চট্টগ্রাম-১২ উপনির্বাচন- নির্বাচনী আলোচনায় সরগরম আনোয়ারা by প্রণব বল ও মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন
চট্টগ্রাম-১২ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে এখন সরগরম আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া। সর্বত্র চলছে নির্বাচনী আলোচনা। চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রয়াত সাংসদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনে আগামী ১৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।
ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদান শেষ হয়েছে। এই পর্যন্ত ছয় প্রার্থী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ রোববার মনোনয়নপত্র বাছাই। নগরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রয়াত সাংসদের বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ওরফে জাবেদ। বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই দুজনের মধ্যে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার চায়ের দোকান, রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত সর্বত্র এখন চলছে নির্বাচনের নানা হিসাব-নিকাশ।
প্রচারণা এখনো শুরু না হলেও প্রার্থীদের পক্ষে তাঁদের অনুসারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আর প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ফুলঝুরিও চলছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে আমার বাবার অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করব। তা ছাড়া, আনোয়ারাকে উপশহর হিসাবে গড়ার জন্য প্রয়োজনে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেব।’
এ ছাড়া ৮ ডিসেম্বর আখতারুজ্জামান চৌধুরীর শোকসভায় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী আনোয়ারায় বিআরটিসির বাস সার্ভিসও চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন লাভের। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যাচ্ছেন। জালাল উদ্দিন বলেন, যদি নির্বাচিত হই তাহলে আনোয়ারায় একটি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যলয় সরকারিকরণ ছাড়াও আনোয়ারাকে পৌরসভায় উন্নীত করার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, অবহেলিত আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়ার উন্নয়ন বিশেষত উপকূলীয় দুই ইউনিয়ন রায়পুর ও জুঁইদণ্ডীতে ভাঙনরোধ এবং পূর্ব আনোয়ারার সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে কাজ করব।
বিএনপি তো উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি দল থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আশা করছি। তবে শেষ পর্যন্ত দল মনোনীত না করলেও ৩১ তারিখ এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী তপন চক্রবর্তী ঘরের রোষানলেও পড়েছেন। নগর কমিটির এই নেতার বাড়ি আনোয়ারায়। সে হিসেবে তিনি ওই আসনের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু আনোয়ারা জাপা তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে।
তবে তপন চক্রবর্তী এসব মাথায় আনছেন না। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমি মনোনয়ন পেয়েছি। অনেকে অনেক কথা বলবে। এসব মাথায় আনি না। আমি নির্বাচনে জয় পেলে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত আনোয়ারা-কর্ণফুলীবাসীর সেবায় কাজ করে যাব। এ ছাড়া সড়ক উন্নয়ন, সাগর ও নদীভাঙন রোধে কাজ করে যেতে চাই।’
আরও যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা হলেন: গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আলীম ও মিজানুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর সাংসদ আখতারুজ্জামানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রয়াত সাংসদের বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ওরফে জাবেদ। বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন না করলেও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করলে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই দুজনের মধ্যে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার চায়ের দোকান, রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত সর্বত্র এখন চলছে নির্বাচনের নানা হিসাব-নিকাশ।
প্রচারণা এখনো শুরু না হলেও প্রার্থীদের পক্ষে তাঁদের অনুসারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আর প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ফুলঝুরিও চলছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে আমার বাবার অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করব। তা ছাড়া, আনোয়ারাকে উপশহর হিসাবে গড়ার জন্য প্রয়োজনে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেব।’
এ ছাড়া ৮ ডিসেম্বর আখতারুজ্জামান চৌধুরীর শোকসভায় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী আনোয়ারায় বিআরটিসির বাস সার্ভিসও চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন লাভের। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যাচ্ছেন। জালাল উদ্দিন বলেন, যদি নির্বাচিত হই তাহলে আনোয়ারায় একটি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যলয় সরকারিকরণ ছাড়াও আনোয়ারাকে পৌরসভায় উন্নীত করার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, অবহেলিত আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়ার উন্নয়ন বিশেষত উপকূলীয় দুই ইউনিয়ন রায়পুর ও জুঁইদণ্ডীতে ভাঙনরোধ এবং পূর্ব আনোয়ারার সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে কাজ করব।
বিএনপি তো উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি দল থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আশা করছি। তবে শেষ পর্যন্ত দল মনোনীত না করলেও ৩১ তারিখ এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী তপন চক্রবর্তী ঘরের রোষানলেও পড়েছেন। নগর কমিটির এই নেতার বাড়ি আনোয়ারায়। সে হিসেবে তিনি ওই আসনের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু আনোয়ারা জাপা তাঁকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে।
তবে তপন চক্রবর্তী এসব মাথায় আনছেন না। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমি মনোনয়ন পেয়েছি। অনেকে অনেক কথা বলবে। এসব মাথায় আনি না। আমি নির্বাচনে জয় পেলে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত আনোয়ারা-কর্ণফুলীবাসীর সেবায় কাজ করে যাব। এ ছাড়া সড়ক উন্নয়ন, সাগর ও নদীভাঙন রোধে কাজ করে যেতে চাই।’
আরও যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা হলেন: গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আলীম ও মিজানুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর সাংসদ আখতারুজ্জামানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
No comments