পর্ষদ হোক রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত- সাত ব্যাংকে পরিচালক নিয়োগ
সরকার রাষ্ট্রমালিকানাধীন সাতটি ব্যাংকে যে ৩১ জন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে, তাতে আর্থিক খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতা, রাজনীতিক, প্রকৌশলী ও চিকিৎসকেরাও ঠাঁই পেয়েছেন।
সাবেক ব্যাংকার কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ পেতে পারেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ব্যাংক পরিচালনায় অবদান রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট সবাই ধারণা করেন।
কিন্তু একজন চিকিৎসক কিংবা একজন প্রকৌশলী ব্যাংকের নীতিনির্ধারণে কী ভূমিকা রাখবেন? কী ভূমিকা রাখবেন সাবেক ছাত্রনেতারা? ব্যাংকিং একটি পেশাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্যবস্থাপনার মতো এর নীতিনির্ধারণেও পেশাদারি লোক থাকা জরুরি। অথচ সব রাজনৈতিক সরকারের আমলেই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যা অনেক সময়ই বিপদ ডেকে আনে। হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবের কথা খোদ সংসদীয় তদন্ত কমিটিও স্বীকার করেছে।
সরকার তার নীতি বাস্তবায়নের জন্য সব প্রতিষ্ঠানে বিশ্বস্ত লোক নিয়োগ করবে, সে ব্যাপারে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সেই বিশ্বস্ত লোকটির সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম জানাশোনা থাকতে হবে। দেশে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে অভিজ্ঞ লোকের অভাব নেই। সরকার দাবি করতে পারে, এবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা কম। এই সংখ্যাস্বল্পতা সরকারের সদিচ্ছা, না সমালোচনার মুখে সাময়িক কৌশল, তা শিগগিরই জানা যাবে। এখনো বহু পরিচালকের পদ খালি আছে। সেসব পদে কারা নিয়োগ পান, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আবার রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেখে মনে হয়, সরকার অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।
এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির মতামত নয়, নীতি মেনে চলতে হবে। যাকে খুশি নিয়োগ দেওয়ার রেওয়াজ বাতিল করতে হবে। আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাত সংস্কারে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার সুপারিশগুলো কার্যকর করা হোক। এই কমিটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিল। সেটি অনুসরণ করা হলে ব্যাংকিং খাতে গতিশীলতা বাড়বে। কেননা এ ধরনের বিশেষজ্ঞ কমিটি তাঁদেরই নিয়োগ দেবে, যাঁদের ব্যাংকিং বা আর্থিক খাত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থাপনায় যেমন সৎ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে, তেমনি পরিচালনা পর্ষদকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। সমালোচনার মুখে এক ব্যাংকের পরিচালককে অন্য ব্যাংকে পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। সাত ব্যাংকের বাকি পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার কথাটি মনে রাখবে আশা করি।
কিন্তু একজন চিকিৎসক কিংবা একজন প্রকৌশলী ব্যাংকের নীতিনির্ধারণে কী ভূমিকা রাখবেন? কী ভূমিকা রাখবেন সাবেক ছাত্রনেতারা? ব্যাংকিং একটি পেশাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্যবস্থাপনার মতো এর নীতিনির্ধারণেও পেশাদারি লোক থাকা জরুরি। অথচ সব রাজনৈতিক সরকারের আমলেই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যা অনেক সময়ই বিপদ ডেকে আনে। হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পেছনে রাজনৈতিক প্রভাবের কথা খোদ সংসদীয় তদন্ত কমিটিও স্বীকার করেছে।
সরকার তার নীতি বাস্তবায়নের জন্য সব প্রতিষ্ঠানে বিশ্বস্ত লোক নিয়োগ করবে, সে ব্যাপারে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সেই বিশ্বস্ত লোকটির সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম জানাশোনা থাকতে হবে। দেশে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে অভিজ্ঞ লোকের অভাব নেই। সরকার দাবি করতে পারে, এবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা কম। এই সংখ্যাস্বল্পতা সরকারের সদিচ্ছা, না সমালোচনার মুখে সাময়িক কৌশল, তা শিগগিরই জানা যাবে। এখনো বহু পরিচালকের পদ খালি আছে। সেসব পদে কারা নিয়োগ পান, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আবার রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেখে মনে হয়, সরকার অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।
এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির মতামত নয়, নীতি মেনে চলতে হবে। যাকে খুশি নিয়োগ দেওয়ার রেওয়াজ বাতিল করতে হবে। আগের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাত সংস্কারে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তার সুপারিশগুলো কার্যকর করা হোক। এই কমিটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছিল। সেটি অনুসরণ করা হলে ব্যাংকিং খাতে গতিশীলতা বাড়বে। কেননা এ ধরনের বিশেষজ্ঞ কমিটি তাঁদেরই নিয়োগ দেবে, যাঁদের ব্যাংকিং বা আর্থিক খাত সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থাপনায় যেমন সৎ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে, তেমনি পরিচালনা পর্ষদকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। সমালোচনার মুখে এক ব্যাংকের পরিচালককে অন্য ব্যাংকে পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। সাত ব্যাংকের বাকি পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার কথাটি মনে রাখবে আশা করি।
No comments