যেভাবে দস্যু বাহিনীর প্রধান হয়ে ওঠেন ‘নিজাম ডাকাত’
ছোটখাটো ফরমায়েশ খাটার মধ্য দিয়ে দস্যু বাহিনীর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তরুণ নিজাম উদ্দিনের। কিছুদিনের মধ্যেই দস্যুদের হয়ে চরের জমি দখল, মাঝি ও ভূমিহীনদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আনাসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয় নিজামকে (৩৫)।
এসব করে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ‘বস’দের বিশ্বস্ততা অর্জন করেন নিজাম। আর শেষে এই নিজাম উদ্দিন হয়ে ওঠেন নোয়াখালীর চরাঞ্চল এবং নদী এলাকার একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী বাহিনীর প্রধান ‘নিজাম ডাকাত’। হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি নিয়মিত মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে চষে বেড়ান এ চর থেকে ও চর এবং মেঘনা ও বঙ্গোপসাগর মোহনার বিস্তীর্ণ এলাকা।
হাতিয়ার চরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজাম ডাকাতের জন্ম লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরি গ্রামে। তাঁর বাবা রুহুল আমিন ছিলেন গরু-মহিষের পালক (বাতাইন্না)। প্রায় ১০ বছর আগে নদীভাঙনের কবলে পড়ে বাড়িঘর হারান নিজামের পরিবার। এরপর তাঁরা চলে আসেন হাতিয়ার হরনি ইউনিয়নের বয়ারচরে। দস্যুদের হাত করেই সেখানে বসতি গড়েন নিজামেরা।
নতুন বসতি গড়তে গিয়ে দস্যুদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে নিজামের। তখন থেকেই দস্যুদের ছোটখাটো ফরমায়েশ খাটা ছিল তাঁর প্রধান কাজ। একসময় সখ্য বেড়ে যায়। কাজ দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন তিনি। ২০০৮ সালে উপকূলীয় এলাকার বন ও জলদস্যু বাশার মাঝির বাহিনীতে যোগ দেন নিজাম। ওই বাহিনীতেও নিজাম হয়ে ওঠেন বাশার মাঝির কয়েকজন বিশ্বস্ত সহযোগীর অন্যতম।
২০১০ সালের ৬ জুলাই র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাশার মাঝি নিহত হন। পরে বাহিনী-প্রধান নির্বাচিত হন নাছির উদ্দিন ওরফে নাছির কেরানি। কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় নিজামের সঙ্গে। একপর্যায়ে নিজাম সহযোগী মিরাজ ও মিয়া সিকদারকে নিয়ে নিজেই আলাদা বাহিনী করেন। মেঘনার দুর্গম জাহাজ্জারচরে আস্তানা গাড়েন নিজাম। তাঁর আধিপত্য ছড়িয়ে পড়ে ভোলা থেকে সন্দ্বীপ সীমানা পর্যন্ত। তাঁকে চাঁদা না দিয়ে জেলেরা নদীতে নামলেই নেমে আসত হামলা-নির্যাতন না হয় মৃত্যু পরোয়ানা। স্থলভাগের লোকজন এবং নদীতে জেলেরা নিজাম ডাকাতকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করতেন।
বাসিন্দারা জানান, চলাচলের সময় নিজামের সঙ্গে থাকত আট-দশজনের সশস্ত্র দস্যু। এর আগে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাঁকে ধরতে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের সেন্টার বাজারের কাছের একটি বাগানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিজাম ডাকাতের আধিপত্যের ইতি ঘটে। এতে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে নেমে আসে আনন্দ।
চরাঞ্চলে আলোচনা রয়েছে, বিভিন্ন দস্যু বাহিনী স্থানীয় শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের সঙ্গে হাত করেই উপকূলীয় চরাঞ্চল এবং নদীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ হয়েও বিভিন্ন সময় ওই বাহিনীগুলো তৎপরতা চালাত বলে শোনা যায়।
হাতিয়ার চরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিজাম ডাকাতের জন্ম লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরি গ্রামে। তাঁর বাবা রুহুল আমিন ছিলেন গরু-মহিষের পালক (বাতাইন্না)। প্রায় ১০ বছর আগে নদীভাঙনের কবলে পড়ে বাড়িঘর হারান নিজামের পরিবার। এরপর তাঁরা চলে আসেন হাতিয়ার হরনি ইউনিয়নের বয়ারচরে। দস্যুদের হাত করেই সেখানে বসতি গড়েন নিজামেরা।
নতুন বসতি গড়তে গিয়ে দস্যুদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে নিজামের। তখন থেকেই দস্যুদের ছোটখাটো ফরমায়েশ খাটা ছিল তাঁর প্রধান কাজ। একসময় সখ্য বেড়ে যায়। কাজ দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন তিনি। ২০০৮ সালে উপকূলীয় এলাকার বন ও জলদস্যু বাশার মাঝির বাহিনীতে যোগ দেন নিজাম। ওই বাহিনীতেও নিজাম হয়ে ওঠেন বাশার মাঝির কয়েকজন বিশ্বস্ত সহযোগীর অন্যতম।
২০১০ সালের ৬ জুলাই র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাশার মাঝি নিহত হন। পরে বাহিনী-প্রধান নির্বাচিত হন নাছির উদ্দিন ওরফে নাছির কেরানি। কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় নিজামের সঙ্গে। একপর্যায়ে নিজাম সহযোগী মিরাজ ও মিয়া সিকদারকে নিয়ে নিজেই আলাদা বাহিনী করেন। মেঘনার দুর্গম জাহাজ্জারচরে আস্তানা গাড়েন নিজাম। তাঁর আধিপত্য ছড়িয়ে পড়ে ভোলা থেকে সন্দ্বীপ সীমানা পর্যন্ত। তাঁকে চাঁদা না দিয়ে জেলেরা নদীতে নামলেই নেমে আসত হামলা-নির্যাতন না হয় মৃত্যু পরোয়ানা। স্থলভাগের লোকজন এবং নদীতে জেলেরা নিজাম ডাকাতকে ‘বস’ বলে সম্বোধন করতেন।
বাসিন্দারা জানান, চলাচলের সময় নিজামের সঙ্গে থাকত আট-দশজনের সশস্ত্র দস্যু। এর আগে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাঁকে ধরতে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোরে সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের সেন্টার বাজারের কাছের একটি বাগানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র্যা বের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিজাম ডাকাতের আধিপত্যের ইতি ঘটে। এতে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে নেমে আসে আনন্দ।
চরাঞ্চলে আলোচনা রয়েছে, বিভিন্ন দস্যু বাহিনী স্থানীয় শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকদের সঙ্গে হাত করেই উপকূলীয় চরাঞ্চল এবং নদীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। রাজনৈতিক নেতাদের পক্ষ হয়েও বিভিন্ন সময় ওই বাহিনীগুলো তৎপরতা চালাত বলে শোনা যায়।
No comments