সড়কে দুর্নীতি-ধামাচাপা না দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন
দেশে দুর্নীতি যেন ক্রমেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে চলেছে। সরকারের এমন কোনো খাত নেই, যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। সম্প্রতি সড়ক খাতের বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
আর যাঁরা এসব কাজ মনিটর ও দুর্নীতি রোধ করার দায়িত্বে আছেন, তাঁরা নিজেরাই ক্রমে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছেন। ফলে দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও ব্যাপক সংশয় দেখা দিয়েছে। অভিযোগ আছে, তদন্তের নামে দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেওয়ারই চেষ্টা চলছে। তাহলে এ সর্বগ্রাসী দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী?
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্পে ৬৮ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু অভিযোগ তদন্ত করা হলেও এ ক্ষেত্রে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সততা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু দুদকের লোকবল ও ক্ষমতা যে স্তরে রেখে দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের পক্ষেও সব অভিযোগ তদন্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তাহলে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি করে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় কি চলতেই থাকবে? দুর্নীতিবাজদের কি প্রতিরোধ করা যাবে না? আসলে এসব দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাকে প্রতিরোধ করার জন্য যে ধরনের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন ছিল, বিগত সরকারগুলোর কাছ থেকে আমরা তা পাইনি; বর্তমান মহাজোট সরকারের কাছ থেকেও নয়। রাজনৈতিক সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলে অনেক হোমরাচোমরার জন্ম হয় এবং তারা খুবই ক্ষমতাশালী হয়- এটাই বর্তমানে বাংলাদেশের বাস্তবতা। প্রশাসন তাদের কাছে অসহায় থাকে। এই সুযোগে প্রশাসনেও এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুরু হয় দুর্নীতির মহোৎসব। সড়ক খাতের প্রকল্পগুলোতেও বর্তমানে তা-ই হচ্ছে। শক্ত হাতে এর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সরকারের সব উন্নয়নকাজই এক সময় মুখ থুবড়ে পড়বে। জনগণ এসব উন্নয়নকাজের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য, সরকারগুলো জনগণের কথা না ভেবে দুর্নীতিবাজ দলীয় নেতা-কর্মী তোষণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আমাদের আরো দুর্ভাগ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনকে দীর্ঘদিনেও দুর্নীতি রোধে জোরদার ভূমিকা রাখার মতো স্বাধীন ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হবে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ কায়েমি স্বার্থবাদীরা কখনো চাইবে না, তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে দুদকের মতো একটি উটকো ঝামেলা সৃষ্টি হোক। সেই বিরোধিতা আমরা নিকট অতীতেও অনেক দেখতে পেয়েছি। অথচ বিগত নির্বাচনের আগে দেওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি ওয়াদা ছিল দুদককে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা।
আমরা আশা করি, শেষ বছরে হলেও বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রে তাদের ওয়াদা রক্ষা করবে। পাশাপাশি সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে যেসব প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, সরকার সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তদন্তের নামে যদি কেউ দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্পে ৬৮ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু অভিযোগ তদন্ত করা হলেও এ ক্ষেত্রে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সততা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু দুদকের লোকবল ও ক্ষমতা যে স্তরে রেখে দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের পক্ষেও সব অভিযোগ তদন্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তাহলে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি করে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় কি চলতেই থাকবে? দুর্নীতিবাজদের কি প্রতিরোধ করা যাবে না? আসলে এসব দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাকে প্রতিরোধ করার জন্য যে ধরনের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন ছিল, বিগত সরকারগুলোর কাছ থেকে আমরা তা পাইনি; বর্তমান মহাজোট সরকারের কাছ থেকেও নয়। রাজনৈতিক সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলে অনেক হোমরাচোমরার জন্ম হয় এবং তারা খুবই ক্ষমতাশালী হয়- এটাই বর্তমানে বাংলাদেশের বাস্তবতা। প্রশাসন তাদের কাছে অসহায় থাকে। এই সুযোগে প্রশাসনেও এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুরু হয় দুর্নীতির মহোৎসব। সড়ক খাতের প্রকল্পগুলোতেও বর্তমানে তা-ই হচ্ছে। শক্ত হাতে এর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সরকারের সব উন্নয়নকাজই এক সময় মুখ থুবড়ে পড়বে। জনগণ এসব উন্নয়নকাজের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য, সরকারগুলো জনগণের কথা না ভেবে দুর্নীতিবাজ দলীয় নেতা-কর্মী তোষণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আমাদের আরো দুর্ভাগ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনকে দীর্ঘদিনেও দুর্নীতি রোধে জোরদার ভূমিকা রাখার মতো স্বাধীন ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হবে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ কায়েমি স্বার্থবাদীরা কখনো চাইবে না, তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে দুদকের মতো একটি উটকো ঝামেলা সৃষ্টি হোক। সেই বিরোধিতা আমরা নিকট অতীতেও অনেক দেখতে পেয়েছি। অথচ বিগত নির্বাচনের আগে দেওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি ওয়াদা ছিল দুদককে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা।
আমরা আশা করি, শেষ বছরে হলেও বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রে তাদের ওয়াদা রক্ষা করবে। পাশাপাশি সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের ক্ষেত্রে যেসব প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, সরকার সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তদন্তের নামে যদি কেউ দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments