অল্প স্বল্প গল্প

কিপ্টুস ব্রিটনি একসময় সবচেয়ে বেশি আয় করা তারকাদের শীর্ষ তালিকায় ছিল তাঁর নাম। আয়ের ঝুলিতে খানিকটা ভাটার টান। তার পরও ব্রিটনি স্পিয়ার্সের আয়ের তল্লাশি নিতে গেলে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের আঁক কষতেই হবে। সেই ব্রিটনি যে এমন হাড় কিপ্টু, কেইবা জানত! কদিন আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের সান ফার্নান্দো ভ্যালির এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন এই সংগীত-তারকা।


সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলে—পাঁচ বছর বয়সী জ্যাডেন আর ছয় বছর বয়সী শন। হঠাৎ করে জ্যাডেন তারস্বরে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কিছুতেই সন্তানকে শান্ত করতে পারছিলেন না ব্রিটনি। তাঁর অসহায়ত্ব দেখে পাশের টেবিলের এক ওয়েটার ছুটে আসেন। জ্যাডেনকে কোলে করে নিয়ে যান। তার সঙ্গে বসে কিছুক্ষণ আঁকাআঁকি করেন। তাতেই শান্ত হয় জ্যাডেন। রেস্তোরাঁ থেকে বেরোনোর সময় ওই ওয়েটারকে ১০০ ডলারের একটা নোট টিপস হিসেবে দিয়েছেন ব্রিটনি। আপনার-আমার হিসাবে অঙ্কটা কম নয়, কিন্তু ব্রিটনির মতো তারকা...অঙ্কটা একটু বেশি হলেই মানাত!

হলিউডি ঈর্ষা
ঢালিউডে এমনটা শোনা যায়। বলিউডেও আছে। তাই বলে হলিউডেও! আছে মশাই, আছে। ঈর্ষার লড়াই, অন্যকে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কলাকৌশল সবখানেই অল্পবিস্তর চলে। আর তাই শোনা যাচ্ছে, জেনিফার লরেন্সের সাফল্যে নাকি ভীষণ ঈর্ষান্বিত টোয়ালাইট সাগার তারকা ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট আর ট্রান্সফরমারের মিগান ফক্স। স্টুয়ার্ট আর ফক্স এই দশকে বলিউডে রাজত্ব করবেন, এমনটা মনে করছেন অনেকে। এমন সময় হাঙ্গার গেমস-এর দারুণ সাফল্য লরেন্সকেও নিয়ে এসেছে দৃশ্যপটে। স্টুয়ার্ট আর ফক্স—দুজনের মূল পুঁজি সৌন্দর্য। কিন্তু সমালোচকদের দৃষ্টি সেভাবে আকর্ষণ করতে পারেননি দুজনের কেউই। অন্যদিকে লরেন্স সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে দশে নয় তো পাবেনই, তাঁর অভিনয়ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। উইন্টারস বোন দিয়ে এরই মধ্যে অস্কারে মনোনয়নও পেয়েছেন। হলিউড পাড়ার গুজবে সংবাদপত্রগুলোতে লেখালেখি হচ্ছে, ফক্স আর স্টুয়ার্ট নাকি অলিখিত চুক্তি করেছেন লরেন্সের বাজার ধরার জন্য। প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে ধরনাও দিচ্ছেন বেশি বেশি কাজ পেতে। এই শুনে লরেন্স বলেছেন, ‘কে কী করল না করল তা নিয়ে ভাবতে আমার বয়েই গেছে!’

ভেত্তেল-এর কুংফু
গাড়ি চালাতে ভালো চালক হলেই হয়। নিয়মকানুন আর নিজের গাড়ি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলেও চলে। সেসব যে সেবাস্তিয়ান ভেত্তেলের আছে, তা আর বলে দিতে হবে না। ব্রিটিশ এই চালক খুব কম বয়সেই ফর্মুলা ওয়ান জিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, গাড়ির হুইল ধরার ব্যাপারে তিনি দক্ষ নাবিক। তবে ভেত্তেল নাকি ইদানীং কুংফু-কারাতেও শিখছেন! ঘটনা কী? গাড়ি চালাতে আর কুংফু-কারাতে শিখতে হয় নাকি! আসলে ব্রিটিশ চালক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের কুংফু ছবিতে অভিনয় করছেন। যে ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন হলিউড অভিনেত্রী ও মার্শাল আর্ট বিশেষজ্ঞ সেলিনা জেড। ছবির নাম কুংফু ভেত্তেল: ড্রাইভ অব দ্য ড্রাগন। ফলে কুংফু-কারাতের প্যাঁচ শিখতে অন্য কারও কাছে হাত পাততে হচ্ছে না। জেডের কাছেই দীক্ষা নিচ্ছেন। কুংফু শিখতে গিয়ে ভেত্তেলের যে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সে আর বলতে। দুটো ভিন্ন জগতের ব্যাপার হলেও দারুণ মিলও খুঁজে পেয়েছেন তিনি, ‘গাড়ি চালনার মতোই কুংফুর মূল ব্যাপারগুলোও কিন্তু একই—ভারসাম্য, নিয়ন্ত্রণ এবং কৌশল।’
 রা. হা.
তথ্য: রয়টার্স, এএনআই, আইএএনএস

No comments

Powered by Blogger.