চাঞ্চল্যকর মামলায় অভিযুক্তের জামিন-আইনের গলদ দূর করতে হবে
আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিরাও উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে, এমন সংবাদ আমাদের প্রায়ই পত্রিকায় পড়তে হয়। অভিযুক্তদের কেউ কেউ সেই সুযোগে দেশত্যাগ করা থেকে শুরু করে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, এমন অভিযোগও নতুন নয়।
কিন্তু আইনের দুর্বলতা, কখনো পুলিশের অনভিজ্ঞতা কিংবা দুর্বল কার্যক্রম তাদের জামিন লাভে সহায়ক হয়। তারপর আছে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি কার্যক্রমের জটিলতা। চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিম্ন আদালতে পরিচালনাকালে আইনি সহযোগিতা যেসব আইনজীবী দিয়ে থাকেন, উচ্চ আদালতে এসে তাঁদের কাজ করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে তা দেখভালের দায়িত্ব বর্তায় অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর। হাজার হাজার মামলার চাপে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয়। তাদের পক্ষে এ জন্য সময় ও নজর দেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। এই সুযোগও পেয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলার আসামিরা।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কাজের চাপ কমিয়ে আনার জন্য যে আইনি ও অবকাঠামোগত সুবিধা প্রয়োজন, তা প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ছে না। আবার নিম্ন আদালতে পুলিশ যেভাবে ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারে, উচ্চ আদালতে তাদের সেই সুযোগ থাকে না। ফলে আসামিপক্ষ বলতে গেলে একতরফা সুবিধা পায় উচ্চ আদালতে। আদালত তখন আইনগতভাবেই আসামিকে জামিন দিয়ে থাকেন।
এ পরিস্থিতি বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তাই জামিনের আইনকে যদি যুগোপযোগী না করা হয় ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন না আনা যায়, তাহলে অনেক হত্যা মামলার আসামিই এভাবে উচ্চ আদালত থেকে ভবিষ্যতেও ছাড়া পেতে থাকবে। কারণ আদালত আইন অনুসরণ করবেই। আর আইন প্রণয়নের দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদেরই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে নিম্ন আদালতের আইনজীবী ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতাও জরুরি। তাহলে উচ্চ আদালত বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর জানার সুযোগ পাবেন। হয়তো সে ক্ষেত্রে অনেক আসামিই বিচারের আগে দেশত্যাগ করতে পারবে না। সর্বোপরি বাদীর নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়, তাও প্রশমিত হবে।
আবার উচ্চ আদালত যখন কোনো আসামিকে জামিনের নির্দেশ প্রদান করেন, তখন প্রশাসন সেই আসামিকে মুক্তি না দিয়ে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে রিভিউ করার আবেদন জানানোর সুযোগ পাওয়ার আইনি বিধান শক্তিশালী করতে হবে। সে ক্ষেত্রেও আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষকেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ খুন কিংবা অনুরূপ গুরুতর কোনো অপরাধ করে আইনের ফাঁক গলিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যেতে না পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কাজের চাপ কমিয়ে আনার জন্য যে আইনি ও অবকাঠামোগত সুবিধা প্রয়োজন, তা প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ছে না। আবার নিম্ন আদালতে পুলিশ যেভাবে ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারে, উচ্চ আদালতে তাদের সেই সুযোগ থাকে না। ফলে আসামিপক্ষ বলতে গেলে একতরফা সুবিধা পায় উচ্চ আদালতে। আদালত তখন আইনগতভাবেই আসামিকে জামিন দিয়ে থাকেন।
এ পরিস্থিতি বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তাই জামিনের আইনকে যদি যুগোপযোগী না করা হয় ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন না আনা যায়, তাহলে অনেক হত্যা মামলার আসামিই এভাবে উচ্চ আদালত থেকে ভবিষ্যতেও ছাড়া পেতে থাকবে। কারণ আদালত আইন অনুসরণ করবেই। আর আইন প্রণয়নের দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদেরই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে নিম্ন আদালতের আইনজীবী ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতাও জরুরি। তাহলে উচ্চ আদালত বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর জানার সুযোগ পাবেন। হয়তো সে ক্ষেত্রে অনেক আসামিই বিচারের আগে দেশত্যাগ করতে পারবে না। সর্বোপরি বাদীর নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়, তাও প্রশমিত হবে।
আবার উচ্চ আদালত যখন কোনো আসামিকে জামিনের নির্দেশ প্রদান করেন, তখন প্রশাসন সেই আসামিকে মুক্তি না দিয়ে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে রিভিউ করার আবেদন জানানোর সুযোগ পাওয়ার আইনি বিধান শক্তিশালী করতে হবে। সে ক্ষেত্রেও আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষকেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ খুন কিংবা অনুরূপ গুরুতর কোনো অপরাধ করে আইনের ফাঁক গলিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যেতে না পারে।
No comments