অস্ত্রবিষয়ক লবিস্ট গ্রুপের পরামর্শ স্কুলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন হোক
বন্দুক হামলার ঘটনা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছে দেশটির অস্ত্রবিষয়ক লবিস্ট গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই প্রস্তাব দেয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর কানেকটিকাটের নিউ টাউন শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে অস্ত্রধারীর হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন মারা যাওয়ার পর এনআরএ প্রতিক্রিয়া জানাল।
এনআরএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েইন লাপিয়েরে বলেন, 'অস্ত্রধারী খারাপ কোনো লোককে কেবল অস্ত্রধারী ভালো ব্যক্তিই প্রতিহত করতে পারে। আজ আমি অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের সব স্কুলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি কংগ্রেসের প্রতি।' স্কুলে মোতায়েনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব দিয়েছে এনআরএ। লাপিয়েরে বলেন, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছেন তাঁরা।
কানেকটিকাটের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক আইন কঠোর করার চাপে পড়েন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সম্প্রতি বছরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ও আতঙ্ক তৈরি করেছে। ১৯৮২ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গুলিতে সাধারণ মানুষ হত্যার ৬২টি ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনাতেই হামলাকারীরা সেমি-অটোমেটিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আইনগতভাবেই তারা এসব অস্ত্রের মালিক ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেই যেকোনো নাগরিকের অস্ত্র বহনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এক হিসাবে দেখা যায়, ২০০৯ সালে দেশটিতে নাগরিকদের হাতে প্রায় ৩১ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গড়ে সব নাগরিকের মাথাপিছু একটি করে অস্ত্র পড়ছে। উন্নত অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ২০ গুণ বেশি। তবে অস্ত্রের সহজলভ্যতাকে সমস্যা মনে করছে না এনআরএ। লাপিয়েরে বলেন, '২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বন্দুক হামলায় ৩২ ছাত্রের মৃত্যুর পর আমি সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছিলাম। সংবাদমাধ্যম তখন আমাকে পাগল অভিহিত করেছিল। বিকল্প ব্যবস্থা যাচাই না করে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাওয়া খুবই ঘৃণ্য।'
এনআরএর পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ ও আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠন। নিউ ইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ স্কুলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাবকে 'পাগলামি ও অবাস্তব কল্পনা' বলে উল্লেখ করেছেন। এনআরএ স্কুলে নিরাপত্তারক্ষীর কথা বলছে। সূত্র : এএফপি।
এনআরএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েইন লাপিয়েরে বলেন, 'অস্ত্রধারী খারাপ কোনো লোককে কেবল অস্ত্রধারী ভালো ব্যক্তিই প্রতিহত করতে পারে। আজ আমি অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের সব স্কুলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি কংগ্রেসের প্রতি।' স্কুলে মোতায়েনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও প্রস্তাব দিয়েছে এনআরএ। লাপিয়েরে বলেন, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কাজ করতে রাজি আছেন তাঁরা।
কানেকটিকাটের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক আইন কঠোর করার চাপে পড়েন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সম্প্রতি বছরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ও আতঙ্ক তৈরি করেছে। ১৯৮২ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেপরোয়া গুলিতে সাধারণ মানুষ হত্যার ৬২টি ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনাতেই হামলাকারীরা সেমি-অটোমেটিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আইনগতভাবেই তারা এসব অস্ত্রের মালিক ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেই যেকোনো নাগরিকের অস্ত্র বহনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এক হিসাবে দেখা যায়, ২০০৯ সালে দেশটিতে নাগরিকদের হাতে প্রায় ৩১ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গড়ে সব নাগরিকের মাথাপিছু একটি করে অস্ত্র পড়ছে। উন্নত অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ২০ গুণ বেশি। তবে অস্ত্রের সহজলভ্যতাকে সমস্যা মনে করছে না এনআরএ। লাপিয়েরে বলেন, '২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বন্দুক হামলায় ৩২ ছাত্রের মৃত্যুর পর আমি সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছিলাম। সংবাদমাধ্যম তখন আমাকে পাগল অভিহিত করেছিল। বিকল্প ব্যবস্থা যাচাই না করে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাওয়া খুবই ঘৃণ্য।'
এনআরএর পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ ও আন্দোলনরত বিভিন্ন সংগঠন। নিউ ইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ স্কুলে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের প্রস্তাবকে 'পাগলামি ও অবাস্তব কল্পনা' বলে উল্লেখ করেছেন। এনআরএ স্কুলে নিরাপত্তারক্ষীর কথা বলছে। সূত্র : এএফপি।
No comments