহ ১৫১টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম তোলা, জমা দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে ভাবিয়ে তোলে। তিনি তাঁর তরুণ সহকর্মীদের নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ঘরে বসে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। পরে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিসহ সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বিভিন্ন নিয়োগের আবেদনে পদ্ধতিটি অনুসরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে গণিত, ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন অলিম্পিয়াডকে জনপ্রিয় করতে মুহম্মদ জাফর ইকবালের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞান জনপ্রিয় করতে তাঁর প্রচেষ্টার অন্ত নেই।
বাংলাদেশের শিশু-কিশোর ও তরুণদের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় এই লেখক আজ জন্মদিনে প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের ঘিরে তাঁর স্বপ্নের কথা জানান। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি চাই দেশের সব শিশু যেন আনন্দময় পরিবেশে পড়াশোনা করে। সেই সঙ্গে সবাই যেন বেশি বেশি বই পড়ে। কারণ, তারা যত বেশি বই পড়বে, তাদের তত বেশি সৃজনশীলতা বাড়বে। সমাজ, দেশ ও বিশ্বকে তারা অনেক বেশি কিছু দিতে পারবে।’
১৯৯৪ সালে প্রবাসজীবনের ইতি টেনে দেশে ফিরে মুহম্মদ জাফর ইকবাল অধ্যাপক হিসেবে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে যোগ দেন। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার, ধর্মান্ধতাসহ নানা অসংগতি দূর করে বিজ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ নির্মাণের প্রচেষ্টা শুরু করেন। বাংলাদেশে প্রথম কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট বেকবোন নির্মিত হয় তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। ২০০৫ সালে অনলাইন জরিপে বিশ্বের ১০ জন জীবিত শ্রেষ্ঠ বাঙালির একজন নির্বাচিত হন তিনি।
২০১০ সালে যুগোপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষে ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সর্বদা সোচ্চার তিনি। ২০০৯ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামে ছোট আকারের একটি বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন। এই বই বিক্রি থেকে কোনো অর্থ তিনি নেননি এবং প্রকাশককেও নিতে দেননি। বরং বই বিক্রির অর্থে আবার বইটি ছাপা হয়েছে সবার হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
সব সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধেই কলম ধরেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তাঁর আর সব লেখার মতো কলামও ব্যাপক জনপ্রিয় পাঠকের কাছে। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক রচনাবলি, শিশুতোষ রচনাবলি, ইতিহাস, কিশোর উপন্যাস, উপন্যাস, স্মৃতিচারণা, ছোটগল্পসহ ১৫১টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম তোলা, জমা দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে ভাবিয়ে তোলে। তিনি তাঁর তরুণ সহকর্মীদের নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ঘরে বসে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। পরে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিসহ সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং বিভিন্ন নিয়োগের আবেদনে পদ্ধতিটি অনুসরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে গণিত, ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন অলিম্পিয়াডকে জনপ্রিয় করতে মুহম্মদ জাফর ইকবালের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞান জনপ্রিয় করতে তাঁর প্রচেষ্টার অন্ত নেই।
No comments